যানজট থেকে বাঁচার কয়েকটি উপায়

  • রোজী আরেফিন
  • জুন ১৬, ২০১৯

রাজধানী ঢাকায় শুধু মাত্র জ্যামের জন্য প্রতিদিন  আমাদের অপচয় হচ্ছে প্রায় ৩২ লক্ষ কর্মব্যস্ত ঘন্টা।প্রাণের শহর ঢাকাতে থাকতে যেয়ে প্রতিদিনই অপচয় করছেন আপনার জীবনের সবচেয়ে মুল্যবান জিনিস সময়।না চাইলেও কিছু করার নেই ভাবছেন।ভাবছেন এই জ্যাম তো এখনকার নিত্যনৈমিত্তিক বিষয়,সো একে মেনে নিতেই তো হবে।

ঢাকা শহরে থাকতে গেলে জ্যাম আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়েই থাকবে,তবুও এই ঢাকাতে থেকেই ঢাকার এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যেতে কিভাবে আমরা জ্যাম টুকু কতটা মিনিমাইজ করতে পারি চলুন কিছু ধারনা আজকে আমরা নিই।

১। প্রথমেই বলবো আপনারা যদি ওয়াকিং ডিসট্যন্স মানে হাঁটা দুরত্বে আপনাদের অফিস,কলেজ ভার্সিটি ইত্যাদি থেকে আপনাদের বাসা টা রাখেন সেক্ষেত্রে কিন্তু অনায়াসেই জ্যাম কে বাইপাস করে সোজা হেঁটে হেঁটে চলে যেতে পারেন আপনাদের অফিস,কলেজ,ভার্সিটি ইত্যাদিতে। 

২। ঢাকার বাইরে বা ঢাকার আশেপাশে কোন শিডিউল রাখতে চান,সুন্দর ভাবে ট্রেন এ চড়ে খুব কম সময়ের মধ্যে চলে যেতে পারেন।
এ ক্ষেত্রে এয়ারপোর্ট টু জয়দেবপুর,কমলাপুর টু জয়দেবপুর,কমলাপুর টু এয়ারপোর্ট,কমলাপুর টু রাজেন্দ্রপুর,কমলাপুর টু শ্রীপুর এই রুটে এভেলেএভেইল ট্রেন পাবেন বিভিন্ন সময়ে।

৩। ঢাকার এক মাথা থেকে আরেক মাথায় যাবেন? ভোরে উঠে কস্ট করে রওনা দিয়ে দেন। জ্যাম আপনাকে কোনভাবেই পাবে না।বরংচ ঠান্ডা ঠান্ডা হিমেল বাতাসে ভোরের জার্নিটা সেই আরামদায়ক হবে।

৪। চাইলে নদীপথেও জার্নি করতে পারেন ঢাকার এক মাথা থেকে আরেক মাথায়।টঙ্গী তুরাগ থেকে বালুর নদের মাঝ দিয়ে সুন্দর ভাবে বুড়িগঙ্গায় যেয়ে সদরঘাট থামতে পারেন, এ রুটে জার্নিটা অবশ্য বর্ষা সিজনে ই প্রোপার। ইজিলি তখন ট্রলার ভাড়া ও করতে পারবেন।

পরিশেষে,  চলাচলের সময় ট্রাফিক নিয়ম মেনে চলুন,এবং অবশ্যই রাস্তা পারাপারের সময় ফুট ওভার ব্রিজ ব্যবহার করুন।

ভালো থাকুন,ভালো রাখুন।

ধন্যবাদ। 

Leave a Comment