গর্ভকালীন বমি, মাথা ঘুরানো ও অরুচি প্রতিরোধে যা করবেন
- কবিতা আক্তার
- মে ২০, ২০২৩
গর্ভবতী মায়েদের বমি, মাথা ঘোরানো, খাবারে গন্ধ লাগা খুবই সাধারণ সমস্যা। সবার ক্ষেত্রেই এ ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
আর্লি প্রেগনেন্সি বা এর সাথে প্রাইমি গ্রাভিডা থাকলে সমস্যাগুলো বেশি দেখা যায়। রোগী যদি কিছু পরামর্শ মেনে চলতে পারেন এবং চিকিৎসকের দেওয়া ঔষধ সেবন করেন তবে বমির প্রকোপ অনেকটাই কমে যায় এবং অন্যান্য সমস্যা থেকেও রেহাই পাওয়া যায়।
আরো পড়ুনঃ গর্ভকালীন সাময়িক সমস্যাগুলো কী কী?
গর্ভকালীন সময়ে হরমোনের পরিবর্তন হয়। এর ফলে শরীরে নানা ধরনের পরিবর্তন দেখা দেয়। এর মধ্যে বমি, বমি ভাব, মাথা ঘুরানো, খাবারে অরুচি, গন্ধ লাগা অন্যতম। কিছু হরমোন যেমন অ্যাস্ট্রজেন, প্রোজেস্টেরন এসব বেড়ে যাওয়ার জন্য এই সমস্যাগুলো হয়ে থাকে।
এ সময় সুস্থ থাকার জন্য কিছু বিষয় মেনে চলা জরুরী চলুন জেনে নেওয়া যাক-
- সকালে ঘুম থেকে উঠেই বিছানা থেকে না উঠে শোয়া অবস্থায় একটু হাত পা নড়াচড়া করার চেষ্টা করুন অর্থাৎ হালকা ব্যায়াম করুন।
- রাতেই ব্রাশ করে ঘুমান। সকালে উঠে শুধু কুলি করে মুখ ধুয়ে নিন। কারণ অনেক সময় সকালে ব্রাশ করতে গিয়ে টুথপেস্ট এর গন্ধে অনেকের বমি ভাব হয়।
- ঘুম থেকে উঠেই শুকনো খাবার যেমন বিস্কুট, টোস্ট বা মুড়ি খান। এতে বমি ভাব কমে। এর এক থেকে দুই ঘন্টা পর সকালের নাস্তা করুন।
আরো পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় বুক জ্বালাপোড়ার ঘরোয়া প্রতিকার
- খাবার আগে ও খেতে বসে অতিরিক্ত পানি খাবেন না এতে বমি বা বমি ভাব হয়।
- সব সময় বাসায় তৈরি খাবার খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে। চাকরিজীবী হলে তাহলে বাসা থেকে খাবার নিয়ে যাবেন।
- অতিরিক্ত তৈলাক্ত, ভাজাপোড়া, মসলাদার খাবার খাবেন না। এ ধরনের খাবার এসিডিটির কারণ হতে পারে যা থেকে বমি হয়।
আরো পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় কিছু অসুবিধা যা নিয়ে ভয় পাবার নেই !
- একবারে বেশি পরিমাণ খাবার না খেয়ে দুই থেকে আড়াই ঘন্টা পর অল্প করে খাবার খান।
- খালি পেটে টক জাতীয় ফল খাবেন না। এতে এসিডিটি হয়ে বমি বা বমি ভাব হতে পারে। খাবারের পর বা মধ্যে টক ফল খাওয়া যেতে পারে।
- বাসি খাবার খাওয়া যাবেনা। এর থেকে বমি, ডায়রিয়া, পেটে ব্যথা হতে পারে। পুষ্টিকর ও ফ্রেশ খাবার খেতে হবে।
আরো পড়ুনঃ গর্ভবতী মায়েরা গাইনি ডাক্তারের ফলোআপ রুটিনটা একবার দেখে নিন
- অনেক সময় জার্নি করার ফলে অনেক মায়েদের মোশন সিকনেস। এ ধরনের সমস্যা হলে কোথাও যাওয়ার আগে বমির ঔষধ খেয়ে নিতে হবে চিকিৎসকের পরামর্শমতো।
- অতিরিক্ত গন্ধযুক্ত খাবার এনার্জি ড্রিংকস এগুলো এড়িয়ে চলা জরুরি।
- রাতে খাবার খাওয়ার পরপরই ঘুমাতে গেলে অস্বস্তি ভাব এবং এসিডিটি হতে পারে। তাই রাতে খাবার খাওয়ার আগে অন্তত এক থেকে দুই ঘন্টা পর ঘুমাতে যেতে হবে।
আরো পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় নাভিতে ব্যাথা কেন হয়?
- ইলেক্ট্রোলাইট ইমবেলেন্সের কারনেও বমি হয়। এই বমি ঔষধ খেলেও কমে না। এ ধরনের সমস্যায় পড়লে ব্লাড টেস্ট করে সেই অনুযায়ী চিকিৎসা করতে হবে।
- অতিরিক্ত বমি, মাথা ঘুরানো, বমি ভাব ইত্যাদির জন্য কিছু ঔষধ এবং প্রয়োজনীয় ইনজেকশন দেওয়া যেতে পারে তবে এগুলো শুধুমাত্র চিকিৎসকের পরামর্শের মতোই প্রয়োগ করতে হবে।
