শিশুর নাকে পলিপ হলে করণীয় কী?

  • ওমেন্সকর্নার ডেস্ক
  • জুলাই ৩০, ২০১৮

নাকের মধ্যকার পলিপ অনেকটা পিণ্ডাকৃতিরই হয়ে থাকে, তবে নাকের মধ্যে সব ধরনের পিণ্ডই কিন্তু পলিপ নয়। পলিপ কথার একটি বিশেষ অর্থ রয়েছে। পলিপ হচ্ছে ফুলে যাওয়া ঝিল্লির একটি রূপ। এটি ফুলে একটি বিভিন্ন আয়তনের পিণ্ডের মতো হয়ে থাকে। আকৃতি, আয়তন ও রঙের দিক থেকে সাধারণভাবে নাকের পলিপ দেখতে অনেকটা পরিপক্ব আঙুর ফলের মতো। পলিপের রং কখনোই মাংসপেশির মতো লালচে হয় না। পলিপ আঙুর দানার মতো গোলাকার ও ফ্যাকাসে রঙের হয়ে থাকে। নাকের পলিপ নাক ও সাইনাসের (বায়ুভর্তি কুঠুরি) মধ্যস্থিত ঝিল্লির স্ফীতাকার পিণ্ডবিশেষ।

নাকের পলিপ সাধারণত দুই ধরনের হয়ে থাকে। 
১. ইথময়েডাল পলিপ, যা উভয় নাসারন্ধ্রেই হয়ে থাকে। এই ধরনের পলিপ শিশুদের কম হয়। 

২. এন্ট্রোকোয়োনাল পলিপ, এটি শিশুদের বেলায় বেশি দেখা দেয়। দুই ধরনের পলিপ হওয়ার পেছনের কারণও ভিন্ন। একইভাবে উপসর্গ ও চিকিৎসা কৌশলেও ভিন্নতা রয়েছে। এবার পৃথকভাবে ধারণা নেওয়া যায়, এ দুই ধরনের পলিপ সম্পর্কে।

যে কারণে হয়
যদিও সঠিক কারণ জানা যায়নি, তবে ধারণা করা হয়, নাকের অ্যালার্জি যখন সাইনাসের অভ্যন্তরীণ ঝিল্লিকে প্রত্যক্ষভাবে প্রভাবিত করে এবং বারবার সেখানে সংক্রমণ হয়, তখন ধীরে ধীরে ম্যাক্সিলারি সাইনাসের অভ্যন্তরে বহিনির্গমনের পথের আশপাশে স্ফুরণ ঘটে এই পলিপের। তারপর ক্রমান্বয়ে বেড়ে উঠতে থাকে। এভাবেই সাইনাস থেকে বেড়ে বেরিয়ে আসে নাকের মধ্যে এবং একপর্যায়ে বড় হতে হতে, সেটি নাকের পেছন দিক দিয়ে মুখের ভেতরে ঝুলে পড়ে। 

কীভাবে বোঝা যাবে
প্রথম দিকে একদিক বন্ধ থাকে। নাক বন্ধ থাকার জন্য গলার স্বর পরিবর্তিত হয়ে নাকিসুরে কথা তৈরি হয়। নাক বন্ধ থাকার কারণে সব সময়ই নাক দিয়ে কিছু না কিছু শ্লেষ্মা ঝরে। নাক পর্যবেক্ষণ করলে নাকের ভেতরে ফ্যাকাসে মাংসপিণ্ডের অস্তিত্ব লক্ষ করা যায়। 

এন্ট্রোকোয়ানাল পলিপ নির্ণয়ের জন্য এক্সরে এবং সিটি স্ক্যান করলেই বোঝা যায় পলিপের অবস্থান ও ব্যাপকতা। সেইসঙ্গে নাকের অন্য কোনো টিউমারের কারণে এটি হয়েছে কি না তাও দেখা প্রয়োজন। 

আর/এস 

Leave a Comment