জরায়ু নিচে নেমে যাওয়ার কারণ ও লক্ষণ

  • ওমেন্সকর্নার ডেস্ক
  • আগস্ট ২৭, ২০১৮

বিভিন্ন কারণে জরায়ুর স্থানচ্যুতি ঘটতে পারে। লিগামেন্ট নামক দড়ির মতো কাঠামো দিয়ে জরায়ু নিজেকে স্ব-স্থানে ধরে রাখে।যেকোনো কারণে এই কাঠামো দুর্বল হয়ে গেলে জরায়ুর অবস্থান স্বাভাবিক থাকে না। নিচে চলে আসে।

জরায়ু নিচে নেমে যাওয়ার কারণ সমূহঃ

জন্মগতঃ যেসব মাংস পেশি জরায়ুকে সঠিক স্থানে ধরে রাখে , তাদের কারো জন্মগত দুর্বলতা থেকে থাকে।

জন্মের পরঃ জন্মের পরের বলতে এক্ষেত্রে আমরা সন্তান ধারণের সময়টাকেই বুঝি । সন্তান জন্মধারণের পরে বেশ কিছু কারণে প্রলাপস হতে পারে। জরায়ুমুখ সম্পূর্ণ রকমে খোলার আগেই যদি চাপ দেয়া হয়, অতিরিক্ত টানাটানির কারণে হতে পারে। ডেলিভারি বিলম্বিত হলে, প্লাসেন্টা বের করার জন্যে জরায়ুতে নিচের দিকে অতিরিক্ত চাপ দিলে। অনেক বেশি সন্তান ধারণের ফলে হয়। মা খালা দের মধ্যে যাদের চার – পাঁচ টা নরমাল ডেলিভারি হয়েছে খোঁজ নিলে দেখা যাবে তাদের প্রায় সবারই একটু হলেও এই সমস্যাটা আছেই । বয়স বাড়ার সাথে সাথে মাংস পেশি দুর্বল হয়ে যায় এবং ইস্ট্রোজেন হরমোন কমে আসতে থাকে। হরমোনাল সাপোর্টের অভাবও একটি বড় কারণ।

লক্ষণ

- অস্বস্তিকর অনুভূতি। ঋতুস্রাবের রাস্তায় কোনো কিছু বের হয়ে আসছে বা জায়গাটা ভরা ভরা মনে হবে।

- দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় কোমরে ব্যথা হতে পারে।

- ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া, প্রস্রাব অসম্পূর্ণ হওয়ার অনুভূতি, অনেক সময় অনবরত প্রস্রাব ঝরা, যদি স্ফিংটার ঢিলে হয়ে যায়।

- কোষ্ঠকাঠিন্য, পায়খানা অসম্পূর্ণ হওয়ার অনুভূতি।

- সাদাস্রাব, পুঁজমিশ্রিত বা লালচে স্রাব যেতে পারে।

চিকিৎসা : চিকিৎসার জন্য পরীক্ষা করে নির্ণয় করতে হবে জরায়ুর স্থানচ্যুতি কত ডিগ্রি, অর্থাৎ জরায়ু কোন অবস্থানে রয়েছে। অস্ত্রোপচার এর উপযুক্ত চিকিৎসা। তবে কোনো ডিগ্রি প্রলাপস, আদৌ সন্তানের প্রয়োজন আছে কি না ইত্যাদি বিবেচনা করে অস্ত্রোপচার করা হয়। অন্যথায় সামায়িকভাবে ‘রিং পেশারি’ পরিয়ে দেওয়া হয়। তাতে জটিলতা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।

আরো পড়ুনঃ জরায়ু মুখের ক্যান্সার নির্ণয় পদ্ধতি ‍‍`প্যাপ স্মেয়ার‍‍`

আর/এস 

Leave a Comment