জরায়ু মুখের ক্যান্সার নির্ণয় পদ্ধতি ‍‍`প্যাপ স্মেয়ার‍‍`

  • ওমেন্সকর্নার ডেস্ক
  • আগস্ট ২, ২০১৮

জরায়ুমুখ ক্যানসার বিশ্বব্যাপী নারী-মৃত্যুর অন্যতম কারণ। পরিসংখ্যান অনুযায়ী বাংলাদেশেও প্রতিবছর প্রায় ১৮ হাজার নারী নতুন করে জরায়ুমুখ ক্যানসারে আক্রান্ত হন এবং প্রতিবছর প্রায় ১২ হাজার নারী এই ক্যানসারে মারা যান। জরায়ুমুখে মরণব্যাধি ক্যানসার কারও শরীরে বাসা বাঁধছে কি না, তা বের করা সম্ভব ‘প্যাপ টেস্ট’ নামের একটি পদ্ধতির মাধ্যমে।

প্যাপ টেস্ট কি ?
প্যাপ টেস্ট এর অপর নাম প্যাপ স্মেয়ার। জরায়ু মুখের ক্যান্সার এর  পূর্বাভাস পাওয়ার জন্য চিকিৎসকেরা এটি করে থাকেন। জরায়ু এবং যোনিপথের সংযোগস্থল হল জরায়ু মুখ। এটি জরায়ুর নিম্ন প্রান্ত। প্যাপ টেস্ট করার জন্য চিকিৎসকরা হাঁসের ঠোটের মত দেখতে স্পেকুলাম নামক একটি যন্ত্র ব্যবহার করে যোনিপথের দেয়াল প্রসারিত করেন। এরপর অন্য একটি যন্ত্র ব্যবহার করে যোনিমুখ থেকে টিস্যু সংগ্রহ করা হয়। এরপর পরীক্ষাগারে অণুবীক্ষণ যন্ত্রের নিচে সেই টিস্যু পরীক্ষা করা হয় কোনও অস্বাভাবিকতা আছে কিনা। অবশ্য স্পেকুলাম ব্যবহার করা মানে এই নয় যে প্যাপ টেস্ট করা হচ্ছে।  

১৯৪৭ সালে এটি আবিষ্কার করেন ডা. জর্জ প্যাপনিকুলো। এটি সহজ ও ব্যথামুক্ত পরীক্ষা। এ পরীক্ষার মাধ্যমে ক্যানসারের আগের স্তরও ধরা পড়ে। জরায়ুমুখের কিছু কোষ নিয়ে এ পরীক্ষা করা যায়। যৌনজীবনে প্রবেশ করেছেন  এমন প্রত্যেক নারীর এ টেস্ট করা প্রয়োজন। বিশেষ করে বয়স ৩৫ বছরের পর অবশ্যই এ পরীক্ষাটি করা উচিত।

আর/এস 
 

Leave a Comment