আপনি বাচ্চাকে ভুলভাবে খাওয়াচ্ছেন নাতো?

  • ওমেন্সকর্নার ডেস্ক 
  • সেপ্টেম্বর ৮, ২০১৮

সন্তানের খাবার নিয়ে সব মায়েরা এতো উদ্বিগ্ন থাকেন যে প্রায় সময় কিছু ভুল বা বিভ্রান্তি হয়ে যায়। প্রায় সময় মায়েরা খুব নরম করে খাবার বানান যে বাচ্চা সেই খাবার গিলেই ফেলে, চিবুতে আর শেখে না। মূলত এই সময় মাড়ি শক্ত হয়, তাই এমন ঘন করে খাবার বানানো উচিত যেন কাত করলে বাটি থেকে পড়ে না যায়।

বাচ্চার খাবার কিন্তু ব্লেন্ডারে নরম করা ঠিক নয়। একটি প্লেটে ভাত ও অন্যান্য তরকারি নিয়ে চটকে নরম করে নিন। এতেই চলবে। খিদে না লাগলেও ঘন ঘন শিশুকে জোর করে খাওয়াবেন না। ছয় মাসের পর থেকে শিশুকে সারা দিনে আধা বাটি করে দুবার খাবার দিলেই হলো, সঙ্গে দুই বেলা নাশতা। আট মাসের পর থেকে তিনবেলা খাবারই যথেষ্ট। ছয় মাসের পর থেকে ধীরে ধীরে সব খাবারই শুরু করা যায়। অ্যালার্জি বা অন্যান্য সমস্যার কারণে কোনো খাবার দেরিতে শুরু করার প্রয়োজন নেই। কোনো খাবারে অ্যালার্জি হলে শুধু সেটাই বর্জন করতে হবে।

বড়দের জন্য তেল ছাড়া খাবার স্বাস্থ্যসম্মত হতে পারে; কিন্তু শিশুর বৃদ্ধির জন্য পর্যাপ্ত তেল দিতে হবে। তবে মসলা ও লবণ হবে খুব কম। এক বছরের আগে বাচ্চাকে গরুর দুধ দেওয়া যাবে না। তবে দুধের তৈরি খাবার, যেমন—পায়েস, দই, পুডিং ইত্যাদি খাওয়ানো যাবে। এক বছর পর গরুর দুধ খাওয়ানোর ক্ষেত্রে বাটি থেকে নিয়ে চামচ দিয়ে খাওয়ান। কারণ, ফিডার দিয়ে খাওয়ালে নিপল বিভ্রান্তি হয়, অর্থাৎ বাচ্চা বুঝতে পারে না কোনটি তার মায়ের স্তনের বোঁটা আর কোনটি বোতলের চুসনি। তা ছাড়া বোতলে সংক্রমণের আশঙ্কাও বেশি। তাই এটি বর্জন করাই শ্রেয়। বাচ্চাকে খাওয়ানোর সময় টিভি দেখানো, গান শোনানো ইত্যাদি করে মনোযোগ অন্যদিকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা উচিত নয়। খাবারটাকেই সর্বাধিক গুরুত্ব দিন। নতুন নতুন স্বাদের খাবার তৈরি করুন, যাতে শিশু খাবারেই প্রকৃত আনন্দ পায়। আর আনন্দের সঙ্গে তৃপ্তি নিয়ে খেলে তবেই না শিশুরা সুস্থ-সবলভাবে বেড়ে উঠবে।

সূত্র : এনটিভিবিডি 

Leave a Comment