চুয়াডাঙ্গা জেলা সম্পর্কে জানুন
- ইয়াসিন প্রধান সাজিদ
- জুলাই ১২, ২০২০
চুয়াডাঙ্গা জেলা বাংলাদেশের পশ্চিমাঞ্চলের খুলনা বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল। চুয়াডাঙ্গা জেলা বাংলাদেশের মধ্যে ভুট্টা,পান,শাকসবজি, খেজুরের গুড় উৎপাদনে প্রথম স্থান অর্জন কারী। অন্যান্য সকল জেলা থেকে বিশেষত্ব একটু বেশিই বলা চলে এই জেলার। চুয়াডাঙ্গা জেলায় মোট ৪টি উপজেলা রয়েছে। এ জেলাতেই ১৮৬০ সালে বাংলাদেশের প্রথম রেলওয়ে স্টেশন চুয়াডাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশন নির্মিত হয়েছিল।চুয়াডাঙ্গা জেলার আয়তন মোট ১,১৭৪.১০ বর্গকিমি। জনসংখ্যা রয়েছে মোট ১৯,৩৯,০১৫ এবং জনঘনত্ব ১,৭০০/বর্গকিমি।
আরো পড়ুন : প্রশাসনিক অঞ্চল সাতক্ষীরা সম্পর্কে জানুন
২০১৮ সালের পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের এক প্রতিবেদন মতে চুয়াডাঙ্গা জেলার বর্তমান জনসংখ্যা ২৫ লক্ষ প্রায়। জেলাটির স্বাক্ষরতার হার মোট 100%। এদিক থেকেও জেলাটি বাকি জেলা থেকে সম্পূর্ণ এগিয়ে। দেশের নিরক্ষরমুক্ত জেলা হিসেবে চুয়াডাঙ্গা জেলা বেশ পরিচিত। সমগ্র জেলার শিক্ষার হার ৯৯.৯৯ % এবং শহরের জনসংখ্যা ১০০% শিক্ষিত। চুয়াডাঙ্গা জেলার আয়তন ১১৭৪.১০ বর্গ কিলোমিটার। চুয়াডাঙ্গা জেলার উত্তর-পূর্বদিকে কুষ্টিয়া জেলা, উত্তর-পশ্চিমে মেহেরপুর জেলা, দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্বে, ঝিনাইদহ জেলা, দক্ষিণে যশোর জেলা, এবং পশ্চিমে ভারতের নদিয়া জেলা অবস্থিত। জেলাটির মূল শহর চুয়াডাঙ্গা মাথাভাঙ্গা নদীর তীরে অবস্থিত।
চুয়াডাঙ্গা বাংলাদেশের মধ্যে ভুট্টা,পান, শাকসবজি, খেজুরের গুড় উৎপাদনে প্রথম স্থান অর্জন কারী জেলা । তাছাড়াও বাণিজ্যিক ফুল এবং আম উৎপাদনে বাংলাদেশের জেলাসমূহের মধ্যে দ্বিতীয়। জেলাটিতে রয়েছে অসংখ্য মুরগির খামার, মাছের খামার, গরুর খামার ও বড় বড় মুরগি,হাঁস ও মাছের হ্যাচারি। চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে অবস্থিত দত্তনগর ফার্মটি এশিয়ার মধ্যে বৃহত্তম কৃষিখামার হিসেবে পরিচিত। চুয়াডাঙ্গা জেলায় অনেকগুলো নদী রয়েছে। নদীগুলো হচ্ছে নবগঙ্গা নদী, চিত্রা নদী, ভৈরব নদ, কুমার নদ, মাথাভাঙ্গা নদী। এসকল উৎস থেকেই চুয়াডাঙ্গার অর্থনৈতিক অবস্থা অনেক ভালো মানে রয়েছে। অন্যান্য জেলা থেকে চুয়াডাঙ্গা তুলনামূলক অনেক বেশি ভূমিকা পালন করে দেশের অর্থনীতি সচল রাখতে।
তথ্যঃগুগল
লিখাঃসাজিদ