প্রশাসনিক অঞ্চল সাতক্ষীরা সম্পর্কে জানুন 

  • ইয়াসিন প্রধান সাজিদ 
  • জুলাই ৪, ২০২০

বাংলাদেশের অন্যতম একটি জেলা হলো সাতক্ষীরা। সাতক্ষীরা জেলা বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের খুলনা বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল। এ জেলাটির আয়তন মোট ৩,৮৫৮.৩৩ বর্গকিমি এবং এর জনসংখ্যা মোট ২০,৭৯,৮৮৪, জনঘনত্ব ৫৪০/বর্গকিমি। সাতক্ষীরা জেলার  সাক্ষরতার হার মোট ৫৩.৩২%। ( ২০১১ পরিসংখ্যান অনুযায়ী) যশোর শিক্ষাবোর্ডের নিয়ন্ত্রণে সাতক্ষীরা এর শিক্ষা কার্যক্রম চলে। সাতক্ষীরায় ১টি মেডিকেল কলেজ, ২টি কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ৪৪ টি কলেজ, ১৩৫টি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ৩৩টি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ৩৯০টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ৮৫টি মাদ্রাসা রয়েছে।

সাতক্ষীরার চারদিকের অবস্থানের কথা বললে সাতক্ষীরা জেলার উত্তরে যশোর জেলা, দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর, পূর্বে খুলনা জেলা এবং পশ্চিমে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য অবস্থিত। অবস্থানগত দিক দিয়ে সাতক্ষীরা জেলার অবস্থান বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম সীমান্তে। জেলাটির উচ্চতার দিকে বিবেচনা করলে এ অঞ্চল সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে আনুমানিক ১৬ ফুট উচুঁতে। জেলার সীমানা যেভাবে নির্ধারিত করা হয়েছিল তাতে জেলার আয়তনে উত্তর-দক্ষিণে দীর্ঘ। তবে এ বিস্তীর্ণ অঞ্চলের সব অংশে মানুষের বসবাস দেখা যায়না।
 
এর মধ্যে প্রায় এক তৃতীয়াংশ বনাঞ্চল। সুন্দরবনের মধ্যে যে পরিমাণ ভূমি তার পরিমাণ ১৪৪৫.১৮ বর্গ কিলোমিটার। সাতক্ষীরার অর্থনীতি খাত ঘেটে দেখা যায়, অচিরেই নানাবিধ কৃষিপণ্য, গৃহপালিতপশু, লবণাক্ত ও মিষ্টি পানির মাছ এবং সুন্দরবনের কাঠ, মধু ও পশুর চামড়া সুন্দরবন সংলগ্ন এলাকা হওয়ায় সাতক্ষীরার অর্থনীতির ভিত্তি হয়ে ওঠে। ব্রিটিশ শাসনের পূর্ব যুগে  বাংলার উপকূলীয় জেলাগুলোতে কিছু লবণ শিল্প গড়ে ওঠার সংবাদ পাওয়া যায়। যেগুলো থেকে সাতক্ষীরার অর্থনীতিতে প্রভাব সৃষ্টি হয়ে থাকে।

এ জেলার প্রধান বাণিজ্য কেন্দ্রগুলো হলো- বড়দল, পাটকেলঘাটা, পারুলিয়া, আখড়াখোলা, আবাদের হাট, নওয়াবেকি, ঝাউডাঙ্গা, বুধহাটা, কলারোয়া, বসন্তপুর, কালিগঞ্জ, নকিপুর, নাজিমগঞ্জ, ভেটখালি, হবিনগর, হোগলা, বুড়িগোয়ালিনী, বাঁশতলা ইত্যাদি।  এছাড়াও কয়েকটি ফিস প্রসেসিং প্লান্ট, কোল্ড স্টোরেজ, আইস প্লান্ট, রাইস মিল, অটো রাইস মিল, ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস, বেকারী, ইট ভাটা, বাঁশ ও বেতের দ্রব্যাদি, আসবাবপত্র, তাঁত, লবণ, গুড়, পাটজাত দ্রব্য ও মাছ প্রভৃতি বর্তমানে সাতক্ষীরা শিল্প বাণিজ্যে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখে চলেছে।

সাতক্ষীরার খামারের মধ্যে ৮৬ টি গবাদিপশু, ৩২২ টি পোল্ট্রি খামার, ৩০৪৬ টি মৎস্য খামার , ৩৬৫০ টি চিংড়ি খামার, ৬৬ টি হ্যাচারি এবং ১ টি গরু প্রজনন কেন্দ্র আছে। চামড়া শিল্পেও সাতক্ষীরার অবদান রয়েছে ব্যাপক। সার্বিক দিক মিলালে সাতক্ষীরা অঞ্চলটি দেশের উন্নতি সাধনে অবদান রাখে এবং সাতক্ষীরা অঞ্চলটিও একটি উন্নত জেলা বলেই গন্য হয়।

তথ্যঃ গুগল। 
লিখাঃ সাজিদ

Leave a Comment