শিশুদের পানিশূন্যতার উপসর্গ ও প্রতিরোধ
- রেজবুল ইসলাম
- মার্চ ২৬, ২০১৮
শিশুদের পানিশূন্যতার উপসর্গ হল :
• মাথার সামনে কিছু স্থান নরম হয়ে ভাঁজ পড়ার (fontanelle) মত দেখা যাওয়া
• কান্নার সময় খুব কম পরিমানে অথবা একদমই পানি বের না হওয়া
• মুখ শুকিয়ে যাওয়া
• ডায়াপার ভেজানোর মাত্রা কমে যাওয়া
• তন্দ্রাচ্ছন্নতা
• দ্রুত নিশ্বাস
***যদি আপনার অথবা আপনার বাচ্চার টানা ৫ দিনের বেশী ডায়ারিয়া চলতে থাকে অথবা যদি প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে ২৪ ঘন্টার বেশী স্থায়ী এবং শিশুদের ক্ষেত্রে ১২ ঘন্টার বেশী বমি হতে থাকে, তবে আপনার চিকিৎসকের সাথে দ্রুত যোগাযোগ করুন।
মধ্যম থেকে সহনীয় পানিশুন্যতার জন্য বাসায় কি ব্যাবস্থা নিতে পারেন?
সবচেয়ে ভাল উপায় হল প্রচুর পানি, পাতলা করা ফলের রস বা ননী-বিহীন দুধ এগুলো খেয়ে শরীরে পানির মাত্রা স্বাভাবিক করা। নবজাতক ও শিশুদের জন্য, ফলের রস পানির থেকে বেশী ভাল, যেহেতু পানি শরীরের খনিজ ঘনত্বকে আরো পাতলা করে দেয়। যদি শিশু বমি করতে থাকে, তবে তাদের অল্প পরিমানে ফলের রস বারবার দেওয়া ভাল। ওরস্যালাইন এই ক্ষেত্রে আরো ভাল। যেহেতু গ্লুকোজ জাতীয় পানীয়ে পর্যাপ্ত পরিমানে খনিজ থাকে।
কিভাবে পানিশুন্যতা প্রতিরোধ করতে হয়?
পর্যাপ্ত পরিমানে পানি খান। বাংলাদেশের গরম ও আদ্র আবহাওয়ায় আমাদের প্রতিদিন ৮-১০ গ্লাস পানি পান করা উচিত। যদি আপনি গরম আবহাওয়ায় ব্যায়াম করেন তবে স্বাভাবাবিক সময়ের চেয়ে আরো ১ লিটার পানি বেশী খান। যদি আপনার বাচ্চা ডায়ারিয়া অথবা বমিতে ভুগে, তবে পানিশুন্যতায় আক্রান্ত হতে পারে। তাই শরীর থেকে বেরিয়ে যাওয়া তরল যত দ্রুত সম্ভব পূরণ করতে হবে। আপনার শিশুর ডায়রিয়া হলে প্রতিবার টয়লেট এ যাবার পর তাকে কিছু ওরস্যালাইন দিন। তার যদি তীব্র বমি হয় এবং তাকে পান করতে দেয়া যেকোন কিছুই যদি বমি করে দেয়, তাহলে দ্রুত নিকটস্থ্য স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যান। ছোট শিশুরা দ্রুত শক-এ যাবার ঝুঁকিতে থাকে, তাই শক থেকে রক্ষা করার জন্য তার শিরায় তরল দেয়া জরুরী হতে পারে।
***মনে রাখবেন আপনার শরীর যা কাজে লাগাতে পারে তার চেয়ে বেশি মাত্রায় তরল গ্রহণ করলে আপনার রক্তে সোডিয়ামের পরিমান কমে যেতে পারে (হাইপোট্রামিয়া) এটি একটি বিপর্যয়কর অবস্থা এবং অনেক ক্ষেত্রে মৃত্যুর কারণও হতে পারে। যদি আপনি অস্বস্তি অনুভব করেন এবং পানি পান করলে পেট ফেঁপে থাকে বলে মনে হয় তাহলে সুস্থ হয়ে উঠতে নিজেকে আপনার কিছু সময় দিতে হবে।
এই উল্লেখিত তথ্য শুধুমাত্র সচেতনতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে দেওয়া হয়েছে। এটি কোনো চিকিৎসা পরামর্শ নয়।