আমি স্বপ্ন তৈরী করতে পছন্দ করি : মৌসুমী হামিদ
- ফারজানা আক্তার
- জানুয়ারি ১১, ২০১৮
আমরা যারা সাধারণ জনগণ রয়েছি তাদের সবার একটি আলাদা জানার আগ্রহের জগৎ রয়েছে । সেই জগতে আমরা সবাই তারকা বনে যাওয়া মানুষগুলোকে নিয়ে জানতে চায় । তাদের ছোটবেলা, বড়বেলা, বেড়ে উঠা, পড়াশোনা, স্কুল জীবন, কলেজ জীবন , প্রথম প্রেম, অর্জন ইত্যাদি সম্পর্কে জানার অধীর আগ্রহ রয়েছে । সেই জানার আগ্রহ থেকে আজ আমরা জানবো জনপ্রিয় অভিনেত্রী মৌসুমী হামিদ সম্পর্কে।
মৌসুমী হামিদ (Mousumi Hamid) মিডিয়ায় আসেন লাক্স চ্যানেল আই সুন্দরী প্রতিযোগিতা ২০১০ এ রানার্স আপ হওয়ার মাধ্যমে । পরবর্তীতে তিনি অভিনয় এবং মডেলিং এর সাথে জড়িত হন । খালিদ মাহমুদ মিঠু পরিচালিত ‘বাংলা আমার মাতৃভাষা’ নাটকে অভিনয়ের মাধ্যমে অভিনয় ক্যারিয়ার শুরু করলেও মোস্তফা কামাল রাজ পরিচালিত ‘বিয়োগফল’ নাটকের মাধ্যমে প্রথম ছোটপর্দায় উপস্থিত হন মৌসুমী । অনিমেষ আইচের পরিচালনায় ‘না মানুষ’ চলচ্চিত্রে কাজ করার মাধ্যমে চলচ্চিত্র অঙ্গনে যাত্রা শুরু করেন তিনি । কিন্তু চলচ্চিত্রটির নির্মান কাজ হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায় । বাংলাদেশের অধিক উচ্চতা বিশিষ্ট অভিনেত্রীদের মধ্যে মৌসুমী হামিদ অন্যতম । মৌসুমী হামিদ পড়াশোনা করেছেন সাতক্ষীরায় । সেখানে স্কুল কলেজ শেষ করার পর খুলনায় আজম খান কমার্স বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে ব্যবস্থাপনায় স্নাতক পড়াশোনা করেছেন ।
ওমেন্স কর্নারে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মৌসুমী হামিদ তার অজানা অনেক কথা শেয়ার করেছেন । মৌসুমী হামিদের সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন ফারজানা আক্তার। ওমেন্স কর্নার পাঠকদের জন্য সাক্ষাৎকারের কিছু অংশ তুলে ধরা হলো -
ওমেন্সকর্নার : প্রথমেই আপনার ছোটবেলা সম্পর্কে একটু জানবো । একটু যদি বিস্তারিত বলেন ।
মৌসুমী হামিদ : আমার আব্বু আর্মিতে ছিলেন । ছোটবেলা ক্যান্টারমেমেন্টেই বড় হয়েছি । প্রতি বছর আব্বু ট্র্যান্সফার হতো , তবে ঢাকার বাহিরে আব্বু কখনো ট্রান্সফার হয় নি । তাই ঢাকাতেই শৈশব কেটেছে । শেষবার আব্বু যশোরে ট্রান্সফার হয়েছিলেন । আব্বু খুব ভালো ভলিবল খেলেন । ভলিবল খেলাতে আব্বুর নাম ছিলো । ঢাকার বিভিন্ন কোয়ার্টারে , ক্যন্টনমেন্ট বেড়ে উঠেছি । আব্বু যখন রিট্রায়ার্ড করলো তখন আমাদের গ্রামের বাড়ি সাতক্ষীরাতে চলে গেলাম । আব্বু সেখানে ছোটখাটো বিজনেস শুরু করলো তখন আমি লোকাল স্কুলে ভর্তি হলাম, সেখানেই স্কুল শেষ করে কলেজে ভর্তি হলাম । এইচএসসির পর খুলনায় আজম খান কমার্স বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে অনার্সে ম্যানেজমেন্ট ট্রাই করলাম হয়ে গেলো । ফার্ষ্ট ইয়ার ফাইনালের পর লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করলাম । তারপরের কথা তো সবার জানা ।
ওমেন্সকর্নার : ছোটবেলা থেকেই কি নায়িকা হবার স্বপ্ন ছিলো ?নাকি শখের বসে এই পথে হঠাৎ হাঁটা শুরু করেছেন ?
মৌসুমী হামিদ : স্বপ্ন ছিলো না। তবে শখও ছিল না। খুলনাতে আমি যে হোস্টেলে থাকতাম সেখানে কয়েকজন সিনিয়র আপু লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতায় রেজিস্ট্রেশন করেছিলো । তারা আমাকেও বললো রেজিস্ট্রেশন করতে । তাদের সাথে আমিও রেজিস্ট্রেশন করেছিলাম । পরে অডিশনে শুধু আমিই টিকে গেলাম, তারা সবাই বাদ পড়েছিলো ।
ওমেন্সকর্নার : লাক্স চ্যানেল আই প্রতিযোগিতায় কিভাবে আসা হলো ? এই চলার পথটা কেমন ছিল?
মৌসুমী হামিদ : পথটা আমার জন্য খুব ভালোই ছিলো । কারণ এই প্লাটফর্মে যা যা লাগে তার কিছুরই ব্যাকগ্রাউন্ড আমার ছিলো না । তাই আমাদের ক্যাম্পে যা যা শিখানো হয়েছিলো আমি সবটাই শিখেছিলাম । প্রতিটা জিনিসই নিজের মতো করে ক্যাপচার করে নিতাম । আমি শিখেছি এবং ফলাফল স্বরূপ আমি ফার্ষ্ট রানারআপ হয়েছি । লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতায় প্রথম এক মাস আমরা মানিকগঞ্জের প্রশিখায় ছিলাম । তারপর যখন টপ ১০-এ চলে আসলাম তখন গুলশানে আমাদের রাখা হলো । তারপর একের পর এক রাউন্ড পার হয়ে ফাইনালি ফলাফল তো সবার জানা ।
ওমেন্সকর্নার : আপনি বেশি কয়েকটি নাটকে , চলচ্চিত্রে কাজ করেছেন । সেগুলোর মধ্যে আপনার পছন্দের নাটক, চলচ্চিত্র এবং চরিত্রের কথা শুনবো ।
মৌসুমী হামিদ : একজন অভিনেত্রী যে কয়টা চরিত্রে কাজ করে প্রতিটা চরিত্রই তার পছন্দের । কারণ চরিত্রগুলো তার পছন্দ হয় বলেই সে কাজ করে । তার মধ্যে উল্লেখ যোগ্য কিছু কাজ থাকে । তবে আমার সব কয়টা কাজই আমার প্রিয় । আমি কিছু কিছু কাজের কথা বলি - আমার প্রথম সিরিয়াল ফেরদৌস হাসান রানার 'মার ছক্কা' ঐটাতে আমি নিজেও ছক্কা মেরেছিলাম । ক্যারিয়ারের প্রথম যে দুইটা কাজ আমি করেছিলাম সেই দুইটাতেই আমি ছক্কা মেরেছিলাম । এই কাজগুলো করে আমি অনেক বেশি স্যাটিসফাইড হয়েছি । আমি তো আগে কখনো অভিনয় করি নাই , এই দুইটা কাজ আমার প্রথম ছিল । পরিচালক যেভাবে বলেছে তার কথা ঠিকমতো শুনে আমি কাজ করেছি এবং ফিডব্যাক খুব ভালো পেয়েছি ।
'রশ্নি' আমার খুব ভালো একটা টার্নিং পয়েন্টের কাজ ছিলো । 'নুরজাহান' কাজটাও আমার খুব ভালো ছিলো । আমি কমার্শিয়াল সিনেমায়ও কাজ করেছি আবার আর্ট ফিল্মেও কাজ করেছি । "জালালের গল্প ' সিনেমাটার কথা আলাদা করে বলতেই হবে । এই সিনেমাটা আমার পরিচিতি দেশে এবং বিদেশে দুইজায়গায় অনেক বাড়িয়ে দিয়েছে । সুমন আনোয়ারের "জীবন সঙ্গী " কাজটাও খুব ভালো ছিলো ।
ওমেন্সকর্নার : আপনার পছন্দের কয়েকজন অভিনেত্রী , অভিনেতার নাম শুনবো । (দেশ বিদেশ উভয়েরই )এবং কার বিপরীতে কাজ করার স্বপ্ন দেখছেন ?
মৌসুমী হামিদ : আমি খুব বেশি বড় স্বপ্ন দেখি না । আমি স্বপ্ন তৈরী করতে পছন্দ করি । আমি যে কাজটা করি ওইটার মধ্যেই স্বপ্ন খুঁজে নেওয়ার চেষ্টা করি । দেশের প্রিয় অভিনেত্রী হচ্ছেন সুবর্ণা মোস্তফা আপু, জয়া আপু । দেশের প্রিয় অভিনেতা ইরেশ জাকের তাকে আমার খুব ভালো লাগে । অনিমেষ আইচ ভাইয়া, জাহিদ হাসান ভাইয়া, অপূর্ব ভাইয়া পছন্দের অভিনেতা । দেশের বাহিরে গীতিকার অভিনয় আমাকে খুব টানে, প্রিয়াঙ্কা চোপড়াকে খুব ভালো লাগে । স্বপ্ন দেখি ব্রাট পিটের সাথে কাজ করার । এটা জানি কখনো হবে না কিন্তু স্বপ্ন দেখি (হাসি )
ওমেন্সকর্নার : আপনার পরিবারের কথা একটু শুনবো । তাদের কাছ থেকে কতটা সহযোগিতা পাচ্ছেন ? প্রথম থেকেই তারা আপনার উৎসাহ দিয়ে আসছিলো ?
মৌসুমী হামিদ : আমার পরিবার আমাকে খুব বিশ্বাস করে । তারা বিশ্বাস করে আমাকে কাজের অনুমতি দিয়েছে । আমি চেয়েছি আমার জন্য যেনো আমার পরিবারকে কখনো ছোট হতে না হয় । সেই ধারাবাহিকতা রেখেই আমি কাজ করে যাচ্ছি । প্রথম দিকে আব্বু খুব একটা রাজি ছিলো না । আব্বুকে জোর করে রাজি করিয়েছি । তারা আমার উপর যে বিশ্বাস রেখেছে আমি সেটা রেখেছি তাই এখন আর কোনো সমস্যা নেই । আমি যখন লাক্সে ইয়েস কার্ড পেয়েছিলাম তখন আব্বু ঢাকা আসতে অনুমতি দিচ্ছিলো না । আব্বুকে জোর করে রাজি করিয়ে ঢাকা এসেছিলাম ।
ওমেন্সকর্নার : আপনার প্রথম সিনেমা মনে হয় "না মানুষ " ছিলো । সেটার কাজ আটকে যায় । এই যে সিনেমাই পা রাখার পরই এমন একটা ধাক্কা খেলেন সেটা কিভাবে কাটিয়ে উঠেছেন ?
মৌসুমী হামিদ : 'না মানুষ ' সিনেমাটা যখন বন্ধ হয়ে যায় , তখন আমি যে ধাক্কাটা খেয়েছিলাম সেটা সামলিয়ে উঠতে আমার অনেক কষ্ট হয়েছে । এই সিনেমাটার জন্য আমি ১বছর অন্য কোনো কাজ করি নি । সে সময়টাতে ঢাকা শহরে চলতে আমার অনেক কষ্ট হয়েছে । সেই প্রথম আমি ফিন্যান্সিয়াল সমস্যার মুখোমুখিও হয়েছিলাম । 'না মানুষ' একদিকে আমার প্রথম সিনেমা ছিলো, অন্যদিকে অনিমেষ আইচ এর মতো পরিচালক ! এই 'না মানুষ ' নিয়ে আমি অনেক আশাবাদী ছিলাম । অনেক কষ্ট করেছি এই সিনেমাটার জন্য। সোজা কথায় আমি যদি বলি - একজন মেয়ে যখন প্রথম মা হয় তখন তার সন্তানকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন থাকে । কোনো কারণে যদি সেই স্বপ্নটা সত্যি না হয় তাহলে স্বপ্নের পরিমান সমান কিন্তু কষ্ট পায় , বুকের ভিতর সারাজীবনের জন্য একটা চাপা পেইন থাকে। 'না মানুষ ' আমার কাছে ঠিক তেমনই একটা । এই পেইনটা আমি এখনো মাঝে মাঝে পাই।
ওমেন্সকর্নার : একজন অভিনেত্রীর জীবনে আপ- ডাওন থাকবেই । এই আপ- ডাওন আসলে সবার জীবনেই থাকে । আপনি কিভাবে এই সময়গুলো মোকাবেলা করেন ?
মৌসুমী হামিদ : ক্যারিয়ারে ডাউন বা ভাটা বলতে সেটা আমি ফেইস করেছি 'না মানুষ' - এর সময়ে । এক তো সেটা আমার শুরুর দিকে ছিলো , অন্যদিকে তখন আমি অন্য কোনো পরিচালকের কাজ হাতে নিই নাই । দেখা যেতো আমি সিনেমার মহড়াতে চলে যেতাম, অন্য কোনো পরিচালককে শুটটিং এর ডেট দিতাম না । অন্য পরিচালকরা তখন আমাকে ভুল বুঝতো । তারা ভাবতো আমি একটা মহড়াকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি তাদের থেকে । 'না মানুষ ' এর ১বছরের মধ্যেই আমি 'রশ্নি' করেছি । তাই খারাপ সময়টা আমি এতো ফিল করে নি । আর আমি কাজ নরমালি করে যাই । আমি এতো বেশি এক্সপেকশন রাখি না যে আমাকে সেই জায়গায় যেতে হবে, ঐটা হতে হবে । দেখা গেছে নতুন একজন পরিচালক আমাকে এসে একটা স্ক্রিপ্ট ধরিয়ে দিয়ে বলে আপু এটা করে দেন । আমি কাজ করি এবং যখন যে কাজ করি মন দিয়ে করি । আমার কাজে আমি স্যাটিসফ্রিড আছি ।
ওমেন্সকর্নার : বিনোদন জগতের মানুষদের নিয়ে নানা গুঞ্জন উঠে । বিশেষ করে এমন কিছু গুঞ্জন থাকে যা ছেলে মেয়ে সবার জন্যই বিব্রতকর । আপনি এই বিব্রতকর সময়টুকু কিভাবে হ্যান্ডেল করেন ?
মৌসুমী হামিদ : এই ধরণের সমস্যা আমি মোকাবেলা করি নি । অনেকে জুটি হয়ে কাজ করে তখন এই জুটি সেই জুটি এমন কিছু একটা কথা উঠে যায় । আর মিডিয়ার মানুষদের সাথে আমি তেমন ঘুরাফেরা করি না । আমার নিজের একটা পার্সোনাল লাইফ আছে । কাজের বাহিরে আমি তেমনটাই থাকতে পছন্দ করি ।
ওমেন্সকর্নার : আমাদের দেশে অনেক মেয়েই ঘরের বাহিরে কাজ করছে । এমনকি অনেক ক্ষেত্রে তারা অনেক পুরুষদের থেকে অনেক বেশি এগিয়ে। আপনি এটাকে কতটা পজেটিভ ভাবে দেখছেন ? কি বলবেন মেয়েদের এই অগ্রগতিকে ?
মৌসুমী হামিদ : এটা অবশই আমি পজেটিভলি দেখি । আর ছেলেদের থেকে মেয়েরা বেশি এগিয়ে যাচ্ছে এই কথাটা আমি যখন ভাববো তার অর্থ হচ্ছে আমি ছেলেদেরকে বেশি প্রায়োরিটি দিচ্ছি । ছেলেদের বেশি প্রায়োরিটি দিয়ে যখন বলছি মেয়েরা এগিয়ে যাচ্ছে এবং সেটা নিয়ে প্রাউড ফিল করছি , এই ব্যাপারটা আমার কাছে একটু কেমন যেন লাগে । একজন ছেলের থেকে মেয়ে বেশি এগিয়ে যেতেই পারে, আবার একজন ছেলে মেয়ের থেকে বেশি এগিয়ে যেতেই পারে। এটা খুব নরমাল একটা ব্যাপার । মেয়েরা বেশি এগিয়ে যাচ্ছে এই ব্যাপারটায় যখন মাথায় আসে তখন তো বলতেই হয় তার মানে আমরা ধরেই নিয়েছিলাম মেয়েরা কখনো এগিয়ে যেতে পারবে না । মেয়েরা দুর্বল । মেয়েরা একটু বেশি কিছু করলেই সবাই সেটাকে নিয়ে খুব প্রাউড ফিল করে । কিন্তু আমি মনে করি সবাই মানুষ , সবাই সমান । একজন ছেলেও মানুষ , একজন মেয়েও মানুষ। কাজের দক্ষতা যার যত বেশি সে তত বেশি ভালো করবে সেটা মেয়েই হোক কিংবা ছেলেই হোক ।
ওমেন্সকর্নার : মেয়েরা আগের থেকে অনেক বেশি শিক্ষিত হয়েছে, কর্মজীবী হয়েছে তবুও কিন্তু তারা ঘরে বাহিরে এখনো শারীরিক মানসিকভাবে হ্যারাসমেন্টের শিকার হচ্ছে । একে কিভাবে দেখছেন ?
মৌসুমী হামিদ : আমাদের সমাজ একজন পুরুষকে সবসময় সাপোর্ট হিসেবে দেখে এসেছে । একজন পুরুষকে যদি সাপোর্ট হিসেবে না দেখে তাকে একজন বন্ধু হিসেবে , মানুষ হিসেবে , স্বামী হিসেবে, ভাই হিসেবে দেখা হতো তাহলে কিন্তু এতো সমস্যা হতো না। আমরা ধরেই নেই একজন মেয়ে অফিসে গেলে ওর বস হয়তো তার দিকে খারাপ নজর দিবে । কিন্তু একজন বস খারাপ নজর দিবে, এটা ধরেই নেই কেন ?কিছু কিছু জায়গায় খারাপ মানুষ আছে কিন্তু তাই বলে সবাই খারাপ হবে এমনটা ভাবা কিন্তু ঠিক না । মেয়েদের একটা সমস্যা তারা চক্ষু লজ্জার ভয়ে কাউকে কিছু বলতে পারে না । যেমন : একটা ছেলে প্রথমবার তাকে কিছু বললো বা খারাপ ভাবে তাকাইলো সে কিন্তু প্রথমবার কিছু বলে না । দ্বিতীয় বার এমন কিছু হলে তখন বলবে সে আশায় থাকে । কিন্তু মেয়েটার কি উচিত ছিলো প্রথম বারই এর প্রতিবাদ করা ।
ওমেন্সকর্নার : ওমেন্স কর্নারকে সময় দেবার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। আপনার সামনের পথগুলোর জন্য অনেক অনেক দোয়া এবং ভালোবাসা । ভালো থাকবেন ।
মৌসুমী হামিদ : ওমেন্স কর্নারকেও অনেক ধন্যবাদ। ওমেন্স কর্নারের চলার পথ শুভ হোক।