বিভিন্ন ধরণের কামিজের নাম এবং স্টাইল 

  • ওমেন্সকর্নার ডেস্ক
  • নভেম্বর ৪, ২০১৭

বর্তনামে লম্বা আর ঘের দেওয়া কামিজের জয়জয়কার। এর সাথে কামিজে  নুতন যোগ হলো তিন ‘ক’—কাটা, কলি, কুঁচি। এসব বৈশিষ্ট্য নিয়ে এখন তৈরি হচ্ছে কামিজ। ফ্যাশনবিদেরা বলছেন, লম্বা ও ঘের দেওয়া কামিজে বৈচিত্র্য আনতেই ছাট-কাটে যোগ করা হচ্ছে এসব বৈশিষ্ট্য। চলেন দেখে নিই কামিজের নাম এবং ডিজাইনগুলো। 

কোল্ড শোল্ডার :

কোল্ড শোল্ডারের  মজাটাই হচ্ছে হাতায়। ত্রিভুজ, গোলাকার, পানপাতা—হাতার মাঝ বরাবর দেওয়া হচ্ছে এমন কাট; যা আন্তর্জাতিক ফ্যাশনে কোল্ড শোল্ডার নামে পরিচিত। ড্রেসিডেলের ডিজাইনার মায়া রহমান জানালেন, যেকোনো কাপড়ের পোশাকেই মানিয়ে যায় কোল্ড শোল্ডার। পোশাকের রং, উপাদান আর নকশার ওপর নির্ভর করবে কোন ধরনের কোল্ড শোল্ডার আপনি বেছে নেবেন কামিজের হাতায়।

কলি দেওয়া কামিজ :

অতীতের সেই  কলি দেওয়া কামিজ আবার ফিরে এসেছে। সামনে-পেছনে নানাভাবে থাকছে এই কলির ব্যবহার। কামিজের গলা থেকে হাতা এবং মাঝ বরাবর লম্বা হয়ে নামছে এই কলি। পেছনের দিকেও একই ভাবে জুড়ে দেওয়া হয়েছে কলি। কামিজের পেছনের দৈর্ঘ্যটা ছুঁয়েছে গোড়ালি আর সামনের দৈর্ঘ্যটা নেমেছে হাঁটু পর্যন্ত। কলিতে গাঢ় এবং কামিজে হালকা রঙের সমন্বয় আনবে আভিজাত্যের ছোঁয়া।

ঝরনা কুঁচি :

গোল গোল হয়ে কামিজের কোমর থেকে নিচ পর্যন্ত নেমে এসেছে এই কুঁচি। দেশালের ডিজাইনার ইসরাত জাহান জানালেন, এখন তো ঘের দেওয়া কামিজের চল। তাই ঘেরে একটু বৈচিত্র্য আনতে এ ধরনের কুঁচির ব্যবহার থাকছে কামিজে। অনেকটা ঝরনার স্রোতের মতো নেমে আসছে দেখে এই কুঁচিকে বলা হচ্ছে ঝরনা কুঁচি। যাঁরা একটু ভারী গড়নের দেখে ঘের দেওয়া পোশাকগুলো এড়িয়ে চলেন, তাঁরা অনায়াসেই এই ঝরনা কুঁচির কামিজ পরতে পারেন। কামিজে ঘেরটা একটু বেশিই থাকবে, তাই হাতায় ঘেরের ব্যবহার এড়িয়ে যাওয়া ভালো। এর পরিবর্তে ঘটি বা থ্রি কোয়ার্টার হাতা ভালো দেখাবে।

মিডি কামিজ :

আদলটা মিডির মতো বলে একে বলা হচ্ছে মিডি কামিজ। বোট নেকের কলার, সামনের পুরোটাই ফাড়া আর কোমর থেকে গোড়ালির ওপর পর্যন্ত একটু বেশি ঘের, এটাই এই কামিজের বিশেষত্ব।

ফ্রক কামিজ : অনেকটা মিডি কামিজের মতোই এই কামিজের ছাঁট। তবে পার্থক্যটা হলো এর ফাড়া নেমেছে কোমর পর্যন্ত । আর কোমরের নিচ থেকে কামিজজুড়েই থাকছে ঘন ঘন কুঁচির ব্যবহার।

তথ্য এবং ছবি : গুগল 
 

Leave a Comment