আপনার ত্বকের কালার ও টোন বুঝে ফাউন্ডেশন নির্বাচন করুন

  • ওমেন্সকর্নার ডেস্ক 
  • ডিসেম্বর ১০, ২০১৭

বেস মেকআপ এর প্রধান উপকরন ভালো ফাউন্ডেশন। কিন্তু এই ফাউন্ডেশনটি কেনার জন্য দোকানে গিয়ে আমাদের অনেক ভোগান্তি পোহাতে হয়। আবার অনেক সময় দেখা যায় না বুঝে ফাউন্ডেশন কিনার  ফলে কিছু দিন পর ফেলে রাখতে হয় বা আর ব্যাবহার করা হয় না।এতে টাকার অপচয় হয়। 

নিজের স্কিন এর ধরন এবং স্কিনের কালার বুঝে ফাউন্ডেশন কিনা উচিত। অনেক সময় দেখা যায় দোকানে গিয়ে ম্যাচ করে কিনার পরেও বাসায় এসে স্কিনের কালারের সাথে আর মিলছে না। কারণ দোকানে চকচকে হলদে লাইটের নিচে এবং বাইরের দিনের আলোতে ফাউন্ডেশনের কালারটি ভিন্ন হয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে প্রথম দিনই ফাউন্ডেশনটি না কিনে একটি স্যাম্পল নিয়ে আসা উচিত। স্যাম্পলটি মেখে বাইরের নরমাল আলোতে একদিন ঘুরে পরদিন কিনা যেতে পারে।

 ফাউন্ডেশন নির্বাচনের জন্য যে কয়েকটি ব্যাপার মাথায় রাখতে হবে তা হলোঃ

 (১) স্কিন আন্ডারটোন
 (২) স্কিন কালার

প্রথমে আসি স্কিন আন্ডারটোন নিয়ে। অনেকে হয়তো ভাবছেন আন্ডারটোন আবার কি জিনিস ? আন্ডারটোন সাধারণত কুল হয়, ওয়ার্ম হয় এবং নিউট্রাল হয়। ব্যাপার গুলো শুনতে জটিল মনে হচ্ছে? হ্যাঁ, ব্যাপার গুলো অবশ্য একটু জটিল। কিন্তু আপনি যদি নিচের এই কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখেন তাহলে আশা করি এরপর থেকে আপনি নিজেই নিজের স্কিনের ধরন এবং কালার অনুযায়ী সঠিক ফাউন্ডেশনটি নির্বাচন করতে পারবেন।

যাদের চেহারায় একটু গোলাপী, লালচে বা নীলাভ ভাব থাকে তারা সাধারণত কুল আন্ডারটোনের হয়ে থাকে। আর যাদের একটু হলদে বা গোল্ডেন ভাব থাকে তারা সাধারণত ওয়ার্ম টোনের হয়। আর যাদের স্কিন আন্ডারটোন এর কোনটাই হয় না, মানে হলদেও না আবার গোলাপীও না অথবা এ দুূটোর মিশ্রন, তারা হয় নিউট্রাল আন্ডারটোনের।

যদিও স্কিনের আন্ডারটোন বুঝার নির্দিষ্ট কোন উপায় নেই কিন্তু কিছু টেস্ট আছে যেগুলোর মাধ্যমে আন্ডারটন নির্বাচন করা যেতে পারেঃ

ভেইন টেস্টঃ

অনেক সময় দেখা যায় ভেইন টেস্ট করার মাধ্যমেও স্কিনের সঠিক টোনটি নির্বাচন করা সহজ হয়ে যায়। আন্ডার টোন বুঝার একটি ভালো উপায় হচ্ছে আমাদের কব্জির যে শিরা আছে সেটি। যদি শিরার কালার হয় সবুজ তাহলে তারা হবে ওয়ার্ম আন্ডারটোন। আর যাদের শিরার কালার দেখতে নীলাভ বা রক্তাভ, তারা হবে কুল আন্ডারটোনের।

সিলভার / গোল্ড টেস্টঃ

এছাড়াও একটি ব্যাপার প্রচলিত আছে যাদেরকে সাধারণত গোল্ডেন জুয়েলারি ম্যাচ করে তারা ওয়ার্ম টোনের হয় আর যাদের সিলভার কালারের জুয়েলারি মানায় তারা হয় কুল টোনের।

কমপ্লিমেন্ট টেস্টঃ

কমপ্লিমেন্ট  টেস্ট হতে পারে একটি ভালো উপায়। আপনার প্রতিদিনের পরনের কাপড়, চুল এবং মেকআপের পছন্দের রঙ এর উপর আপনার চারপাশের মানুষ কি কমপ্লিমেন্ট করছে তার একটি তালিকা তৈরি করে ফেলুন। লক্ষ্য করুন, যদি অধিকাংশ মানুষ একটি নির্দিষ্ট কালারের উপর আপনাকে বেশি কমেন্ট করে, তাহলে বুঝে নিন সঠিক পথ ধরেই হাটছেন।

ক্লথিং টেস্টঃ

ক্লথিং টেস্টের মাধ্যমেও কাজটি করা যায়। আপনি যদি একটু ডার্ক  স্কিনের হয়ে থাকেন খেয়াল করুন এর বিপরীত কালারটি আপনার উপর কিভাবে প্রতিফলিত হচ্ছে। যেমনঃ হলুদ-সবুজ (ওয়ার্ম) বা নীল-সবুজ (কুল) এবং নীল-লাল (কুল) বা কমলা- লাল (ওয়ার্ম) ।

হোয়াইট ফেব্রিক টেস্টঃ

একটি  সাদা তোয়ালের সাহায্যে পুরো চুল ঢেকে নিন অথবা আপনার গলা বা কাঁধের উপর আলতোভাবে একটি তোয়ালে দিয়ে ঢেকে লক্ষ্য করুন। তোয়ালের সাদা রঙের সাথে আপনার স্কিন কালারটি কেমন প্রতিফলিত হচ্ছে। সাদা কালারটির সাথে স্কিনের কালার প্রতিফলিত হওয়ার ফলে যদি আপনার মুখটি দেখতে বেশী হলদে মনে হয়, তাহলে আপনি ওয়ার্ম টোন। আর যদি নীলাভ ভাবটি বেশি প্রতিফলিত হয় আপনি কুল টোনের। এটিও একটি উপায় স্কিন আন্ডার টোন বুঝার।

স্কিন কালার অনেক ক্ষেত্রেই ভিন্ন মনে হতে পারে। লাইটের নিচে থাকলে এক রকম আবার দিনের আলোতে বার হলে এক রকম। দেখা যায় শীতের দিনে দেখতে আমাদের একটু ফর্সা লাগে আবার গ্রীষ্ম অথবা বসন্তের দিনগুলো দেখতে কালো লাগে। যদিও আমাদের স্কিনের আন্ডারটোন ঠিকই থাকে কিন্তু মনে হয় এটি পরিবর্তন হচ্ছে।

তথ্য এবং ছবি : গুগল  

Leave a Comment