আধুনিক গয়নায় দেশীয় ডিজাইন

  • ওমেন্সকর্নার ডেস্ক
  • অক্টোবর ২৩, ২০১৭

একজন সত্যিকারের পথিক যখন পথে নামেন , তখন ঠিক তিনি তার গন্তব্য খুঁজে নেই। হোক সে পথ মসৃণ কিংবা বন্ধুর ! এদেশে কিছু মানুষ যখন প্রচলিত ধারার বাহিরে যেয়ে গহনা বানাতে শুরু করেছিলো তখন কিন্ত বর্তমানের মতো চাহিদা ছিলো না। তাই বলে ডিজাইনাররা কিন্ত হাল ছেড়ে দেন নাই।  নিজেদের কাজ নিজেরা ধৈর্য নিয়ে করে গেছেন।  যার ফলাফল আজ তারা দেখতে পাচ্ছেন। ম্যাটেরিয়াল, মোটিফ, নকশার আমেজ সব মিলিয়ে ডিজাইনাররা ভরসা পেয়েছেন দেশীয় ধারায়। দেশীয় এসব গয়নাকে জনপ্রিয় করেছেন আজকের প্রজন্মের তরুণদের কাছেও।

দেশীয় ধারার গহনা বললে প্রথমেই আমাদের চোখে ভেসে উঠে মাটির গহনা। বাংলাদেশে এই উপাদান সহজলভ্য তাই ডিজাইনাররা একে নিয়েই কাজ শুরু করেন। জনপ্রিয় হয়েছে অনেক এই গহনা। সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে গহনায় বৈচিত্র্যে এসেছে সুতা, মাটি, কাঠ কিংবা পাথরের নকশা। এক সময় এদেশের ফ্যাশন সচেতন নারী পুরুষেরা পশ্চিমা দেশগুলো থেকে গয়না এনে স্টাইলিশ হয়ে উঠতেন। তারাই এখন দেশীয় গয়না থেকে নিজেদের পছন্দের গহনা বেছে নিচ্ছেন।

শুরুর দিকে যারা এই কাজ করার সাহস দেখিয়েছে তাদের একজন মাহিন খান। আশির দশকে তিনি প্রথম কাজ শুরু করেন। তিনি তখন মাটি বা কাঠের বেইজে কাজ করেন নি। তিনি কাজ শুরু করেছিলেন তখনো অপ্রচলিত কিন্তু পরিচিত এক উপাদান রুপা নিয়ে। তিনি রূপাকেই গয়নার ম্যাটেরিয়াল হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন। তাতে যোগ করেছেন দেশীয় নকশা। মার্কড়ি, কড়া, বালা, হাঁসুলি এমন সব ঐতিহ্যবাহী নকশা এসেছিল মাহিনের নিরীক্ষায়। তরুণ প্রজন্মের প্রধান আকর্ষণ এখন মাটি, কাঠ, সিমেন্ট, কাপড় কিংবা পাটের মতো একান্ত দেশীয় ম্যাটেরিয়াল গহনা।

আদি'র ডিজাইনার আম্মান রশীদ প্রথম উৎসাহ পান আফ্রিকার গয়নার ধরায়। তিনি এ ধারাকে একেবারে দেশীয় আমেজে ব্যবহার করেছেন। ম্যাটেরিয়ালে তামা, রূপা, কড়ি, শেল বা শোলা−যাই হোক না কেন, নকশায় থাকে ঐতিহ্যের টান। আম্মান বলেন, আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে বহু আগে থেকেই নিজস্ব নকশা প্রচলিত। আমরা দীর্ঘদিন ধরে ধার করা নকশা নিয়েছি তবে এখন সময় বদলেছে। পশ্চিমের হালকা ধাঁচ কিংবা আফ্রো-ইন্ডিয়ান ভারী মুড,যেকোনো কিছুই এখন মানিয়ে যায় আমাদের নকশায়

 

 

Leave a Comment