যেসব খাবারে  দূর হবে মুখের ব্রণ !

  • ওমেন্সকর্নার ডেস্ক
  • নভেম্বর ১৯, ২০১৭

ব্রণ যেকোনো বয়সী ছেলে-মেয়ের কাছে খুব মারাত্মক একটি সমস্যা। ব্রণের কারণে যে শুধু দেখতেই খারাপ লাগে তা নয়, বরং মাঝে মাঝে অনেক জায়গায় লজ্জায় পড়তে হয়। আজ এই আর্টিকেলে এমন কিছু খাবারের নাম বলবো যা নিয়মিত খেলে আপনি মুক্তি পাবেন আপনার মুখের ব্রণ থেকে। 

অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা, রাত জাগা, কম পানি খাওয়া, হরমোনের পরিবর্তন, খাদ্যাভ্যাস সহ নানা কারণে ব্রণ হতে পারে। তবে ব্রণের নির্দিষ্ট কোন কারণ বের করা বেশ দুঃসাধ্য। তবে ১৬ থেকে ৩০ বছর বয়সী সবারই কমবেশি ব্রণের সমস্যা হতে পারে। গবেষকরা মনে করেন, ব্রণের গঠনে সবচেয়ে সহায়ক হল হরমোনের পরিবর্তন। মানুষের হাই স্ট্রেস ব্রণ সৃষ্টিতে বেশ পটু। তাই, অবশ্যই রিলাক্স থাকার চেষ্টা করতে হবে। তা না হলে স্ট্রেস হরমোন করটিসল নিঃসৃত হওয়ার কারণে আপনার ত্বকের উপর প্রভাব পরে।

মাছ:

মাছ আমিষ জাতীয় খাবার। এতে আছে ওমেগা-৩ ও ওমেগা-৬। এসব উপাদান ত্বকের প্রদাহ দূর করে। তাই, ওমেগা-৩ ও ফ্যাটি এসিড সমৃদ্ধ মাছ খাদ্যতালিকায় রাখলে অবশ্যই ব্রণের প্রদাহ কমবে।

বিটা ক্যারোটিন জাতীয় খাবার:

কমলা, মরিচ, গাজর ও মিষ্টি আলুতে আছে বিটা ক্যারোটিন। বিটা ক্যারোটিন শরীরে ভিটামিন-এ তে রূপান্তরিত হয়। যার ফলে শরীরে সেলেনিয়ামের শোষণ বৃদ্ধি করে যা ত্বকের জন্য উপকারী। দিনে আধা কাপ হলেও এসব বিটা ক্যারোটিন জাতীয় বা লাল, হলুদ ও সবুজ বর্ণের সবজি খাবেন।

গ্রিন টি:

অনেকেই জানেন যে গ্রিন টি ওজন কমাতে সাহায্য করে। তাই অনেকেই এটি পান করে থাকেন। তবে এতে থাকা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ব্রণ দূর করতে বেশ কার্যকরী। আপনি এটি পান করার পাশাপাশি ত্বকে লাগাতেও পারেন। টি ব্যাগ ঠাণ্ডা পানিতে ভিজিয়ে বা ফ্রিজে রেখে ঠাণ্ডা করে ত্বকে লাগালে ব্রণের উপদ্রব কমে।

বাদাম:

আপনার শরীরে যদি জিংক ও সেলেনিয়ামের ঘাটতি থাকে তবে ব্রণের উপদ্রব হতে পারে। এই ঘাটতি মেটাতে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় যোগ করুন একমুঠো বাদাম। তাছাড়া, বাদাম ওজন কমাতেও সহায়ক।

ফল ও শাকসবজি:

বিজ্ঞানীরা পাপুয়া নিউগিনি ও প্যারাগুয়ের টিনএনজারদের মধ্যে গবেষণা করে দেখেন যে, তাদের মুখে ব্রণের কোন সমস্যা নেই। তাদের খাদ্যাভ্যাস লক্ষ্য করে দেখা যায়, তারা চিনি ও ময়দার তৈরি খাবার খায় না এবং ফল-শাকসবজি বেশি পরিমানে খেয়ে থাকেন।

লাল আঙুর:

কমবেশি সবাই লাল আঙুর পছন্দ করে থাকেন। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। যা ত্বকের প্রদাহ কমিয়ে ব্রণ দূর করে।

ব্রকলিঃ

ব্রকলিতে আছে ভিটামিন এ, বি, সি এবং ই । সুন্দর ত্বক পেতে এর কোন জুড়ি নেই। ব্রণের প্রবণতা কমাবার পাশাপাশি এটি আপনাকে দিবে উজ্জ্বলতা।

রসুন:

রসুনের স্বাস্থ্য উপকারিতা বলে শেষ করার মত নয়। এটি ত্বকের ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করতে সাহায্য করে। তাই, প্রতিদিন এক কোয়া করে কাঁচা রসুন খেতে পারেন।

এসব খাবারের পাশাপাশি অবশ্যই পর্যাপ্ত পানি পান করবেন। তাছাড়া, তরমুজ, ডিম, টমেটো, বাদামি চাল, অ্যাভোকাডো ইত্যাদি খেলে ব্রণ সেরে যায়। আপনাকে ব্রণের সমস্যা দূর করতে চিনি, দুধ, ফাস্টফুড, জাঙ্কফুড, চিপস, কেক, কুকিস ও সিরিয়াল খাওয়া ত্যাগ করতে হবে।

তথ্য এবং ছবি : গুগল 


 

Leave a Comment