মিষ্টি আলু চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত

  • ওমেন্স কর্নার ডেস্ক
  • সেপ্টেম্বর ১, ২০২১

মিষ্টি আলুর গাছ একটি লতানো বিরুৎ। বৈজ্ঞানিক নাম pomeoa batatas. ইহা Convolvulaceac পরিবারের অন্তর্ভুক্ত। ইংরেজিতে একে sweet potato বলে।

গ্রীষ্মপ্রধান জলবায়ুতে এটি দীর্ঘজীবী, একবার লাগালে বছরের পর বছর বেঁচে থাকে। রবি মৌসুমে মিষ্টি আলু চাষ লাভজনক। খরিপ মৌসুমে সবজি/ শাক/ গো খাদ্য হিসেবে চাষ করা লাভজনক।

পুষ্টি মূল্য: মিষ্টি আলু বাংলাদেশের সাধারণত গরিবের খাদ্য হিসেবে বিবেচিত হয়। প্রতি ইউনিট জমিতে মিষ্টি আলু থেকেই সবচেয়ে বেশি ক্যালোরি উৎপন্ন হয়। হলদে শাঁসযুক্ত ১৩ গ্রাম ভিটামিন আলু খেলে একজন পূর্ণ বয়স্ক লোকের ভিটামিন এ এর চাহিদা পূরণ হয়।

ব্যবহার: প্রক্রিয়াজাত করণের মাধ্যমে হালুয়া, চিপস, জ্যাম, জেলি, মিষ্টি ইত্যাদি মিষ্টি আলো থেকে তৈরি করা যায়।

আরো পড়ুনঃ মশা তাড়ানোর সহজ ঘরোয়া উপায়

উপযুক্ত জমি ও মাটি: দো-আঁশ ও বেলে দো-আঁশ মাটি মিষ্টি আলু চাষের জন্য উপযুক্ত। নদীর চরের বালি প্রধানত মাটিতে ও মিষ্টি আলু চাষ করা যায়।

চারা রোপণ: কার্তিক মাস ( মধ্য অক্টোবর থেকে মধ্য নভেম্বর) মিষ্টি আলু চাষ আবাদের সবচেয়ে উপযুক্ত। লতার সংখ্যা প্রতি শতকে ২২৫ টি দরকার হয়। লতার মাথা থেকে ১ম ও ২য় খন্ড রোপন করা উচিত।

সারি থেকে সারির দূরত্ব ৬০ সেন্টিমিটার এবং আলো থেকে আলোর দূরত্ব ৩০ সেমি। সমতল পদ্ধতিতে সারি তৈরি করতে হবে ২-৩ টি গিট মাটির নিচে থাকে।

আরো পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় কোমর ব্যথা, কারণ ও প্রতিকার

সার: গোবর, ইউরিয়া, টিএসপি, এবং ইউরিয়া ও এমডি স্যারের এক-চতুর্থাংশ বপনের সময় জমিতে ভালোভাবে মিশিয়ে দিতে হবে বাকি ইউরিয়া এবং এমপি সার বপনের ৬০ দিন পর সারির পাশে প্রয়োগ করতে হবে।

সেচ ও আগাছা ব্যবস্থাপনা: জমির আর্দ্রতার উপর নির্ভর করে ২-৩ টি সেচ দিতে হবে। ইউরিয়া সার পার্শ্ব প্রয়োগের সময় ২ বার গাছের গোড়া বেঁধে দিতে হবে।
ফসল সংগ্রহ: চারা রোপণের ১৩০-১৫০ দিনের ভেতর মিষ্টি আলু উঠানো যায়।

আরো পড়ুনঃ জিরা আলু ভাজি

এ সম্পর্কিত আরও পোস্ট

Leave a Comment