 
                                    সুস্বাদু ফল আমড়া চাষ করবেন যেভাবে
- ওমেন্স কর্নার ডেস্ক
- অক্টোবর ৯, ২০২১
আমড়া একটি সুস্বাদু ফল। দেশের বরিশাল অঞ্চল আমড়ার জন্য বিখ্যাত। তবে সব অঞ্চলেই আমড়ার চাষ করা যায়। আসুন জেনে নেই আমড়া চাষের পদ্ধতি।
বংশবিস্তার: বীজ বা কলমের মাধ্যমে আমড়ার বংশবিস্তার করা যায়। পরিপক্ক আমড়া বীজ থেকে শাঁস ছাড়িয়ে নিয়ে বালিতে রোপন করতে হয়। চারা গজানোর পর ছোট অবস্থায় চারাগুলো তুলে কম্পোস্ট ও বালিতে মিশ্রিত অন্য টবে স্থানান্তর করতে হয় এবং তারা গুলো আস্তে আস্তে বড় হয়। একটি বীজ থেকে এক বা একাধিক চারা হতে পারে।
আরো পড়ুনঃ কোন ব্যথায় কোন সেক দিবেন ?
আমড়ার বীজে ৩.৪ অংশ থাকে যেখান থেকে এই চারার অঙ্কুরোদগম হয়। কম্পোস্ট ও বালি মিশ্রিত মাটিতে তবে একবারে বীজ লাগিয়েও উৎপাদন করা যায়। তবে এক্ষেত্রে চারার অঙ্কুরোদগম ক্ষমতা কমে যায়। কলমের মাধ্যমে আমড়ার বংশবিস্তার হয়ে থাকে। তবে এক্ষেত্রে দেশী আমড়ার বীজ রুট স্টক হিসেবে ব্যবহার করা হয়। ক্লেফট পদ্ধতিতে আমড়ার কলম করা হয়।
জমি নির্বাচন: গভীর, সুনিষ্কাশিত, উর্বর দোআঁশ মাটি আমড়া চাষের জন্য উপযোগী। আমড়া চাষে উঁচু জমি নির্বাচন করতে হবে। গরমের সময় আমড়া ভালো হয়। বাংলাদেশের মাটি ও জলবায়ু আমড়া চাষের জন্য বিশেষভাবে উপযোগী।
জমি তৈরি: ভালোভাবে চাষ ও মই দিয়ে জমি সমতল ও আগাছা মুক্ত করে নিতে হবে। চারা রোপণের জন্য সমতল ভূমিতে বর্গাকার, আয়তাকার বা কুইনকান্স এবং পাহাড়ি জমিতে কন্টুর বা ম্যাথ পদ্ধতি ব্যবহার করা যেতে পারে। আমড়া চারা রোপণের জন্য ৬০*৬০*৬০ সেন্টিমিটার গর্ত করে ২০ কেজি জৈব সার ২শ' গ্রাম টিএসপি এবং ৫০ গ্রাম জিপসাম সার প্রয়োগ করতে হবে।
আরো পড়ুনঃ ‘ওয়াটার থেরাপি’ -তে আপনার ওজন কমিয়ে নিন খুব সহজে
বৃষ্টির মৌসুম এর প্রারম্ভে অর্থাৎ বৈশাখ ও জৈষ্ঠ্য মাস চারা লাগানো যায়। তবে অন্য সময়েও এর চারা লাগানো যায়। এ জাতের আমড়া বামোন আকৃতি হওয়ায় ৪-৫ মিটার দূরত্বে লাগানো উত্তম। গর্ত তৈরির ১৫-৩০ দিন পর চারার গোড়ার বল সহবতের মাঝখানে সোজা ভাবে লাগাতে হবে। চারা রোপণের পর হালকা সেচ, খুঁটি ও বেড়ার ব্যবস্থা করতে।
সার প্রয়োগ: আমড়া গাছে বছরে দুবার সার প্রয়োগ করা উচিত। প্রথম কিস্তি বর্ষার প্রারম্ভে ( এপ্রিল-মে ) এবং পরবর্তী কিস্তি বর্ষার শেষে মধ্য শ্রাবণ থেকে মধ্য ভাদ্র ( আগস্ট-সেপ্টেম্বর ) । মাটিতে জো অবস্থায় সার প্রয়োগ করতে হয়। গাছের বৃদ্ধির সঙ্গে সারের পরিমাণ বৃদ্ধি করতে হয়। সেজন্য চারা লাগানোর পর ব্যবহৃত জৈব রাসায়নিক সারের পরিমাণ জেনে নেওয়া ভালো।
সেচ প্রয়োগ: গাছের বৃদ্ধির জন্য শুকনো মৌসুমে সেচ প্রয়োগ করা উত্তম। আমড়ার ফুল ফোটার শেষ পর্যায় এবং মটর দানার সময়ে একবার, স্প্রিংকলার বা বেসিন পদ্ধতিতে সেচ প্রয়োগ করতে হবে। গাছের সার প্রয়োগের পর হালকা সেচ প্রয়োগ করা হলে সুফল পাওয়া যায়।
আরো পড়ুনঃ ঘরের কাজের মাধ্যমেই গড়ে তুলন আকর্ষণীয় ফিগার
ফল সংগ্রহ: খাওয়ার জন্য গাছ থেকে পুষ্ট ফল সংগ্রহ করা। ফল পুষ্ট হলে আমড়া সবুজ রং হালকা হয় এবং গায়ে হালকা বাদামি প্যাচ সৃষ্টি হয়। চারা তৈরির জন্য পুষ্ট ফলের বীজ থেকে চারা তৈরি করা যায়।

 
                                                   
                                                   
                                                  



