খেজুরের কিছু অসাধারণ ঔষধি গুণাগুণ
- ফারজানা আক্তার
- মে ৯, ২০১৮
খেজুর মরুঅঞ্চলের ফল । এটি পুষ্টিমানে যেমন সমৃদ্ধ, তেমনি এর রয়েছে অসাধারণ কিছু ঔষধিগুণ। এছাড়া, এই ফলটিতে রয়েছে প্রাণঘাতী রোগ নিরাময়ের ক্ষমতা। প্রত্যেক মানুষের দিনে ৫টি করে খেজুর খাওয়ার অভ্যাস রাখা উচিত। তাহলে হাজারো ধরনের শারীরিক সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। চলুন জেনে নেই খেজুরের কিছু ঔষধি গুণাগুণ সম্পর্কে -
১) খেজুর হজমে সাহায্য করে এবং কোলস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে দেহকে সুস্থ রাখে।
২) পলিফেনল রোগ-প্রতিরোধে সাহায্য করে কারণ এতে ফেনল অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও নিউট্রিয়েন্ট থাকে যা খেজুরের মাঝে বিদ্যমান।
৩) রুচি বাড়াতে খেজুরের কোন তুলনা হয় না। অনেক শিশুরা তেমন একটা খেতে চায় না, তাদেরকে নিয়মিত খেজুর খেতে দিলে রুচি ফিরে আসবে।
৪) হৃদপিণ্ডের সমস্যা দূর করতে প্রতিদিন খেজুর খাওয়া অত্যন্ত জরুরী। গবেষণায় দেখা যায়, পুরোরাত খেজুর পানিতে ভিজিয়ে সকালে পিষে খাওয়ার অভ্যাস হার্টের রোগীর সুস্থতায় কাজ করে।
৫) ভিটামিন-এ সমৃদ্ধ এই ফল দৃষ্টিশক্তির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। খেজুরে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও মিনারেল বিদ্যমান থাকায় অনেক রোগ নিরাময় করা সম্ভব। সাথে সাথে আমাদের শরীরের প্রয়োজনীয় চাহিদা মেটাতে সহায়তা করে।
৬) আমরা জানি দেহের লোহিত রক্তকণিকা সম্পূর্ণ দেহে পুষ্টি বন্টন করে, আর লোহিত রক্তকনিকার জন্য দরকার আয়রন, আর আয়রনের একটি ভাল উৎস হল খেজুর।
৭) খেজুর মায়ের বুকের দুধের পুষ্টি বাড়িয়ে দেয় তাই মায়ের মাধ্যমে তার বাচ্চা সুস্থ থাকবে দুধ পানের মধ্য দিয়ে।
৮) খেজুর রাতকানা রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে।
৯) যাদের কোষ্ঠকাঠিন্য আছে তারা নিয়মিত খেজুর খেলে কোষ্ঠকাঠীন্য দূর হবে।
১০) পটাশিয়ামের একটা অনেক বড় উৎস হল খেজুর, আর এই খেজুর শরীরের নার্ভ সিস্টেমের বিপাক ক্রিয়ায় সাহায্য করে। তাছাড়া কিডনি ,স্ট্রোক ও হার্টের বিভিন্ন সমস্যায় খেজুরের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
১১) গর্ভবতী মায়েদের জন্য খেজুর খুব উপকারী, ৬-৭ মাস থেকে সকল গর্ভবতী মায়েরা খুব দুর্বল থাকে, খেজুর এই দুর্বলতা কাটাতে অনেক সাহায্য করে এবং ডেলিভারীর পর মায়েদের যে ব্লীডিং হয় তা বন্ধ করতে খেজুর খুব সাহায্য করে।
১২) খেজুর ফুসফুসের ক্যান্সার দূরীকরণে সাহায্য করে
১৩) শিশুদের রিকেটস রোগের একটি ভাল ওষুধ হল খেজুর।
১৪)খেজুরে ভিটামিন-এ থাকায় দৃষ্টিশক্তি ভাল রাখে।
১৫) খেজুর মস্তিষ্ককে ভাল রাখে।
১৬) খেজুর পেটের গ্যাস দূরীকরণে সাহায্য করে।
১৭) কফ নির্মূল করতে, কাশি নিরাময়ে এবং এজমা দূরীকরনে খেজুর খুব গুরুত্তপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
তথ্য এবং ছবি : গুগল