আসুন জেনে নেই মশলার ব্যবহৃত অংশ এবং গুনাগুন সম্পর্কে 

  • ফাতিমা তুজ জোহরা
  • আগস্ট ১৫, ২০১৮

খাদ্যকে মুখরোচক আর সুস্বাদু করার জন্য রান্নায় সময় অথবা আগে-পরে যে সব দ্রব্য মেশানো হয় তাদের মশলা বলে। মশলা খাদ্যকে সুস্বাদু করে, খাদ্যের কটু গন্ধ দূর করে সুঘ্রাণ আনে,খাদ্য সংরক্ষণ করে আবার মুখের দুর্গন্ধও দূর করে।

চলুন জেনে আসি কয়েকটি মশলার গুণাগুণ :

পেঁয়াজ (onion) :

ব্যবহৃত অংশ: ভূনিম্নস্থ রসালো শল্কপত্র।

ব্যবহার: রান্নার কাজে এবং সালাদে ব্যবহৃত হয়।

* পিঁয়াজ হতে তরুণ সর্দির ওষুধ তৈরি করা হয়।

* কাঁচা পেঁয়াজ নিয়মিত ব্যবহারে থ্রম্বোসিস হয়না।

রসুন( Garlic) :

ব্যবহৃত অংশ: ভূনিম্নস্থ রসালো শল্কপত্র।

ব্যবহার: কাঁচা রসুন খেলে পেটের ব্যথা উপশম হয়।

*এটা বদহজম দূর করে।

*রসুনের রস সরিষার তেলের সাথে গরম করে মালিশ করলে পেশির ব্যথা, বাতের ব্যথার উপশম হয়।

*রসুন মূত্রবর্ধক,বলকারক, কামোদ্দীপক, জীবানুনাশক হিসেবেও উপকারী। 

আদা(Ginger) :

ব্যবহৃত অংশ: ভূনিম্নস্থ রাইজোম

ব্যবহার: আচার,চাটনি তৈরি ও সংরক্ষণে আদা ব্যবহৃত হয় 

*সামান্য পেট ব্যথায় লবণ দিয়ে কাঁচা খেলে তড়িৎ উপশম হয়

*পাকস্থলির বায়ুনাশক ও হজমকারক।

*অর্শরোগ,পুরাতন আমাশয়, গেটে বাত,কফনাশক,দাত ব্যথায় ও আদা উপকারি।

*আদার রস শরীরের জমে থাকা চর্বি দূর করে।

হলুদ( Turmeric) :
 
ব্যবহৃত অংশ: ভূ-নিম্নস্থ রূপান্তরিত কাণ্ড।

*তরকারি ও অন্যান্য খাদ্যদ্রব্যের কটু গন্ধ দার করে এবং সুন্দর রং আনে তরকারিতে।

*রক্ত পরিস্কারের জন্য হলুদের রস সকালে খাওয়ার প্রচলন আছে।

*হলুদ বাটা মুখের কমনীয়তা বৃদ্ধি করে। 

*এছাড়া চর্মরোগ, জন্ডিস, প্রমেহ, এলার্জি, মচকানোর ব্যথায় ও ব্যবহার করা হয়।

*হলুদ ফ্যাট টি্স্যু তৈরি হতে দেয়না

মরিচ( Red pepper or chili):

ব্যবহৃত অংশ: কাঁচা এবং শুকনা ফল

ব্যবহার: তরকারি রান্নায়, আচার, চাটনি তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।

*মরিচ ক্ষুধাবর্ধক, মেটাবলিজম বাড়ায়।

দারচিনি (Cinnamon) :

ব্যবহৃত অংশ: বাকল।

ব্যবহার: খাদ্যকে সুগন্ধময় করে তুলতে এর বহুল ব্যবহার রয়েছে। 

*বাকল হতে সংগৃহীত তেল ওষুধ ও পারফিউম তৈরিতে কাজে লাগে।

এলাচ (Cardamon) :

ব্যবহৃত অংশ: ফল

ব্যবহার: খাদ্যকে সুগন্ধযুক্ত, সুস্বাদু ও সহজপাচ্য করে।

*মুখের দুর্গন্ধ দূর করে।

লবঙ্গ (Clove):

ব্যবহৃত অংশ: পুষ্প মুকুল

ব্যবহার: খাদ্যকে সুগন্ধযুক্ত করে।

*লবঙ্গ হতে ক্লোভ ওয়েল পাওয়া যায় যা ওষুধ, পারফিউম, টয়লেট সোপ, টুথপেস্টে ব্যবহার করা হয়।

জিরা (Cumin) :

ব্যবহৃত অংশ: ফল

ব্যবহার: তরকারি ও অন্যান্য খাদ্যবস্তুকে সুস্বাদু-সহজপাচ্য করে।

* সুস্বাদু জিরাপানি তৈরিতে জিরা ব্যবহৃত হয়।

*পাইলসের সমস্যায় মিছরির সাথে জিরা মিশিয়ে খেলে উপকার হয়।

কালোজিরা (Black cumin):

ব্যবহৃত অংশ: বীজ, বীজের তেল।

ব্যবহার: কালোজিরা রান্নায়, বেকারিতে, দুগ্ধবর্ধক হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

*সর্দি, চর্মরোগ, জ্বর, কাশি, গা-ব্যথায় ও এর বহুল ব্যবহার আছে।

সূত্র : গুগল 

Leave a Comment