কলমি শাকের উপকারিতা

  • ওমেন্সকর্নার ডেস্ক 
  • সেপ্টেম্বর ২৭, ২০১৮

কলমি শাক এক ধরনের অর্ধ জলজ লতা। একে সাধারণত শাক হিসেবেই খাওয়া হয়ে থাকে। কলমি শাকের বৈজ্ঞানিক নাম আইপোসিয়া অ্যাকোয়াটিক। আর ইংরেজিতে একে water spinach বা chainess spinach বলা হয়।

কলমি শাকের আদি নিবাস কোথায় তা জানা যায়নি। তবে পূর্ব, দক্ষিন ও দক্ষিন–পূর্ব এশিয়াতে এর ব্যাপক চাষ হয়ে থাকে। আমাদের দেশের গ্রাম অঞ্চলেও কলমি শাকের চাষ করতে দেখা যায়। কলমি শাক পানিতে বা ভেজা মাটিতে জন্মে থাকে, এই শাক চাষের জন্য বেশি যত্নেরও দরকার হয় না। 

পুষ্টি গুনে কলমি শাক অনন্য। এই শাক মালয়শিয়ান ও চীনা খাবারে ব্যাপক ভাবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। আমাদের দেশে সাধারনত কলমি শাক ভাজি করে খাওয়া হয়। 

কলমি শাকের উপকারিতা : কলমি শাকে ক্যালসিয়াম থেকে বলে এই শাক হাড় মজবুত করতে সাহায্য করে। তাই ছোটবেলা থেকেই শিশুদের কলমি শাক খাওয়ানো উচিত। কলমি শাকে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি। ভিটামিন রোগ প্রতিরোধ করে। কলমি শাক বসন্ত রোগের প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে। কলমি শাকে পর্যাপ্ত পরিমানে লৌহ থাকায় এই শাক রক্ত শূন্যতার রোগীদের জন্য দারুন উপকারি। জন্মের পর শিশু মায়ের বুকের দুধ না পেলে মাকে কলমি শাক রান্না করে খাওয়ালে শিশু পর্যাপ্ত পরিমানে দুধ পাবে।

নিয়মিত কলমি শাক খেলে কোষ্ঠ কাঠিন্য দূর হয়। রাত কানা রোগ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এই কলমী শাক কয়েক সপ্তাহ প্রতিদিন একবেলা ভাজি রান্না করে খেলে রাত কানা রোগ ভালো হয়। বাগি বা ফোড়া উঠলে এই কলমী পাতা বেটে প্রলেপ দিলে বাগি মিশে যাবে। পিঁপড়া, মৌমাছি, বিছা বা কোন পোকা-মাকড় কামড়ালে এই কলমী শাকের পাতা ডগাসহ রস করে লাগালে যন্ত্রণা কমে যায়। আমাশা হলে কলমী পাতার রসের সঙ্গে আখের গুড় মিশিয়ে শরবত বানিয়ে সকাল-বিকাল নিয়মিত খেলে আমাশার উপশম হয়।

১০০ গ্রাম কলমি শাকে রয়েছে : প্রতি ১০০ গ্রাম কলমি শাকে পাওয়া যায় ২৯ কিলোক্যালোরি, সোডিয়াম ১১৩ মিলিগ্রাম, পটাসিয়াম ৩১২ মিলিগ্রাম, খাদ্যআঁশ ২.১ গ্রাম, প্রোটিন ৩ গ্রাম, কর্বোহাইড্রেটস ৫.৪ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ৭৩ মিলিগ্রাম, ফসফরাস ৫০ মিলিগ্রাম, লৌহ ২.৫ মিলিগ্রাম, জলীয় অংশ ৮৯.৭ গ্রাম।

সূত্র : গুগল 

Leave a Comment