মটরশুঁটির বিভিন্ন রকম রোগ ও রোগ দমনে করণীয়

  • ওমেন্স কর্নার ডেস্ক
  • জুলাই ২৪, ২০২১

মটরশুঁটিতে প্রধানত ডাম্পিং অফ, রাস্ট, পাউডারি মিলডিউ এবং অ্যানথ্রাকনোজ আক্রমণ করে থাকে। এসব রোগ চারা অবস্থায় আক্রমণ করে থাকে। ডাইথেন এম-৪৫ (২গ্রাম/লিটার) প্রয়োগ করে এসব রোগ দমন করা যায়। সে সাথে প্রতি লিটার পানিতে রিডোমিল এম. জেড ২ গ্রাম হারে মিশিয়ে জমিতে স্প্রে করলে ভালো ফল পাওয়া যায়।

১. মটরশুঁটির গোড়া পচা রোগ

রোগের নাম:‌‌ মটরশুঁটির গোড়া পচা রোগ

লক্ষণ:

১। চারা ও বয়স্ক অবস্থায় এ রোগের আক্রমণ হয় ও বেশি আক্রমণে গাছ মারা যায়।

২। বয়স্ক গাছ হলুদ রং হয়। আক্রান্ত গাছ ঢলে পড়ে ও শুকিয়ে যায়। মাটির সংযোগস্থলে গোড়ায় পচন দেখা দেয়।

আরো পড়ুনঃ আপনার বাচ্চার সৃজনশীলতা জাগিয়ে তুলতে জেনে নিন ৪টি স্পেশাল টিপস

ব্যবস্থাপনা:

১। আক্রান্ত গাছ তুলে নষ্ট বা পুড়ে ফেলা।

২। পানি নিষ্কাশনের ভালো ব্যবস্থা করা।

৩। অধিক আক্রমণের ক্ষেত্রে আইপ্রোডিয়ন প্রধান গ্রুপের ছত্রাকনাশক, যেমন: রোভরাল ২গ্রাম/লি. হারে পানিতে মিশিয়ে মাটিসহ গাছ ভিজিয়ে স্প্রে করুন।

সাবধানতা:

১. আক্রান্ত ক্ষেত থেকে বীজ সংগ্রহ করবেন না, জমিতে কয়েকবার অন্য ফসল চাষ করে আবার চাষ করুন।

২. অধিক পরিমাণে জৈব সার ব্যবহার করা।

৩. জমি চাষ দিয়ে কিছুদিন ফেলে রাখা।

৪. বপনের পূর্বে কেজি প্রতি ২.৫ গ্রাম প্রোভ্যাক্স বা কার্বেন্ডাজিম মিশিয়ে বীজ শোধন করুন।

আরো পড়ুনঃ ঘরে ঘরে সর্দি-জ্বর, করোনা নাকি সাধারণ জ্বর

২. মটরশুঁটির গ্রে মোল্ড রোগ

রোগের নাম: মটরশুঁটির গ্রে মোল্ড রোগ (ছত্রাকজনিত রোগ)

লক্ষণ: এ রোগ দেখা দিলে পাতায় পানি ভেজা দাগ দেখা যায় এবং ফলের উপর ছত্রাকের আস্তরণ পড়ে। একসময় ফল পচে যায় এবং গাছ মারা যেতে পারে। পটাশের ঘাটতিজনিত জমিতে এ রোগের প্রাদুর্ভাব বেশি দেখা গেছে।

তাই পটাশের ঘাটতিজনিত জমিতে শতাংশ প্রতি ৩০০ গ্রাম প্রয়োগ করলে ভালো ফল পাওয়া যেতে পারে। সমন্বিত দমন ব্যবস্থাপনা: মাটিতে ট্রাইকো কম্পোস্ট ব্যবহারের ফলে এ রোগের প্রকোপ উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পায়।

আরো পড়ুনঃ মাস্টারশেফ অস্ট্রেলিয়ায় বাঙ্গালী খাবারের চমক দেখালেন যিনি

৩. মটরশুঁটির পাউডারী মিলডিউ রোগ

রোগের নাম: মটরশুঁটির পাউডারী মিলডিউ রোগ

লক্ষণ: এ রোগের আক্রমণে পাতায় সাদা পাউডারের মতো ছোট ছোট দাগ দেখা যায়। ধীরে ধীরে এ দাগ কান্ড, ফুল ও ফলে বিস্তার লাভ করে। রোগের আক্রমণ বেশি হলে সমস্ত গাছ আক্রান্ত হয়ে মারা যায়।

সমন্বিত দমন ব্যবস্থাপনা: সময়মতো বীজ বপন করলে এ রোগের আক্রমণ এড়ানো যায়। এ রোগ দমনের সালফার জাতীয় বালাইনাশক যেমন থিয়োভিট ৮০ ডব্লিউ পি। অথবা কুমুলাস ডিএফ অথবা বেকিং সোডা ২গ্রাম/লিটার হাড়ে পানিতে মিশিয়ে ২-৩ বার স্প্রে করা।

আরো পড়ুনঃ আপনি কানকথা বিশ্বাস করছেন নাতো ? 

৪. মটরের লালমরিচা বা রাস্ট রোগ

রোগের নাম: মটরের লালমরিচা বা রাস্ট রোগ

লক্ষণ: পাতার নীচের দিকে, অফারের উপরিভাগে মরিচা রঙের ছোট ছোট দাগ দেখা যায় এবং ফল পাকার পূর্বে গাছ শুকিয়ে খড়ের বর্ণ ধারণ করে। উচ্চ আপেক্ষিক আদ্রতা, কুয়াশাচ্ছন্ন বা মেঘাচ্ছন্ন আবহাওয়া এবং রাতের তাপমাত্রা ২০-২২০ সে. হলে এ রোগ সহজে বিস্তার লাভ করে।

আরো পড়ুনঃ চুল বাড়বে ঘরোয়া যত্নে

সমন্বিত দমন ব্যবস্থাপনা: আক্রান্ত জমিতে প্রোপিকোনাজোল গ্রুপের ছত্রাকনাশক টিল্ট ২৫০ ইসি অথবা হেক্সাকোনাজোল গ্রুপের ছত্রাকনাশক ফলিকুর ২৫০ ইসি বা কনটাফ ৫ ইসি প্রতি লিটার পানিতে ১মিলি হারে মিশিয়ে ৭-১০ দিন পরপর ২-৩ বার স্প্রে করে এ রোগ দমন করা যায়।

এ সম্পর্কিত আরও পোস্ট

Leave a Comment