শালগম চাষ, জমি তৈরি, বীজ বপন, সার এবং পরিচর্যা সম্পর্কে বিস্তারিত

  • ওমেন্স কর্নার ডেস্ক
  • জুলাই ৩১, ২০২১

শালগম নাতিশীতোষ্ণ জলবায়ু উপযোগী ফসল। ১৫-২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় এটি সবচেয়ে ভালো জন্মে। গাছের দ্রুত বৃদ্ধির জন্য আলোর প্রাচুর্য প্রয়োজন। অধিকাংশ জাতি হিমাঙ্কে বেঁচে থাকতে পারে।

উচ্চ তাপমাত্রায় স্বাদ কমে যায় এবং মূল দ্রুত সময় হয়ে ওঠে। অধিক বৃষ্টিপাত শালগম এর জন্য ক্ষতিকর। হালকা দোআঁশ মাটি শালগম এর জন্য সবচেয়ে বেশি উপযোগী।

চাষের মৌসুম: বাংলাদেশ কেবল রবি মৌসুমের শালগমের চাষ সম্ভব। বৃষ্টির মৌসুম শেষ হবার পর ফসল লাগানো উচিত। চারা কচি থাকা অবস্থায় বৃষ্টি হলে ফসল সহজে নষ্ট হয়। আশ্বিন-কার্তিক ( নভেম্বরের প্রথম ভাগ থেকে ডিসেম্বরের শেষ ভাগ) বীজ বোনার সবচেয়ে উপযুক্ত সময়।

আরো পড়ুনঃ বিয়ের কেনাকাটায় কনের কসমেটিকসের তালিকায় কি কি থাকা অতি আবশ্যক?

জমি তৈরি: ৫-৬ টি চাষ ও মই দিয়ে মাটি ঝুরঝুরে করে তৈরি করতে হয়। বীজ বপন: পৃথিবীর সব দেশেই খেতে সরাসরি বীজ বপন করে শালগমের চাষ হয়, কিন্তু বাংলাদেশে কৃষকরা অনেক সময় চারা রোপণ করে শালগম জন্মিয়ে থাকেন।

বেশি আগাম ফসল ব্যতীত সময় চারা রোপন পদ্ধতি প্রয়োগ না করাই উত্তম, কারণ রোপণের সময় প্রধান শিক্ষক ভেঙ্গে গেলে নিম্নাংশ শাখায়িত হবার সম্ভাবনা থেকে যায়। তাছাড়া আধুনিক কিছু কিছু যাক বীজ বোনার ৪০-৫০ দিন পর সংগ্রহের উপযোগী হয়।

সারিতে বীজ বুনলে বা চারা রোপণ করলে সারি থেকে সারি ৩০ সেন্টিমিটার বা ১ ফুট প্রায় ১ মাসের চারা রোপণ করা যায়। চারা রোপণের ক্ষেত্রে চারা থেকে চারা ২০ সেন্টিমিটার বা ৮ ইঞ্চি দূরত্বে রোপন করতে হয়।

আরো পড়ুনঃ আপনার ওজন বাড়াবে প্রতিদিনের যে খাদ্য তালিকা !

বীজের হার: সরাসরি বীজ বুনলে ১২ গ্রাম ১কেজি ২১৫ গ্রাম ৩ কেজি চারা রোপণ করলে ২.৫ গ্রাম ২৪৫ গ্রাম ৬০০ গ্রাম সার ব্যবস্থাপনা: শালগম এর জন্য হেক্টর প্রতি ১০ টন গোবর, ১৫০ কেজি ইউরিয়া ১২৫ কেজি টিএসপি এবং ১৭৫ কেজি মিউ রেট অফ পটাশ সুপারিশ করা হয়েছে।

আগাম জাতের বেলায় সব সার ফসল লাগাবার সময় মাটির সাথে মিশিয়ে দিতে হবে, নাবি জাতের বেলায় ইউরিয়া ও পটাশিয়াম উপরি প্রয়োগ করা ভালো।

অন্তবর্তীকালীন পরিচর্যা:

- মাটিতে রসের ঘাটতি হলে সেচ দিতে হবে। সেচের পর মাটিতে ফেলে চটা ভেঙে দিতে হবে।

- চারা লাগানোর পর প্রয়োজনমতো সপ্তাহে দুটি সেচ দেওয়া হয়। পরের দিকে ৭-১০ দিন অন্তর সেচ দিলে চলে। সার প্রয়োগের পর সেচ দেওয়ার নিয়ম।

আরো পড়ুনঃ পুরানো আসবাবপত্র কেনাবেচা সম্পর্কে জেনে নিন প্রয়োজনীয় কিছু টিপস

- আগাছা দমন করে জমি পরিষ্কার রাখতে হবে। তবে খুব গভীরে নিড়ানি চালিয়ে গোড়া আলগা করা চলবে না। দরকার মতো গোড়ায় মাটি তুলে দেওয়া হয়।

এ সম্পর্কিত আরও পোস্ট

Leave a Comment