ঢেঁড়স চাষ পদ্ধতি

  • ওমেন্স কর্নার ডেস্ক
  • আগস্ট ৮, ২০২১

ঢেঁড়স একটি জনপ্রিয় সবজি। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি' ও সি' রয়েছে। এছাড়া পর্যাপ্ত আয়োডিন, ভিটামিন এ এবং বিভিন্ন খনিজ পদার্থ রয়েছে। ফলে ঢেঁড়স চাষ করলে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে শারীরিক উপকারিতা রয়েছে। তাই আসুন জেনে নেই ঢেঁড়স চাষের নিয়ম-

মাটি: দোআঁশ ও বেলে দোআঁশ মাটির ঢেঁড়স চাষের জন্য ভালো। পানি নিষ্কাশন এর সুবিধা থাকলেও এটেল মাটিতে চাষ করা যায়।

আরো পড়ুনঃ তেতো খাওয়ার বিস্ময়কর গুণাগুণ জানুন

জাত: শাউনি, পারবনি খানি, বারি ঢেঁড়স, পশা সাওয়ানি, পেন্টা গ্রিন, কাবুলি ডোয়ার্ফ, জাপানি প্যাসিফিক গ্রিন চাষ উপযোগী জাত।

সময়: ঢেঁড়স সারাবছর চাষ করা যায়। তবে গৃষ্ম কাল চাষের উপযুক্ত সময়। ফাল্গুন-চৈত্র ও আশ্বিন কার্তিক মাস বীজ বোনার উপযুক্ত সময়। বীজপ্রতি শতকে ২০ গ্রাম এবং প্রতি হেক্টরে ৪-৫ কেজি বীজ প্রয়োজন হয়। বীজ বপনের আগে ২৪ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখতে হয়। গভীরভাবে চাষ ও মই দিয়ে মাটি ঝুরঝুরে করে জমি তৈরি করতে হয়। মাটি থেকে সারির দূরত্ব হবে ৭৫ সেন্টিমিটার।

বীজ সারিতে ৪৫ সেন্টিমিটার দূরে দূরে ২-৩ টি করে বীজ বুনতে হয়। জাত অনুযায়ী চারা থেকে চারা এবং সারি থেকে সারি দূরত্ব ১৫ সেন্টিমিটার কমানো বাড়ানো যায়। শীতকালে গাছ ছোট হয় বলে দূরত্ব কমানো যেতে পারে। চারা গজানোর পর প্রতি গর্ত একটি করে সুস্থ চারা রেখে পাখি ছাড়া গর্ত থেকে উঠিয়ে ফেলতে হয়। সার প্রতি শতকে গোবর ৭৫ কেজি, সরিষার খৈল ১.৭৫ কেজি, ইউরিয়া ২৩০ গ্রাম, টিএসপি ৩৫০ গ্রাম, এম‌ওপি ২৩০ গ্রাম।

জমি তৈরির সময় ইউরিয়া সার বাদে বাকি সব সার মাটির সঙ্গে ভালোভাবে মিশিয়ে দিতে হবে। সার মেশানোর ১০-১৫ দিন পর জমিতে ঢেঁড়স বীজ বপন করতে হয়। ইউরিয়া সার সমান দুই কিস্তিতে উপরি প্রয়োগ করতে হয়। প্রথম কিস্তিতে চারা গজানোর ২০-২৫ দিন পর এবং দ্বিতীয় কিস্তিতে নিতে হবে চারা গজানোর ৪০-৫০ দিন পর।

পরিচর্যা: মাটির উপরিভাগ মাঝে মাঝে আলগা করে দিতে হবে। জমি সব সময় আগাছামুক্ত রাখতে হবে। মাটির প্রকারভেদ অনুযায়ী ১০-১২ দিন পরপর সেচ দিতে হবে। প্রতি কিস্তিতে সার প্রয়োগের পর জমিতে সেচ দিতে হবে।

আরো পড়ুনঃ করোনার ঝুঁকি কমবে দাঁত পরিষ্কার রাখলে!

পোকামাকড়: ঢেঁড়সের ফল ছিদ্রকারী পোকার সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করে। এছাড়া জাব পোকা, সাদা মাছি, ছাতরা পোকা, লাল গান্ধি ইত্যাদি ও ক্ষতি করে।

এ সম্পর্কিত আরও পোস্ট

Leave a Comment