মুহুরী সেচ প্রকল্প যেখানে প্রকৃতি কথা বলে!
- ওমেন্সকর্নার ডেস্ক
- মার্চ ১৫, ২০১৮
১৯৭৭-৭৮ অর্থ বছরে শুরু হয়ে ফেনী জেলার সোনাগাজী উপজেলায় ১৯৮৫-৮৬ অর্থ বছরে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম এই সেচ প্রকল্পের নির্মাণ কাজ শেষ হয়। ফেনী নদী, মুহুরী নদী এবংকালিদাস পাহালিয়া নদীর সম্মিলিত প্রবাহকে আড়ি বাঁধ নির্মাণের মাধ্যমে ৪০ ফোক্ট বিশিষ্ট একটি বৃহদাকার পানি নিয়ন্ত্রণ কাঠামো তৈরী করে ফেনী জেলার ফেনী সদর, ছাগলনাইয়া, পরশুরাম, ফুলগাজী, সোনাগাজী এবং চট্টগ্রাম জেলার মিরসরাই উপজেলার কিয়দংশ এলাকায় বর্ষা মৌসুমে বন্যার প্রকোপ কমানো ও আমন ফসলে অতিরিক্ত সেচ সুবিধা প্রদানের উদ্দেশ্যে নির্মিত হয়েছিল মুহুরী সেচ প্রকল্প ।
শীত মৌসুমে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে দলে দলে ভ্রমণ পিপাসু লোক এবং পর্যটক বেড়াতে আসে । প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর মুহুরী রেগুলেটরের চারদিকে বাঁধ দিয়ে ঘেরা কৃত্রিম জলরাশি,বনায়ন,মাছের অভয়ারণ্য, পাখির কলকাকলি,বাঁধের দুপাশে নীচ থেকে পাথর দিয়ে বাঁধানো এবং উপরদিকে দুর্বা ঘাসের পরিপাটি বিছানা । মুহুরীর জলরাশিতে নৌভ্রমণের সময় খুব কাছ থেকে বিভিন্ন প্রজাতির হাঁস এবং প্রায় ৫০ জাতের হাজার হাজার পাখির দেখা পাওয়া যায় ।
কিভাবে যাওয়া যায়: ফেনী লালপোল হতে বাস যোগে (মিল্লাত পরিবহন, ফারাবি ট্রান্সপোর্ট,জয় পরিবহন, প্রতিশ্রুতি পরিবহন ইত্যাদি) , সোনাগাজী উপজেলা সদর পর্যন্ত অত:পর সোনাগাজী উপজেলা সদর হতে বাস যোগে বাদামতলী পর্যন্ত অত:পর বাদামতলী হতে রিক্সা যোগে দর্শনীয় স্থানে পৌঁছা যায় অথবা ফেনী মহিপাল মোড় হতে সিএনজি অটোরিক্সা যোগে দর্শনীয় স্থানে যাওয়া যায় সোনাগাজী মুহুরী সেচ প্রকল্প
তথ্য এবং ছবি : গুগল