পানিফল চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত

  • ওমেন্স কর্নার ডেস্ক
  • সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২১

পানির ফল এই পানিফল। সুস্বাদু এই ফল গ্রামবাংলায় প্রচুর পরিমাণে চাষ হয়। মুক্ত পুকুর, খাল-বিলে এই ফলের চাষ হয়ে থাকে। কাঁচা অবস্থায় সিদ্ধ করে কিংবা প্রক্রিয়াজাত করেও এই ফল খাওয়া যেতে পারে।

পানিফলকে শুকিয়ে আটা তৈরি করা হয়, সেই আটা দিয়ে পিঠা, কেক, বিস্কুট তৈরি করা যায়। বাজারেও পানিফলের চাহিদা থাকায় এই চাষ বর্তমানে বিপুল পরিমাণে হচ্ছে।

আরো পড়ুনঃ নিজেই নিজের চেহারায় ফুটিয়ে তুলুন গোলাপি আভা

মাটি: পানিফল বৃদ্ধির জন্য মাটির তেমন কোনো প্রয়োজন নেই। তবে মনে রাখা উচিত পুকুরের নিচে অবশ্য ভাবে ১৫ সেন্টিমিটার কাদামাটি থাকার প্রয়োজন। পুকুরের তলদেশে বেলে মাটি থাকলে ফলন অনেকাংশে কম হবে। এছাড়া পুকুরের পানির গভীরতা ৫০ সেন্টিমিটার থেকে ২.৫ মিটার হওয়া দরকার ভালো ফলনের জন্য।

সার প্রয়োগ: চারা গাছ লাগানোর আগে মূল জমি তৈরির সময় খেয়াল রাখতে হবে যেন জমিতে উপযুক্ত পরিমাণে জৈব পদার্থ থাকে। যদি জৈব পদার্থ কম থাকে তখন খামার জাত জৈব সার হেক্টর প্রতি ৫ টন হিসেবে জমিতে প্রয়োগ করতে হবে।

এছাড়াও চারা গাছ লাগানোর সময় হেক্টর প্রতি ৩০-৪০ কেজি ইউরিয়া প্রয়োগ করতে হবে এবং গাছ লাগানোর ২০-২৫ দিন পর সার হিসেবে পুনরায় প্রতি হেক্টর ২০ কেজি ইউরিয়া দিতে হবে।

অনুঘটক হিসেবে চীন এবং বোরন ব্যবহার করলে ফলের সংখ্যা ও ফলের ওজন বৃদ্ধি পাবে। নতুন চাষের জমি হেক্টর প্রতি ২০-৩০ কেজি পটাশিয়াম ব্যবহার করতে হবে।

চারা রোপণ: ৪-৫ টি পাতাযুক্ত চারা গাছকে জুন মাস থেকে জুলাই মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে রোপণ করতে হবে।

আরো পড়ুনঃ ঘরোয়া পদ্ধতিতে ত্বকে নিয়ে আসুন এক্সট্রা গ্লো

চারা রোপণের সময় পুকুরের পানির গভীরতা ৬০ -১০০ সেন্টিমিটার হওয়া প্রয়োজন। চারা গাছগুলো ১.৫ মিটার থেকে ২ মিটার সারি থেকে সারি এবং কাছ থেকে গাছের দূরত্ব বজায় রেখে কাদামাটিতে হাত বা পায়ের সাহায্যে পুঁতে দিতে হবে।

পরিচর্যা: গাছের ভালোভাবে বৃদ্ধির জন্য চারা রোপণের পর থেকে দুই মাস পর্যন্ত নিয়মিতভাবে জলজ আগাছা তুলে ফেলতে হবে। গাছের ফলন বৃদ্ধির জন্য গাছে ফুল আসার কিছুদিন আগে অতিরিক্ত ডালপালা ছেঁটে ফেলা উচিত।

এ সম্পর্কিত আরও পোস্ট

Leave a Comment