তরমুজ চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত

  • ওমেন্স কর্নার ডেস্ক
  • অক্টোবর ১৭, ২০২১

তরমুজ চাষ করে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছে অনেক কৃষক। আজকের আয়োজন এর বিভিন্ন দিক নিয়ে।

তরমুজ একটি উৎকৃষ্ট ও তৃপ্তিদায়ক হল। বলা যায়, গরমকালের উপকারী ফল তরমুজ। কেননা গরমের দিনে ঘামের সঙ্গে শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণে লবণ ও পানি বেরিয়ে যায়, যা পূরণ করতে সাহায্য করে তরমুজ। তাই তরমুজের চাহিদাও বেশি। চাহিদা থাকার কারণে চাষীরাও তরমুজ চাষে বেশ আগ্রহী। এর চাষাবাদ নিয়ে কিছু কথা তুলে ধরা হলো।

আরো পড়ুনঃ শরীরের বাড়তি মেদ কমাবে চিয়া সিড

জলবায়ু ও মাটি: তরমুজ চাষের জন্য প্রচুর সূর্যালোক ও শুষ্ক জলবায়ু প্রয়োজন। ফলটি ঠান্ডা সহ্য করতে পারে না। তরমুজ চাষের গড় তাপমাত্রা ২৫০ সেলসিয়াস ও ফল পাকার সময় ২৮০-৩০০ সেলসিয়াস তাপমাত্রা সর্বাপেক্ষা উপযোগী। ফল পাকার সময় সূর্যালোকের অভাব হলে ফলের স্বাদ অর্থাৎ মিষ্টতা ও ঘ্রাণ নষ্ট হয়ে যায়। সহজে নিষ্কাশন করা যায় এমন সুবিধাযুক্ত জমির তরমুজ চাষের উপযোগী। তবে উর্বর দো-আঁশ ও বেলে দোআঁশ মাটি তরমুজ চাষের জন্য সবচেয়ে উত্তম।

চাষের কৌশল: শীতের শেষ ভাগ তরমুজ বপনের উত্তম সময়। অর্থাৎ ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল মাস চাষের জন্য উপযুক্ত। এসময় আবহাওয়া তরমুজ চাষের অনুকূলে থাকে। মূলত মাদায় বীজ বপন করে চাষ করতে হয়। তবে এ পদ্ধতি প্রচলিত হলেও চারা তৈরি করে মারাতে চারা রোপণ করা ভালো। কারণ, তরমুজের বীজ অত্যন্ত ব্যয়বহুল। তাই বীজ বপনের ক্ষেত্রে অনেক বীজ অপচয় হয়। চারা রোপণ করা গেলে বীজের অপচয় কমানো যায়।

তরমুজ চাষের জন্য উপযুক্ত করার জন্য প্রয়োজন অনুযায়ী চাষ ও মই দিয়ে দিতে হবে। চাষযোগ্য জমি তৈরি হয়ে গেলে মাদা তৈরি করে নিতে হবে। মা দাতে সার প্রয়োগের পর বীজ বপন অথবা চারা লাগানোর কাজ শুরু করা যেতে পারে। ২ মিটার দূরে দূরে সারি করে প্রতি সারিতে ২ মিটার অন্তর মাদা করতে হবে। প্রতি মাদা ৫০ সেন্টি মিটার প্রশস্ত ও গভীর হওয়া প্রয়োজন।

আরো পড়ুনঃ ম্যাজিক আই ক্রিম

বীজ বপনের ক্ষেত্রে প্রতি মাদায় চার থেকে পাঁচটি বীজ বপন করতে হয়। বীজ থেকে চারা গজানোর পর একটি মাথায় দুটি করে চারা রেখে বাকিগুলো তুলে ফেলতে হবে। চারা তৈরির ক্ষেত্রে ছোট পলিথিনের ব্যাগে বালি ও পচা গোবর সার ভর্তি করে প্রতিটি পলিব্যাগে একটি করে বীজ বপন করতে হয়। পরে এক মাস বয়সের তিন চার পাতাবিশিষ্ট ছাড়া মাদায় রোপণ করতে হবে।

পরিচর্যা: চারা গুলো বড় হলে এর বিভিন্ন শাখা প্রশাখা বের হতে থাকে। সব শাখা রেখে দিলে সেগুলো পরস্পর জড়াজড়ি করে ফেলে এতে ফল হ্রাস পায়। খাদ্য উপাদানের ঘাটতি হয়, রোগবালাই ও পোকামাকড়ের উপদ্রব বৃদ্ধি পায়। ফুল ও ফল ধরার ক্ষেত্রে বাধা পায়। তাই গাছের চারা থেকে পাঁচটি শাখা-প্রশাখা রেখে বাকি গুলো ছেঁটে ফেলতে হবে।

এছাড়া প্রতি শাখায় একটি করে ভর রেখে অতিরিক্ত ফল ফেলে দিলে ভালো মানের ফল পাওয়া যাবে। তরমুজের গাছ খরা সহ্য করতে পারে। তবে শুকনো মওসুমে অবশ্যই সেচ দেওয়া প্রয়োজন। খেয়াল রাখতে হবে গাছের গোড়ায় যাতে পানি জমে না থাকে। তরমুজ যখন বড় হয় তখন মাটির ওপর খড় বিছিয়ে দিতে হবে। কারণ মাটির সাথে থাকলে তরমুজ গোড়া পচা রোগে আক্রান্ত হতে পারে।

আরো পড়ুনঃ ফুসফুসের সমস্যা কি না জানুন এই ৬ লক্ষণে

ফসল: তরমুজ মূলত আবহাওয়ার ওপর নির্ভর করে পাকে। গোপনে তিন থেকে চার মাস পর ফসল সংগ্রহ করা যাবে।

এ সম্পর্কিত আরও পোস্ট

Leave a Comment