কেমন হবে অন্দরমহলের  সিঁড়িঘর !

  • ওমেন্সকর্নার ডেস্ক
  • অক্টোবর ৩০, ২০১৭

লিভিং রুমের প্রধান অংশ হলো সিঁড়ি তবে সেটা সবার জন্য না। শুধুমাত্র তাদের জন্য যাদের ডুপ্লে বা ট্রিপ্লে ফ্ল্যাট রয়েছে। এই সিঁড়িকে একটু সুন্দরভাবে সাজালেই দেখবেন চেনা ঘর কেমন অচেনা লাগছে। ফ্ল্যাটের দাপটের কারণে বর্তমানে অন্দরমহলের  সিঁড়ি তেমন দেখা যায় না ৷  সিঁড়ি মানে ‘কমন’ এরিয়া। যাঁদের ডুপ্লে বা ট্রিপ্লে রয়েছে, তাঁদের অবশ্যই সুযোগ রয়েছে সিঁড়ি সাজিয়ে রাখার।

প্রধানত তিন প্রকারের সিঁড়ি ব্যবহার করা হয়-

রেগুলার স্টেয়ারস :

রেগুলার স্টেয়ারস হচ্ছে দৈনন্দিন জীবনে চলাফেরার পথে যে সাধারণ সিঁড়ি ব্যবহার করে থাকি সেটাই। এই সিড়ির মধ্যে ভিন্নরকমের মনের মাধুরী মিশিয়ে ডিজাইন করা যায় ৷ ডুপ্লে বা ট্রিপ্লে ফ্ল্যাটের সিঁড়ি কাঠ কিংবা গ্লাস দিয়ে  তৈরি করতে পারেন ৷ কাঠে একাধারে ঘরে আনবে উষ্ণতার ছোয়া, অন্যদিকে ট্র্যাডিশনাল লুক আর গ্লাস আনবে আধুনিক লুক ৷ ফ্ল্যাটের সাথে এবং নিজের রুচির সাথে মিশিয়ে সিঁড়ির ডিজাইন নির্ভর করে।  তবে লিভিং রুমের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই সিঁড়িকে সজ্জ্বিত করায় কাম্য।

স্পাইরাল স্টেয়ারস :

স্পাইরাল স্টেয়ারস হচ্ছে বাড়ির বাইরে দিয়ে দোতালা কিংবা ছাদে যাওয়ার সিঁড়ি। এই সিঁড়ি খুব কম দেখা যায় এবং সরু জায়গার মধ্যে তৈরী করতে হয়। এই সিঁড়িগুলোকে কংক্রিটের না করে মূলত মেটাল দিয়ে তৈরি করাই ভালো ৷

কার্ভ স্টেয়ারস :

কার্ভ স্টেয়ারস সিঁড়ির জন্য দরকার হয় বড় জায়গা। বড় জায়গায় ইণ্ডিয়ান কিংবা ইটালিয়ান মার্বেল দিয়ে কার্ভ স্টেয়ারস সাজাতে পারেন ৷ পুরোটাই নির্ভর করে বাজেটের ওপর কারণ মার্বেল  সর্বদাই খরচসাপেক্ষ ৷

কোয়ার্টার ল্যাণ্ডিং :

ইন্টিরয়ের ভাষায় বলা হয় কোর্য়াটার ল্যাণ্ডিং হচ্ছে - সিঁড়ি দিয়ে কিছুটা ওঠার পর খানিকটা জায়গা তারপর আবার পরের ফ্লোর সেটায় ৷ এই ল্যান্ডিং আপনার সাজানোর প্রচুর সুযোগ রয়েছে। রেখে দিতে পারেন ছোটো মূর্তি কিংবা মেটালের ফুলদানি বা সুন্দর ল্যাম্প শেড ৷  ল্যাণ্ডিং-এ কোন জানালা থাকলে সেক্ষেত্রে জানালায় ঘষা কাচ কিংবা ডিজাইনার গ্লাস লাগিয়ে দিন ৷ মনে রাখবেন আপনি কাঠের সিঁড়ি নেন বা গ্লাসের কিংবা স্টীলের, রেলিং- এর যত্ন কিন্ত্ত অবশ্যই নিতে হবে ৷ রেলিং হতে পারে রট আয়রনের কিংবা কাঠের ৷ আর যদি বাড়িতে বাচ্চা না থাকে সেক্ষেত্রে রেলিংলেস সিঁড়িও তৈরি করাতে পারেন ৷ শুধু সিঁড়ির কথা ভাবলেই হবে না, তার পাশের দেওয়ালকেও অন্য রূপ প্রদান করতে হবে৷

দেওয়াল :

সিঁড়ির অন্য পাশের দেওয়ালে লাগাতে পারেন ফ্যামিলি ফটো কিংবা পছন্দের কোনও শিল্পীর আঁকা ছবি ৷ ছবিগুলো বিভিন্ন সাইজের নিলেও একই ফ্রেমট রাখবেন।   এছাড়া ইচ্ছা করলে টেক্সচারড ওয়ালও করতে পারেন ৷

স্টোরেজ :

ডুপ্লে বা ট্রিপ্লে ফ্ল্যাটের সিঁড়ির নীচের জায়গাটা খালি না রেখে ব্যবহার করুন স্টোরেজ হিসেবে।  যদি জায়গা বড় হয় তাহলে  বাড়ির যাবতীয় বাড়তি জিনিসকে সেখানে রাখুন। ইচ্ছা করলে বইয়ের তাকও বানিয়ে ফেলতে পারেন ৷

রাগস :

সিঁড়ির সামনে ছোটো রাগস রাখা আবশ্যক ৷ চাইলে রানিং কার্পেটও দিতে পারেন ৷ তবে ব্যস্ত জীবনে প্রতিদিন তা তুলে পরিষ্কার করা এক প্রকার অসুবিধাই ৷ আর খরচসাপেক্ষও বটে ৷

মনে রাখবেন :

সিঁড়ি সর্বদা পরিষ্কার আর শুকনো রাখতে হবে ৷ সিঁড়িতে অ্যান্টিস্কিড টাইলস বসান ৷ আপনি চাইলে ইন্ডিয়ান বা ইটালিয়ান মার্বেলও লাগাতে পারেন ৷ খেয়াল রাখবেন মার্বেলের রঙ যেন হালকা হয় ৷ কাঠের সিঁড়ি প্রতি পাঁচ থেকে ছয় বছর পর পর  অবশ্যই পালিশ করতে হবে ৷ সিঁড়ির জায়গা কখনোই অন্ধকার রাখবেন না ৷ প্রাকৃতিক আলো ছাড়াও সিঁড়ির ওপরে এলইডি আলো লাগিয়ে দিন ৷ ইচ্ছা করলে সিঁড়ির ওপরের সিলিং-এ ঝার লাগাতে পরেন, তাহলে তার আলো চারদিকে ছড়িয়ে পড়বে, সঙ্গে ফুট ল্যাম্প ৷
 

তথ্য এবং ছবি : গুগল 

Leave a Comment