শূন্য খাঁচায় সাজবে আপনার ঘর! জেনে নিন বিস্তারিত
- ওমেন্সকর্নার ডেস্ক
- মার্চ ৭, ২০১৮
প্রতিটি ঘরই যেন একেক একটা শখের বাক্স। এই যে পাড়ায় সারি সারি ইট গেঁথে আকাশ ছুঁতে চাওয়া ভবন, আর সে ভবনের প্রতিতলায় ভিন্ন ভিন্ন আঙ্গিকে সেজে ওঠা ফ্ল্যাটগুলো তো সেখানে বসবাসকারীদের শখের বাক্সই বলা চলে! প্রত্যেকেই চান নিজের আবাসস্থল এমনভাবে সাজিয়ে-গুছিয়ে নিতে, যাতে তা হয়ে ওঠে স্বর্গতুল্য। আর প্রত্যেকের কল্পনার স্বর্গটাও যেন তৈরি তার নিজের মতো করে, তার নিজের পছন্দের উপকরণ আর উপাদানে পূর্ণ। ঘরের বেলায়ও একই কথা প্রযোজ্য। অলঙ্কার ছাড়া যেমন সাজটা অপূর্ণ থেকে যায়, তেমনি ঘর পরিপাটি করে সাজাতেও চাই অলঙ্কারের। ঘরের অলঙ্কার হিসেবে লতানো গাছ, ঝাড়বাতি, ড্রিম ক্যাচার বা মখমলে কোমল কার্পেটের ব্যবহার বলতে গেলে অনেক বাড়িতেই আছে বৈকি! যদি বলা হয় ঘরের অলঙ্কার হিসেবে ঘরে এবার নিয়ে আসুন খাঁচা, তবে! না, সে খাঁচা কোনো মুখর পাখি বন্দি করতে নয়, বরং তা বন্দি করে রাখতে আপনার কল্পনার স্বর্গটাকে!
আলোর আস্তানা: একটু লম্বা ধরনের কম প্রশস্ত বিশিষ্ট পাখির খাঁচায় সোনালি বা রুপালি রঙ করে সেটিকে ঝুলিয়ে দেয়া যেতে পারে বারান্দার সিলিংয়ে, পড়ার ঘরে বা বাড়ির ব্যক্তিগত লাইব্রেরিতে। খাঁচার ভেতর মোমবাতি কায়দা করে এমনভাবে বসিয়ে দিন যেন দুর্ঘটনা না ঘটে। মোমবাতি দিলে খাঁচায় আর কোনো সাজানোর উপকরণ রাখার প্রয়োজন নেই। আরো একটি কাজ করা যেতে পারে, ডাইনিং টেবিলের উপরে পেন্ডেন্ট লাইট হিসেবে পাখির খাঁচা ব্যবহার করা। সেক্ষেত্রে খাঁচার নিচের সমান্তরাল প্লেটটি কেটে ফেলতে হবে। এবার লাইট বসিয়ে খাঁচার গরাদের সঙ্গে লোহার দণ্ড বসিয়ে তার ওপর রেখে দেয়া যেতে পারে কৃত্রিম ছোট ছোট পাখি। বাতি জ্বলে ওঠার পর অদ্ভুত সুন্দর দেখাবে বানিয়ে ফেলা এ পেন্ডেন্ট লাইট।
সবুজের আশ্রয়: একই ধরনের পাখির খাঁচার ছোট, মাঝারি ও বড়— এ তিন রকম কিনে আনুন। এবার সেগুলোর ভেতরে ক্যাকটাস বা রসালো গাছ সাজিয়ে রাখুন। লতানো গাছও শোভা পাবে যদি বারান্দা বা জানালার ধারে ঝুলিয়ে দেয়া হয় খাঁচাগুলো। গাছগুলো খাঁচায় বন্দি হলো তাতে কী, শ্বাস নিতে তো বাধা নেই তাদের!
পুষ্প শোভিত: ঘরে তাজা ফুল রাখার অভ্যাস থাকলে বা পারিবারিক কোনো অনুষ্ঠানে ফুল দিয়ে ঘর সাজানোর সময় খাঁচা ব্যবহার করা যায়। রঙিন ফুল, কৃত্রিম প্রজাপতি, পুতির মালা দিয়ে সুন্দর করে সাজিয়ে খাঁচাগুলো যথাস্থানে ঝুলিয়ে দিন। একেকটি খাঁচায় বন্দি হয়ে যাবে গোটা স্বর্গটাই!
গয়নার বাক্স: শোয়ার ঘরে যদি বড় ড্রেসিংটেবিল থাকে, তাহলে এর ওপর বড়সড় একটা পাখির খাঁচা রেখে দিন। সেক্ষেত্রে পাখির খাঁচাটি হবে সুদৃশ্য ও নকশা করা। এবার খাবার ভেতর ঝুলিয়ে রাখুন পরিধেয় মুক্তো, পুতি আর পাথরের মালা। কায়দা করে কানের দুল, চুড়ি আর ব্রেসলেটগুলোকেও আশ্রয় দিতে পারেন। পাশাপাশি কৃত্রিম ফুল দিয়ে সাজালে ভালো লাগবে।
বইয়ের বাক্স: বাড়ির সামনে যদি বাগান থাকে বা ছাদে বসার ব্যবস্থা থাকে, তাহলে বড়সড় একটা খাঁচায় কিছু বই রেখে দেয়া যেতে পারে। আর বইয়ের সঙ্গে প্রিয় ডায়েরি ও কলমটিও থাকতে পারে। তাছাড়া একইভাবে ফুলদানিও সাজিয়ে রাখা যাবে প্রিয় স্থানগুলোয়।
তথ্য এবং ছবি : গুগল