জীবনে আপনি সত্যি কারের সুখী কি না বুঝবেন যেভাবে

  • কবিতা আক্তার
  • জুন ১৩, ২০২৩

জীবনে সবাই সুখী হতে চায়। অনেকেই হন আবার কেউ কেউ অসুখী রয়ে যান। সুখ আসলে মনের বিষয়। মন থেকে যদি আপনি নিজেকে সুখী ভাবেন, সেটিই কিন্তু আপনার জীবন ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির বিকাশ ঘটাবে।

সুখী ব্যক্তিদের মধ্যে থাকে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি, যা জীবনের মান উন্নত করতে পারে। অনেকেই হয়তো মনে করতে পারেন, তিনি জীবনে অসুখী। তবে কিছু অভ্যাস আছে যার মাধ্যমে বুঝতে পারবেন জীবনে আপনি সত্যিকারের সুখী কিনা!

চলুন জেনে নেয়া যাক-

কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করাঃ সুখী ব্যক্তিদের মধ্যে কৃতজ্ঞতার অভ্যাস থাকে। তারা জীবনের ছোট ছোট আনন্দ ও আশীর্বাদের জন্য নিয়মিত কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে। সৃষ্টিকর্তার প্রতি তো বটেই, কোন মানুষের কাছ থেকে সামান্য সাহায্য পেলেও সুখী ব্যক্তিরা তার প্রতিকৃতজ্ঞতা প্রকাশে দ্বিধাবোধ করেন না।

আরো পড়ুনঃ একা একা সুখী হওয়া যায় না। সুখী হতে হয় সবাইকে নিয়ে!

সম্পর্ক বজায় রাখেনঃ প্রকৃত সুখী ব্যক্তিরা পরিবার, বন্ধুবান্ধব ও প্রিয়জনদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলার ক্ষেত্রে যথেষ্ট সময় ব্যয় করেন। জীবনের অন্যান্য কাজ থেকে পরিবার ও কাছের মানুষের মূল্যায়নে অন্যদের চেয়ে এগিয়ে থাকেন সুখী ব্যক্তিরা।

আত্মসম্মান বজায় রাখেনঃ আত্মসম্মান বজায় রাখার বিকল্প নেই। যারা এই গুণে গুণান্বিত তারাই কিন্তু প্রকৃত সুখী ব্যক্তি। এমন মানুষরা নিজেদের মূল্যবোধ, আবেগ ও আকাঙ্খার প্রতি নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারেন।

আরো পড়ুনঃ আপনার কাছে সুখী মানুষের সংজ্ঞা কী?

নিজেকে ভালোবাসেনঃ  আপনি যদি নিজেকেই ভালোবাসতে না পারেন তাহলে অন্যকে কিভাবে ভালবাসবেন। প্রকৃত সুখী ব্যক্তিদের একটি গুরুত্বপূর্ণ অভ্যাস নিজেকে ভালোবাসা।
তারা নিজেদের শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার দিকে খেয়াল রাখেন। নিয়মিত ব্যায়াম, স্বাস্থ্যকর খাওয়া ও সখ পূরণের চেষ্টা করেন সুখী ব্যক্তিরা।

শেখার আগ্রহ থাকেঃ ব্যক্তিগত হোক কিংবা পেশাগত জীবন, সব ক্ষেত্রে নতুন কিছু শেখার মনোভাব রাখেন সুখী ব্যক্তিরা। তারা বিভিন্ন প্রতিবন্ধীকতায় কাবু না হয়ে বরং চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেন। জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপে শিখতে, অভিজ্ঞতা অর্জনে ও কৌতুহল মেটানোর চেষ্টা করেন প্রকৃত সুখীরা।

আরো পড়ুনঃ আমার কাছে মনে হয় ডিভোর্সের মূল কারণ দাম্পত্য শিক্ষার অভাব।

বর্তমান নিয়ে বাঁচেনঃ প্রকৃত সুখী তারাই, যারা অতীত আঁকড়ে থাকেন না কিংবা ভবিষ্যৎ নিয়ে অতিরিক্ত চিন্তা করেন না। বর্তমান নিয়ে যারা চিন্তা করেন ও কালকের দিনে নতুন কি করবেন তার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করেন সুখী ব্যক্তিরা।তারা দৈনন্দিন অভিজ্ঞতার আলোকে নতুন কিছু করার প্রচেষ্টা করেন। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো, সুখী ব্যক্তিরা কখনো অনুশোচনা করেন না। আপনার মধ্যে যদি এসব অভ্যাস ও গুন থাকে তাহলে নিঃসন্দেহে আপনিও একজন সুখী ব্যক্তি।

এ সম্পর্কিত আরও পোস্ট

Leave a Comment