একতরফা প্রেম থেকে বেরিয়ে আসবেন যেভাবে

  • কবিতা আক্তার
  • জানুয়ারি ১৩, ২০২২

প্রেমে পড়া বারণ, কারণে অকারণ। গানের কথাগুলো ভাল লাগলেও মনকে বোঝানো তো যায় না। যখন তখন আপনার অজান্তে মন কারো প্রেমে পড়ে যাবে, আপনি যখন টের পাবেন তখন হয়তো অনেক দেরি হয়ে গেছে। বেশিরভাগ সময় ভুল মানুষের প্রেমে পড়ে মন।

তবে প্রেমে পড়ার মুহূর্ত গুলো খুবই বিশেষ সবার জন্য। কতশত গান, কবিতা রচিত হয়েছে অনুভূতি কে ঘিরে, গুনে শেষ করা যাবেনা। তবে সেই প্রেম তখনই পরিণতি পাবে যখন কিনা অপরপক্ষ আপনার অনুভূতি কি সাড়া দেবে। আর তা যদি না হয় তাহলে সেখানেই সমাধি প্রেমের।

আরো পড়ুনঃ জেনে নিন কন্যাসন্তানের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে আপনার করণীয়

অনেকেই আছেন সেই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে পারেন না। একতরফা প্রেমে আটকে থাকে বর্তমান। মানসিক অবসাদ ঘিরে ফেলে আপনাকে। তবে ভবিষ্যতকেও হুমকির মুখে ফেলায় একেবারেই উচিত হবে না আপনার। একতরফা প্রেম থেকে বেরিয়ে আসুন। একথা যতখানি সহজ ততটাই কঠিন করে দেখানো চলুন এর কিছু সহজ উপায় জেনে নেওয়া যাক-

- প্রথমে আপনার মন ঠিক করুন। এ সিদ্ধান্তে আপনাকে পৌঁছাতে হবে যে আপনি একতরফা প্রেমের সম্পর্ক থেকে বের হবেনই। মনে মনে সংকল্প টা করে ফেলুন আগে। এটা কাজটা আরও সহজ হয়ে যাবে।

- কথায় আছে আউট অফ সাইট, আউট অফ মাইন্ড। প্রথমেই সেই মানুষটার সঙ্গে যোগাযোগ এর সব পথ বন্ধ করুন। ফোন নাম্বার, ফেসবুক, সবথেকে তাকে ডিলিট করে দিন।

- পুরনো চ্যাট বা বার্তা বারবার পড়বেন না। এতেও সমস্যা বাড়ে।

আরো পড়ুনঃ বাড়ন্ত বাচ্চার জন্য ছয়টি প্রোটিন সমৃদ্ধ সবজির নাম জানুন

- দূরত্ব এক্ষেত্রে সবচেয়ে উপযোগী ও কার্যকরী পন্থা। যে মানুষটির প্রতি দুর্বলতা আছে চোখের সামনে যত ঘনঘন আসবে, ততই মনে পড়ে যাবে পুরনো স্মৃতি। ফলে তাকে না পাওয়ার কষ্ট। তাই একটি নিরাপদ দূরত্ব সবসময় সাহায্য করে।

- সময়ের উপর ছেড়ে দিন। সময় অনেক কিছুরই স্বতঃস্ফূর্ত সমাধান। একতরফা প্রেম থেকে যে ক্ষত সৃষ্টি হয় তাদের সবচেয়ে ভালো প্রলেপ দিতে পারে সময়। নিজেকে পর্যাপ্ত সময় দিন। দেখবেন কোনো রকম জটিলতা ছাড়াই দিনে দিনে ফিকে হয়ে এসেছে অনুভূতির তীব্রতা।

- নিজের উপর বিশ্বাস এই সময়ে খুব সহজে নড়ে যায়। অনেকে ভাবতে শুরু করেন যে একটি প্রেম পরিণতি পায়নি মানে কোন প্রেম‌ই আর আসবে না। এমনকি নিজের ক্ষমতা, সাধ্য কেউ প্রশ্ন করতে শুরু করেন অনেকে। এমনটা একেবারেই নয় নিজের উপর বিশ্বাস বা আস্থা হারাবেন না।

- বন্ধুদের সঙ্গে বেশি সময় কাটান, আড্ডা দিন। পরিবার বা নিকটজনদের ভালোবাসা কেউ সমান কদর করুন, মূল্য দিন। একটি প্রত্যাখ্যান আপনাকে আর আগের মতো বিব্রত করবে না।

- সময় কাটান নিজের মতো। একাই বেড়াতে চলে যান। ভ্রমণ মানুষকে একটি প্রয়োজনীয় নিভৃতি দেয় যা অনেক কিছু উপলব্ধি করতে সাহায্য করে। ফিরে এসে দেখবেন আপনি আগের চেয়ে অনেকটাই ফুরফুরে মেজাজে আছেন।

আরো পড়ুনঃ ত্বকের যত্নে পুদিনাপাতার আশ্চর্য উপকারিতা

- তবে আপনার এই ব্যাপারটি জনে জনে শেয়ার করবেন না। কেননা আপনি তাকে ভুলে গেলেও হয়তো আপনার আশেপাশে এমন মানুষ আছে যারা আপনাকে কষ্ট দিতে তা মনে করিয়ে দিবে। তাই খুব নিকট বন্ধু না হলে শেয়ার না করাই ভালো। দরকার হয় কাগজে লিখুন। এরপর সেটি নষ্ট করে দিন। ভুলেও ডাইরিতে অনুভূতি লিখবেন না।

এ সম্পর্কিত আরও পোস্ট

Leave a Comment