ওলকপি চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত

  • ওমেন্স কর্নার ডেস্ক
  • জুলাই ২৭, ২০২১

ফুলকপি ও বাঁধাকপি মত একটি জনপ্রিয় শীতকালীন সবজি হওয়ায় বাজারে এর চাহিদা মোটামুটি ভালই থাকে। আসুন জেনে নেই ওলকপি চাষের সঠিক পদ্ধতি...

ওলকপি চাষের মৌসুম: এটা শীত মৌসুমের ফুলকপি, বাঁধাকপি জাতীয় একটি সবজি।

ওলকপির জাত: সাধারণত দুই ধরণের ওলকপি দেখা যায়। সবুজ ও বেগুনি। বিভিন্ন কোম্পানি থেকে হাইব্রিড ওলকপির বীজ পাওয়া যায়। ভাদ্র থেকে কার্তিক মাস পর্যন্ত বীজ বপন করা হয়। তবে ছোট আকারে বাড়ির জন্য চাষাবাদ করলে নার্সারি থেকে দেশি চারা নিয়ে রোপন করা যায়। এতে পরিশ্রম কম হবে।

আরো পড়ুনঃ আপনার ত্বকের স্বাস্থ্যের যত্ন নিচ্ছেন তো ?

জমি তৈরি ও সার প্রয়োগ: সাধারণত এটেল বা এটেল দোআঁশ মাটিতে এর ফলন ভালো হয়। এছাড়াও দোআঁশ মাটিতে এর চাষাবাদ করা হয়। কয়েকটি চাষ ও মই দিয়ে জমি তৈরি করতে হবে।

শতক প্রতি ১ কেজি ইউরিয়া, ৫০০ গ্রাম টিএসপি, ৫০০ গ্রাম পটাশ, ৭০০ গ্রাম জিপসাম এবং জিংক ও বোরন সার সামান্য পরিমান দেয়া যায়। গোবর টিএসপি সার চাষের সময় দিতে হবে। অর্ধেক পটাশ সার চাষের সময় আর বাকিগুলো চারা রোপণের ১৫-২০ দিন পর পর ২ কিস্তিতে দিতে হবে।

চারা রোপণের পদ্ধতি: ৫-৬ টি পাতা হলে চারা রোপণের উপযুক্ত হবে। চারা রোপণের সময় সারি থেকে সারির দূরত্ব ১২ ইঞ্চি বা ১ ফুট আর চারা থেকে চারা ৯ ইঞ্চি দূরত্বে লাগাতে হবে।

ওলকপির পরিচর্যা: নিয়মিত আগাছা পরিষ্কার ও সার প্রয়োগ করতে হবে। এ ফসলে বেশি পানি প্রয়োজন হয়, তাই নিয়মিত সেচ দিতে হবে। পাখি বসার জন্য ডাল পুঁতে দেয়া যেতে পারে। এতে পোকামাকড়ের উপদ্রব কমবে।

আরো পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিসে কতদিন পরপর চেকআপ করবেন?

পোকামাকড়: ওলকপি চাষে তেমন পোকামাকড় দেখা যায় না, তবে লেদা পোকা, ঘোড়া পোকা ও জাব পোকা এবং করাত মাছি বেশি দেখা যায়। এর জন্য সাইপারর্মেথ্রিন বা এমামেকটিন বেনজোয়েট এর সাথে ইমিডাক্লোরোপ্রিড মিক্স করে স্প্রেয়ার দিয়ে স্প্রে করলে সব পোকা মারা পড়বে।

ওলকপির রোগবালাই: ওল কপির পাতার দাগ রোগ, চারা ধ্বসা, ক্লাবচরুট, মোজাইক ভাইরাস, পাতার আগা পোড়া ইত্যাদি রোগ হতে পারে। সময়মতো পরিষ্কার ও পরিচ্ছন্ন চাষাবাদ, নিয়মিত সেচ ও কীটনাশক, ছত্রাকনাশক স্প্রে এবং সঠিক পরিচর্যা সকল রোগ থেকে দূরে রাখবে।

ফলন সংগ্রহ: স্বল্প পরিশ্রমে কম খরচে এর ভালো ফলন পাওয়া যায়। ৪০-৫০ দিন পর থেকে কচি অবস্থায় ফলন সংগ্রহ করতে হবে। বয়স বেশি হয়ে গেলে আশ হয়ে যাবে এবং বাজার মূল্য কমে যাবে। সাধারণত দেশি জাতের শতক প্রতি ১০০ থেকে ১২০ কেজি ফলন হয়। হেক্টরে ২৫-৩০ টন ফলন হয়। হাইব্রিড জাত গুলো হেক্টরে ৫০-৬০ টন ফলন পাওয়া সম্ভব।

আরো পড়ুনঃ আপনি কি গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস নিয়ে উদ্বিগ্ন !

এ সম্পর্কিত আরও পোস্ট

Leave a Comment