আধুনিক পদ্ধতিতে কলা চাষ

  • ওমেন্স কর্নার ডেস্ক
  • অক্টোবর ৫, ২০২১

কলা বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ ফল যা সারা বছর পাওয়া যায়। কলাকে প্রাচীন সাহিত্যে কদলী বলা হত। কলাগাছ, কলাপাতা, কলা গাছের শিকড় ও কলা সব‌ই উপকারী।

মাটি: পর্যাপ্ত রোদ যুক্ত পানি নিষ্কাশন সুবিধাযুক্ত উঁচু জমি কলা চাষের জন্য উপযুক্ত। উর্বর দোআঁশ মাটি কলা চাষের জন্য উত্তম। চাষ ও মই দিয়ে জমি সমতল ও আগাছা মুক্ত করে নিতে হবে।

আরো পড়ুনঃ যে কারণে প্রতিদিন চিনা বাদাম খাবেন

চারা রোপণ: কলার চারা বছরে ৩ সময়ে রোপন করা যায়।

১ম রোপন কাল: আশ্বিন-কার্তিক সবচেয়ে ভালো সময়।

২য় রোপন কাল: মাঘ ফাল্গুন ভালো সময়।

৩য় রোপন কাল: চৈত্র-বৈশাখ মোটামুটি ভালো সময়।

চারার দূরত্ব: সারি থেকে সারির দূরত্ব ২ মিটার এবং চারা থেকে চারার দূরত্ব ২ মিটার।

গর্ত তৈরি: চারা রোপণের মাসখানেক আগে গর্ত খনন করতে হবে। গর্তের আকার হবে ৬০ সেমি. চ‌ওড়া ও ৬০ সেমি. গভীর। গর্ত তৈরি হয়ে গেলে গোবর ও টিএসপি সার মাটির সাথে মিশিয়ে গর্ত ভরে রাখতে হবে।

চারা রোপণ: রোপণের জন্য অসি তেউর উত্তম। অসি তেউরের পাতা সরু, সূচালো এবং অনেকটা তলোয়ারের মতো, গুরি বড় ও শক্তিশালী এবং ক্রমশ গোড়া থেকে উপরের দিকে সরু। তিন মাস বয়স্ক সুস্থ-সবল তেউড় রোগমুক্ত গাছ থেকে সংগ্রহ করতে হয়।

সার প্রয়োগ: অর্ধেক গোবর জমি তৈরির সময় এবং অবশিষ্ট অর্ধেক গর্তে দিতে হবে। অর্ধেক টিএসপি একইসঙ্গে গর্তে প্রয়োগ করতে হবে। রোপণের দেড় থেকে দুই মাস পর ৪ ভাগের ১ ভাগ ইউরিয়া অর্ধেক এমপিও বাকি টিএসপি জমিতে ছিটিয়ে ভালো ভাবে কুপিয়ে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিতে হবে।

আরো পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় দুর্বলতা কাটাতে যা করবেন

এর দুই থেকে আড়াই মাস পর গাছপ্রতি বাকি অর্ধেক এমপি ও অর্ধেক ইউরিয়া প্রয়োগ করতে হবে। মোচা বের হওয়ার সময় অবশিষ্ট চারভাগের একভাগ ইউরিয়া জমিতে ছিটিয়ে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিতে হবে।

পরিচর্যা: চারা রোপণের সময় মাটিতে পর্যাপ্ত রস না থাকলে তখনই সেচ দেয়া উচিত। এছাড়া শুকনো মৌসুমে ১৫-২০ দিন পরপর সেচ দেওয়া দরকার। বর্ষার সময় কলাবাগানে যাতে পানি জমতে না পারে তার জন্য নানা থাকা আবশ্যক। মোচা আসার পর গাছপ্রতি মাত্র একটিতে তেউড় বাড়তে দেয়া ভালো।

এ সম্পর্কিত আরও পোস্ট

Leave a Comment