পেপটিক আলসার প্রতিরোধ করবেন কীভাবে?

  • রেজবুল ইসলাম 
  • এপ্রিল ১৭, ২০১৮

পেপটিক আলসার হলো পেটের এক ধরনের ঘা। এটি অনেকেরই হয়।  সাধারণ মানুষ এই রোগকেই “গ্যাস্ট্রিক” বলে জানে। এ রোগ সাধারণ অবস্থা থেকে শুরু করে জীবননাশকও হতে পারে। এর প্রতিরোধ ও প্রতিকার উভয়ই সম্ভব। পেপটিক আলসার দুই ধরণের হতে পারে। 

১. Gastric ulcers এটা স্টোমাক বা খাদ্যথলির ভিতরের অংশে হয়ে থাকে। 

২. Duodenal ulcers এটা small intestine এ হয়ে থাকে। 

পেপটিক আলসারের সর্বাধিক সাধারণ কারণ হল হেলিকোব্যাক্টার পাইলোরি  এবং অ্যাসপিরিন বা ব্যথার অষুধের অতিরিক্ত ব্যবহার। অন্যান্য কারণ সমূহঃ

১) কেমোথেরাপি

২) স্টেরয়েডস

৩) এলকোহল

৬) খাদ্যতন্ত্রে ইশকেমিয়া (রক্ত সরবরাহের অভাব)

৪) হাইপোভলেমিয়া (রক্তের ভলিওম কমে যাওয়া)

৫) শক

৬) ডিউডেনাল অবস্ট্রাকশন

৭) রেডিয়েশন থেরাপি

৮) ক্রন্স ডিজিস

৯) সারকোইডোসিস ইত্যাদি।

প্রতিরোধের জন্য কী কী করতে হবে?

প্রতিরোধের ক্ষেত্রে প্রথমেই তার জীবনাচরণে পরিবর্তন আনতে হবে। যদি সকালের নাস্তা না খাওয়ার অভ্যাস থাকে, তাহলে সকালের নাস্তা বাধ্যতামূলক করতে হবে। খাওয়ার যে অনিয়ম সেটিও পরিবর্তন করতে হবে। কোনো দিন দুপুরে খেলো, কোনোদিন খেলো না, কোনো দিন নয়টায় খেলো, কোনো দিন রাত ১২ টায় খেলো। কোনো দিন না খেয়ে ঘুমিয়ে গেলো। এই সমস্ত বিষয়গুলো ঠিক করতে হবে। দ্বিতীয়ত যদি বদঅভ্যাস থাকে সিগারেট খাওয়ার, পান, গুল, পাতা এগুলো খাওয়ার অভ্যাস থাকলে, এগুলোও ধীরে ধীরে বন্ধ করতে হবে।


 

Leave a Comment