প্রথম পিরিয়ডের জন্য মেয়ে সন্তানকে প্রস্তুত করছেন তো ?

  • ওমেন্সকর্নার ডেস্ক
  • জুলাই ১, ২০১৮

পিরিয়ড খুবই স্বাভাবিক একটি শারীরিক প্রক্রিয়া। তবু এই বিষয়টি সম্পর্কে আমরা সহজে কথা বলতে চাই না, স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি না। এমন কি মায়েরাও মেয়েদের ছোট থেকেই পিরিয়ড সম্পর্কে সচেতন করার ব্যপারে সংকোচ বোধ করেন। ফলে বেশীরভাগ মেয়ে শিশুর ক্ষেত্রেই প্রথম পিরিওডের অভিজ্ঞতা হয় খুবই আতঙ্কের। সংকোচ কাটিয়ে মায়েরা খুব সহজেই মেয়েকে মানসিকভাবে তৈরি করতে পারেন এ ব্যাপারে। এতে সে যখন এই অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হবে তখন ভয় পাবে না। জেনে নিন মেয়ে সন্তানকে পিরিয়ডের জন্য প্রস্তুত করার কিছু টিপস - 

নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করুন : মেয়ের সাথে গল্প করতে করতে একদিন নিজের প্রথম পিরিয়ডের কথা বলুন। কি হয়েছিল, কা্র সাথে শেয়ার করেছিনেন, ভয় পেয়েছিলেন কিনা এসব বলুন। তাকে বুঝিয়ে বলুন, এমন সব মেয়েদেরই হয় এবং তারও একটা বয়সে হবে। এটা কোন অস্বাভাবিক ঘটনা নয়। ভয় পাওয়ার বা ঘাবড়ে যাবার কিছু নেই।

দ্রুত এবং বার বার বলুন : আপনার মেয়ে শিশুটির ঠিক কোন বয়সে পিরিয়ড শুরু হবে তা কিন্তু নিশ্চিত নয়। অনেক শিশুর মাত্র ৯ বছর বয়সেই ঋতুমতি হয়। তাই আগে থেকেই কথা বলা শুরু করুন। সময় আছে বা পরে বলবেন ভেবে সময় নষ্ট করবেন না। তাকে আগে থেকেই বলুন। মাঝেই মাঝেই এই নিয়ে গল্প করুন। 

পরিচ্ছন্নতার বিষয় গুলো বলুন : পিরিয়ডের সময়টায় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শিশুদের ত্বক খুব সংবেদনশীল। অসাবধানতার কারণে ইনফেকশান হতে পারে। এ বিষয়ে আগে থেকেই জানিয়ে রাখুন আপনার আদরের মেয়েটিকে। কীভাবে প্যাড ব্যবহার করতে হয়, কতক্ষণ পর পর বদলাতে হয়, না বদলালে কি কি সমস্যা হতে পারে বুঝিয়ে বলুন।

অশুচি, অপবিত্র কিছু নয় : পিরিয়ড হলে মেয়েরা অপবিত্র থাকে, এটি একটি প্রচলিত ভ্রান্ত ধারণা। আপনার সন্তান হীনমন্যতা্য ভুগতে পারে এই ধারণা থেকে। তাই তাকে বোঝাতে হবে, এটির সাথে পবিত্র-অপবিত্র কোন বিষয় জড়িত নয়। আপনার সন্তান যেমন নিষ্পাপ, তেমনি তার শরীরের প্রতিটি ক্রিয়াও নিষ্পাপ, স্বাভাবিক।

তাকে স্বাধীনভাবে বেড়ে উঠতে দিন : আপনার মেয়ে সন্তান কে পিরিয়ড সম্পর্কে ধারণা দিতে গিয়ে কখনোই এমন কিছু বলবেন না যাতে তার ভীতি বেড়ে যায়। যেমন- এসময় বেশী দৌড়-ঝাঁপ করা যাবে না, বাইরে খেলাধূলা করা যাবে না। পিরিয়ডকালীন সময়ে স্বাভাবিক সব কাজই করা যায়। অনেকের ভীষণ পেট ব্যাথা, মাথা ধরা ইত্যাদি সমস্যা হয়। কিন্তু এজন্য তার স্বাভাবিক স্বাধীন জীবনকে বাধাগ্রস্থ করা ঠিক নয়।

মেয়েদের ব্যাপার নয় : পিরিয়ড শুধু মেয়েদের ব্যাপার, বাবা ভাই এর কাছ থেকে লুকিয়ে রাখতে হবে এই ধারণা ভুল। পরিবারের সকলেরই এ ব্যাপারে সচেতন হওয়া জরুরী। লুকিয়ে রাখা, আড়াল করা অনেক সময় ছোট শিশুটিকে বিভিন্ন বিব্রতকর পরিস্থিতির সামনে ফেলতে পারে। যার ফলে লজ্জা, ভয় জেঁকে বসতে পারে তার মনে। 

পিরিয়ড সম্পর্কে নিজেও জানুন, আপনার সন্তানকেও জানান। সচেতনতাই তাকে দিতে পারে সুস্থ জীবন, শারীরিকভাবে তো বটেই, মানসিক ভাবেও।

সূত্র : গুগল 

Leave a Comment