যৌন রোগ ট্রাইকোমোনিয়াসিস

  • ওমেন্সকর্নার ডেস্ক
  • আগস্ট ২, ২০১৮

ট্রাইকোমোনিয়াসিস ভ্যাজিনোসিস যৌন জীবাণুর দ্বারা অনুমানিক সারা বিশ্বে ১৭০ মিলিয়ন মানুষ আক্রান্ত – এটি প্যারাব্যাসিলাইটস শ্রেণীর অন্তরভুক্ত ( parabasalids) এক কোষী পরজীবী প্রাণী – জীবাণুটি দেখতে ডিম্বাকৃতির এবং শ্বেতকণিকার চেয়ে কিছুটা বড়। ( about 10-20 μm long and 2-14 μm wide—)  রোগে আক্রান্ত মায়ের শিশুটিও জন্মের পর পর এ রোগে আক্রান্ত হতে পারে।

অনেক মহিলার যৌনাঙ্গে সুপ্ত অবস্থায় জীবাণুটি অনেকদিন লুকিয়ে থাকতে পারে বিধায় ৭৪% বেলায় মহিলারাই ট্রাইকোমোনিয়াসিস ভ্যাজিনোসিস জীবাণুর আশ্রয়কারী এবং বিপরীত দিকে অসুখটি ৮০% বেলায় এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় স্থনাতরিত হয় পুরুষের মাধ্যমে অর্থাৎ সংক্রামণকারী – জীবাণুটি নতুন ভাবে সংক্রামিত হওয়ার পর, পুরুষ বা নারী কেউ তেমন একটা বুজতে পারেন না, তার কারন সামান্য চুলকানি ও প্রস্রাবে অল্প জ্বলা যন্ত্রণা ছাড়া অনেকের বেলায় তেমন একটা লক্ষন দেখা যায়না, সে জন্য জিবানুটিকে অনেকের অজান্তেই লালন পালন করে থাকেন ।

কি কি উপসর্গ থাকে?

– ফেনা ফেনা হলুদ/সবুজ যোনি-স্রাব যা দুর্গন্ধযুক্ত।

এ রোগটি রোগীর যৌন-সঙ্গীকেও আক্রান্ত করতে পারে। সেক্ষেত্রে নিম্নোক্ত উপসর্গ দেখা দেয়:
১. প্রস্রাবের পথে সাদা আঠালো তরল নিঃসরণ।
২. প্রস্রাবের পথে অস্বস্তি।
৩. বারবার প্রস্রাবের বেগ হওয়া ইত্যাদি।

কি কি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়?

- যোনি-স্রাব নিয়ে মাইক্রোস্কোপের নিচে পরীক্ষা করা হয়।
- যোনি-স্রাবের কালচার করা হয়।
- সারভাইকাল সাইটোলজি করা হয়।
- পলিমারেজ চেইন রিয়েকশান।

চিকিৎসার আগে জীবাণু বহনকারী নারী বা পুরুষের ব্যাবহারিক কাপড় চোপর একটু সাবধানে সরিয়ে রাখা উচিৎ কেননা উক্ত কাপড়ে জীবাণুগুলো আদ্র পরিবেষে ৬ /২৪ ঘন্টা পর্যন্ত জীবিত থাকতে পারে বিধায়- অন্য কেউ তা ভালভাবে পরিষ্কার না করে, পরিধান করা মোটেই উচিৎ নয় এবং সেই সাথে তাও মনে রাখতে হবে যেহেতু ইহা ব্যাক্টোরিয়া ( প্রটোজোয়া ) জনিত সংক্রামণ তাই এন্টিমাইক্রোবিয়াল প্যারাসাইটিক্স ড্রাগস ছাড়া অন্যান্য সকল পদ্ধতির চিকিৎসা বা ঔষধ এই অসুখটির বেলায় সম্পূর্ণ অকার্যকর। 

আর/এস 

Leave a Comment