যোনি পথের ইনফেকশন

  • ওমেন্সকর্নার ডেস্ক
  • সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১৮

যোনি পথের ছত্রাকের ইনফেকশন হলে যোনি বা যোনিপথে ইনফ্লামেশন বা জ্বালাপোড়ার সৃষ্টি হওয়া। এ অবস্থায় যোনিপথে অস্বস্তি, অত্যাধিক চুলকানি ও স্রাব দেখা দেয়। এই ইস্ট ইনফেকশন দ্বারা যোনিপথ ও যোনিপথের মুখে অবস্থিত টিস্যুগুলো আক্রান্ত হয়ে থাকে। এটি  Vaginal Candidias নামে পরিচিত। চার ভাগের তিন ভাগ মহিলা জীবনের কোনো না কোনো সময় এই ইনফেকশন দ্বারা আক্রান্ত হয়ে থাকেন। এটি কোনো যৌনবাহিত ইনফেকশন নয়। যে কোন সাধারণ প্রক্রিয়ায় এর চিকিৎসা সম্ভব। তবে এই ইনফেকশন বারেবারে দেখা দিলে (সাধারণত এক বছরে চারবার বা এর বেশি) সেক্ষেত্রে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার ব্যাপারে অধিক যত্নশীল হতে হবে এবং থেরাপির দীর্ঘমেয়াদী কোর্স নিতে হবে।

কারণ
অধিকাংশ মহিলারই কখনো না কখনো যোনি পথে ছত্রাকের ইনফেকশন হয়ে থাকে। এর কারণগুলো নিম্নে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো। ক্যানডিডা এলবিকানস খুব পরিচিত একটি ছত্রাকের নাম। এটি ত্বক, পরিপাক নালী, মুখগহ্বর ও যোনিপথে খুব সামন্য পরিমাণে পাওয়া যায়। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এই ছত্রাক কোনো ইনফেকশনের সৃষ্টি করে না।

সাধারণ অবস্থায় ক্যানডিডা ও যোনিপথের অন্যান্য জীবাণুর মধ্যে ভারসাম্য বজায় থাকে। কখনও কখনও ক্যানডিডার পরিমাণ বেড়ে গিয়ে এই ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায় এবং যার ফলে যোনি পথে ইস্ট ইনফেকশন দেখা দেয়। যে সকল কারণে ক্যানডিডা এলবিকানসের পরিমাণ বৃদ্ধি পায় সেগুলো হলোঃ

- অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার যা যোনিপথে জীবাণুর ভারসাম্য নষ্ট করে।

- গর্ভাবস্থা বা গর্ভধারণ

- স্থূলতা বা মেদবৃদ্ধি

- ডায়াবেটিস

যৌন মিলনের মাধ্যমে ইস্ট ইনফেকশন ছড়ায় না। তবে এই ইনফেকশনে আক্রান্ত সঙ্গীর সাথে যৌন মিলনের ফলে কিছু কিছু ব্যক্তির পুরুষাঙ্গে র‍্যাশ বা ফুসকুড়ি এবং চুলকানিসহ অন্যান্য লক্ষণ দেখা দিতে পারে। যোনিপথের অন্যান্য ইনফেকশন ও ইস্ট ইনফেকশন এক নয়। তবে বারেবারে এই ইনফেকশন দেখা দিলে তা অন্য কোনো স্বাস্থ্যগত সমস্যার লক্ষণ হতে পারে।

আর/এস 

Leave a Comment