ঘন ঘন মুখ ও জিহ্বা শুকিয়ে আসছে!

  • ওমেন্সকর্নার ডেস্ক
  • অক্টোবর ১১, ২০১৮

আমাদের মুখ এবং জিহ্বা ভিজা রাখতে ও খাদ্য হজম করতে লালার প্রয়োজন। এই লালা মুখের ভিতর ব্যাকটেরিয়া এবং ছত্রাক নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে বিভিন্ন রোগের সংক্রমণ হতে বাধা দেয়। যখন কেউ মুখে যথেষ্ট লালা তৈরি করতে পারেনা তখন তার মুখ শুষ্ক হয়ে অস্বস্তিকর অবস্থার সৃষ্টি  করে। মুখ ও জিহ্বা শুকিয়ে যাওয়া দূর করতে কিছু প্রতিকারমুলক কিছু ব্যবস্থাপনা নিম্নে আলোচনা করা হলো।

মুখ ও জিহ্বা শুকিয়ে যাওয়ার বিভিন্ন কারণঃ     

নির্দিষ্ট কিছু ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াঃ বিভিন্ন অসুখের যেমন বিষণ্নতা, উদ্বেগ, ব্যথা, অ্যালার্জি, এবং ঠান্ডা (অ্যান্টিহিস্টামাইন), স্থূলতা, ব্রণ, মৃগী, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়রিয়া, মানসিক অসুখ, হাঁপানি এবং পারকিনসন্স রোগের সাধারণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসাবে মুখ ও জিহ্বা শুকিয়ে যেতে পারে। এছাড়া মাংশপেশী শিথিলকারী ও ঘুমের ঔষধ বেশী খেলেও মুখও জিহ্বা শুকিয়ে যেতে পারে।   

কোন কোন চিকিৎসার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াঃ  বিভিন্ন চিকিৎসার কারণে  যেমন মাথা ও ঘাড়ে ব্যথার কারণে বিকিরণ রশ্মি প্রয়োগ কিংবা ক্যান্সারের কারণে কেমোথেরাপি চিকিৎসা দেওয়ার ফলে লালা গ্রন্থিগুলির ক্ষতি হলে মুখে লালার পরিমাণ কমে যেতে পারে। এছাড়া কোন শারিরীক সমস্যার কারণে লালা গ্রন্থির অপসারণ করলেও এই সমস্যা হতে পারে।

নার্ভ বা স্নায়ুতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্থ হলেঃ আঘাত বা সার্জারি জনিত কারণে মাথা এবং ঘাড়ের নার্ভ ক্ষতিগ্রস্থ হলে মুখ ও জিহ্বা শুকিয়ে যেতে পারে।

শরীরে মারাত্মক ডিহাইড্রেশনঃ বিভিন্ন অসুস্থতা যেমন জ্বর,অত্যধিক ঘাম, বমি, ডায়রিয়া,অতিরিক্ত রক্তপাত ইত্যাদি কারণে শরীরে ডিহাইড্রেশন বা পানিশুন্যতা দেখা দিতে পারে। ফলাফল হিসাবে মুখ ও জিহ্বা শুষ্ক হয়ে যেতে পারে।

অনিয়ন্ত্রিত জীবন যাপনের ফলাফলঃ অনিয়ন্ত্রিত জীবন যাপন যেমন  ধূমপান বা তামাক সেবন শরীরে লালা উৎপাদনকে নিয়ন্ত্রণ করে মুখের শুষ্কতা বাড়িয়ে দিতে পারে। এছাড়া নাক না দিয়ে শ্বাস না নিয়ে মুখের মাধ্যমে নিলেও মুখের মধ্যে লালার পরিমান কমে যেতে পারে।  

আর/এস 

Leave a Comment