বিয়ের সাথে থ্যালাসেমিয়ার সম্পর্ক!

  •   তন্ময় আলমগীর
  • অক্টোবর ২২, ২০১৮

প্রত্যেক মানুষের জীবনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় বিয়ে। বিয়ের মাধ্যমে দুজন দুজনের জীবন সাজানোর স্বপ্ন দেখে। সেই স্বপ্ন জুড়ে থাকে সুখ আর সুখ। কিন্তু সেই সুখে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে ভয়ঙ্কর এক রোগ থ্যালাসেমিয়া। কিভাবে? জেনে নেওয়া যাক। 

বিয়ের আগে থ্যালাসেমিয়া : থ্যালাসেমিয়া ছোঁয়াচে নয়, একটি বংশানুক্রমিক রক্তবাহিত রোগ। বাবা মার কাছ থেকে সন্তানের মধ্যে আসে এ রোগ। তাই বিয়ের আগে রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে থ্যালাসেমিয়া আছে কিনা তা জেনে নেওয়াই হবে বুদ্ধিমানে কাজ। দুজনের একজনের রক্তে থ্যালাসেমিয়ার বাহক থাকলে সন্তানের মধ্যে ছড়ানোর কোন আশঙ্কা নেই। একই সাথে দুজনের রক্তে থাকলেই কেবল ভয়ের কারণ। এমন ঘটনা খুব বেশি ঘটে না। সাইপ্রাস, ইরান, সৌদি আরব এবং সর্বশেষ পাকিস্থানে বিয়ের আগে পাত্র-পাত্রীর থ্যালাসেমিয়া আছে কিনা তা পরীক্ষা করা বাধ্যতামূলক করার মাধ্যমে থ্যালাসেমিয়া নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়েছে। 

বিয়ের পরে থ্যালাসেমিয়া : থ্যালাসেমিয়ার বাহকরা কোন রোগী না। জিনেদিন জিদান, পিট সাম্প্রাই, অমিতাভ বচ্চন তারা সবাই থ্যালাসেমিয়ার বাহক। তাদের জীবন-যাত্রায় কোন ব্যাঘাত ঘটচে না।  স্বামী-স্ত্রী উভয়ই যদি থ্যালাসেমিয়ার বাহক হয় সে ক্ষেত্রে শতকরা ২৫ ভাগ সন্তান থ্যালাসেমিয়া মেজর রোগ নিয়ে জন্ম নিতে পারে, ২৫ ভাগ সুস্থ শিশু জন্ম নিতে পারে আর ৫০ ভাগ থ্যালাসেমিয়ার বাহক হিসেবে জন্ম নিতে পারে যা প্রকাশ পাবে না। 

সমাধান : দুজনেরই একসাথে থ্যালাসেমিয়ার বাহক হওয়ার ঘটনা খুব কমই ঘটে। কাকতালীয়ভাবে ঘটে গেলে, এমতাবস্থায় ডাক্তারের দ্বারস্ত হওয়া বাধ্যতামূলক। তিন ধরণের পরীক্ষা কোরিওনিক ভিলিয়াস স্যাম্পলিং, এ্যামনিওসেনটিসিস ও ফিটাল ব্লাড স্যাম্পলিং পরীক্ষা মাধ্যমে এ সমস্যা থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। 
 

Leave a Comment