দ্রুত খাবার গ্রহণ কি মুটিয়ে যাওয়ার জন্য দায়ী?

  • ওমেন্সকর্নার ডেস্ক:
  • মে ২০, ২০১৯

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা এতদিন ধরে বলে আসছেন শরীরের জন্য তেল-চর্বিযুক্ত খাবার ভালো নয়। চিনি-মিষ্টি জাতীয় খাবার ও ভাজাপোড়া এড়িয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়ে আসছেন তারা। কিন্তু কেবল অতি প্রক্রিয়াজাত খাবারেই ক্যালরি বেশি থাকে এবং মুটিয়ে দেয়, নাকি অন্য কোনো কারণ আছে? যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব হেলথ সম্প্রতি এক গবেষণা চালিয়েছে। সেখানে ৩০ বছরের কম বয়সী ২০ জনকে কোনো রকম অতি প্রক্রিয়াজাত খাবার ছাড়াই ইচ্ছেমতো অন্য খাবার খেতে দেওয়া হয়। তিনবেলা ছাড়াও তারা বহুবার নাস্তা করেছে।

গবেষণায় দেখা গেছে, তারা অতি প্রক্রিয়াজাত খাবার গ্রহণের সময়কার তুলনায় পরের সময়ে দিনে অন্তত পাঁচশ ক্যালরি গ্রহণ করেছে। ফলে আগের তুলনায় তাদের ওজনও বেড়েছে এক কেজি করে। যদিও আমরা জানি যে অতি-প্রক্রিয়াজাত খাবারগুলো আসক্তি ধরিয়ে দিতে পারে। তবে গবেষণায় অংশগ্রহণকারীরা বলছেন, অতি প্রক্রিয়াজাত না করা খাবারও সম পরিমাণ আকর্ষণীয়।

অনেকেই মনে করেন নাস্তা করার ফলে অতিরিক্ত ক্যালরি গ্রহণ করা পড়ে। তবে ওই গবেষণার ফলাফলে বলা হয়, সকাল এবং রাতের খাবারের সময়ই বেশি ক্যালরি গ্রহণ করা পড়ে। গবেষণায় আরো উঠে এসেছে, পানীয় জাতীয় খাবারগুলো স্বল্প সময়ের মধ্যে গ্রহণের ফলে শরীরে হুট করেই ক্যালরি বেড়ে যায়। প্রক্রিয়াজাত করা খাবারগুলোর ধরনই এমন যে সেগুলো সহজে স্বল্প সময়ে পাকস্থলীতে পাঠানো যায়। এজন্য ধীরস্থিরভাবে খাদ্য গ্রহণের পরামর্শও দেওয়া হয়েছে।

ফলাফলে আরো বলা হয়েছে, সাধারণ খাবার দীর্ঘ সময় ধরে প্রয়োজনীয় শক্তির যোগান দেয়। অন্যদিকে প্রক্রিয়াজাত করা খাবার থেকে দ্রুত ক্যালরি সঞ্চয় করতে পারে মানবদেহ। সাধারণত খাওয়া শুরুর ২০ মিনিট পর আমাদের মস্তিস্ক খাবার আর না গ্রহণের সংকেত দিতে থাকে। ধীরে ধীরে খাবার খেলে মস্তিস্ক নিদির্ষ্ট সময় পর পেট ভরে যাওয়ার অনুভূতি দেয়।

তাই ধীরে খেলে কম খাওয়া যায়। যাদের হজমে সমস্যা রয়েছে বা পাকস্থলিতে কোনো সমস্যা রয়েছে, তাদের জন্য ধীরে খাওয়া ভালো। এটি হজমে সাহায্য করে। তবে পানীয়ের মতো খাবার দ্রুত খাওয়ার ফলে সেই সঙ্কেতটা দিতে পারে না  আমাদের মস্তিস্ক। মুটিয়ে যাওয়ার জন্য সেজন্য দ্রুত খাওয়ার বিষয়কেও দায়ী করা হয়েছে।

টি/আ

 

 

Leave a Comment