রোজায় থাইরয়েডের ওষুধ কখন এবং কিভাবে খাবেন জেনে নিন

  • তাসফিয়া আমিন
  • এপ্রিল ৩০, ২০২০

আমরা জানি যে থাইরয়েড গ্ল্যান্ডের কার্যক্ষমতা কমে গেলে তাকে হাইপোথাইরয়ডিজম বলে। এই হরমোনের ঘাটতি মেটাতে রোগীদের লেভো-থাইরক্সিন ট্যাবলেট প্রতিদিন সকালে খালি পেটে খেতে হয়।

নির্দিষ্ট কিছু কারণ ছাড়া ওষুধটি সাধারণত আজীবন খেয়ে যাওয়ার নিয়ম। বেশির ভাগ রোগীই সকালে খালি পেটে নাশতার কমপক্ষে আধা ঘণ্টা আগে এটি খেয়ে থাকেন। কিন্তু রোজায় এ নিয়মের ব্যঘাত ঘটে। ফলে রোগীরা এ নিয়ে একটু চিন্তায় পড়ে যান। জেনে নিন এসময় কি করবেন...

১. হাইপোথাইরয়েডের রোগীদের রোজা রাখতে তেমন কোনো সমস্যা নেই। তবে যাঁদের পিটুইটারি গ্ল্যান্ডের সমস্যার কারণে কারণ সেকেন্ডারি হাইপোথাইরয়েডিজম হয়, তাঁদের ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শে রোজা রাখতে হবে। কারণ, এ সমস্যায় অন্যান্য প্রয়োজনীয় হরমোনেরও ঘাটতি থাকে। তাই আগে আপনার চিকিৎসককে জিজ্ঞেস করে নিন আপনি রোজা রাখতে পারবেন কিনা।

২. থাইরয়েডের ওষুধ কোনোমতেই বাদ দেওয়া চলবে না। হরমোনের মাত্রা ঠিক থাকলে আগে যে ডোজ খেতেন, সেটাই রোজার মধ্যেও চালিয়ে যাবেন।

৩. লেভো-থাইরক্সিন খালি পেটে সেবন করলে এর ৮০ শতাংশ ভালোভাবে দেহে শোষণ হয়, আর কাজে লাগে। ভরা পেটে খেলে এর মাত্রা ৬০ শতাংশে নেমে আসে। বছরের অন্য সময় তাই রোগীরা সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে ওষুধটি খেয়ে থাকেন। ওষুধ সেবন থেকে নাশতার মধ্যে সময় ব্যবধান এক ঘণ্টা হলেই ভালো। তবে রোজায় এর ব্যতিক্রম হয়। এ জন্য সেহরিতে একটু আগে উঠে প্রথমে খালি পেটে ওষুধটি খেয়ে নিন। এরপর বিরতি নিয়ে খাবার খেতে পারেন। তবে কমপক্ষে ৩০ মিনিট আগে ঔষধ খাওয়া উচিত।

৪. আবার যারা একটু দেরিতে, অর্থাৎ রাত ১২টার পর ঘুমান। তারা ওষুধ খেয়ে ঘুমাতে যেতে পারেন। সে ক্ষেত্রে সেহরির কয়েক ঘণ্টা আগে ওষুধ খাওয়া হবে। তবে খেয়াল রাখতে হবে, রাতের খাবারের অন্তত দুই ঘণ্টা পর যেনো ওষুধটি খাওয়া হয়।

৫. রোজায় অনেক সময় নানা কারণে ওষুধ খেতে ভুল হয়ে যেতে পারে। তাহলে মনে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে খেয়ে নিতে ভুলবেন না। খাবারের অন্তত এক থেকে দুই ঘণ্টা আগে বা পরে খেতে পারলে ভালো। অথবা পরদিন একসঙ্গে দুটি ডোজ খেয়ে নিতে পারেন। কোনো সমস্যা হবে না।

Leave a Comment