টিভি পর্দায় বর্তমানের পরিচিত মুখ অভিনেতা নিপুনের কিছু অজানা কথা 

  • সঙ্গীতা চৌধুরী
  • এপ্রিল ২৯, ২০২১

স্টার জলসার জনপ্রিয় ‘খেলাঘর’ ধারাবাহিকে পাড়ার দুধর্ষ মস্তান নিপুণের চরিত্রটি যিনি ফুটিয়ে তুলেছেন তিনি নিপুণ মল্লিক। হ্যাঁ ব্লুজ প্রোডাকশন হাউজের কর্ণধার স্নেহাশিস বাবুর সৌজন্যে তার রিয়েল নাম ও রিল নাম দুটোই এক। দুর্নীতিপরায়ণ রাজনৈতিক নেতা গগন মাখালের সাকরেদের ভূমিকায় ধারাবাহিকে দেখা যাচ্ছে তাকে। কিন্তু এই ধারাবাহিকের  আগেও অসংখ্য ধারাবাহিক ও আটটি  সিনেমায় অভিনয় করেছেন‌ তিনি। দীর্ঘদিনের লড়াইয়ের পর আজ তিনি পরিচিত একটি মুখ হয়ে উঠেছেন, কিন্তু তার অভিনয় জগতে আসার প্রথমদিককার সেই অভিজ্ঞতা কেমন ছিলো সেইসব নিয়েই  তিনি সাক্ষাৎকার দিলেন আমাদের প্রতিনিধি সঙ্গীতা চৌধুরীর কাছে। 

প্রশ্ন:  ধারাবাহিকেই  বলুন বা সিনেমা সবেতেই আপনাকে নেগেটিভ চরিত্রেই দেখা যায়। আপনার কোন চরিত্র করতে সবথেকে বেশি ভালো লাগে?

নিপুণ দা: নেগেটিভ চরিত্র

আরো পড়ুন : ছোটগল্প - ভাগ্যলেখা

প্রশ্ন: কেন আপনার কখনো ইচ্ছে হয় না অন্যরকম কিছু ট্রাই করতে?

নিপুণ দা: অন্যরকম কাজ করতে ইচ্ছে হয় কিন্তু নেগেটিভটা ভীষণ পছন্দের।

প্রশ্ন: এখনো অবধি মোট কতগুলো ধারাবাহিকে অভিনয় করেছেন?

নিপুণ দা(ভেবে): আশার আলো প্রথম কাজ ছিলো। তারপর বাবুসোনা, তোমায় আমায় মিলে , আজ আড়ি কাল ভাব,  স্বপ্ন‍উড়ান, অগ্নিজল, মায়ার বাঁধন, প্রতিদান, ভক্তের ভগবান শ্রীকৃষ্ণ, ওম নম শিবায়, ভূমি কন্যা, দেবী চৌধুরানী, মহাপিঠ তারা পিঠ, খেলাঘর , বেদেনী মলুয়ার কথা, ছদ্মবেশী, রাধা, এসো মা লক্ষী ,সাত ভাই চম্পা, আমলকী, হৃদয় হরণ B A পাস, জীবন সাথী, মা মনসা , কোনে বউ, মা দুর্গা , সোহাগী সিঁদুর, তুমি এলে তাই, দাসী, ভুলে যেওনা প্লিজ, কি করে তোকে বলবো , রূপকথা(একটু থেমে) না, আর মনে পড়ছে না।

পরিবারের সাথে অভিনেতা নিপুণ মল্লিক

প্রশ্ন: জিৎদার প্রোডাকশন হাউসে গেম সিনেমায় আপনার চরিত্রটা কিন্তু বেশ ইন্টারেস্টিং ছিলো...

নিপুণদা(হাসতে হাসতে): ‘গেম’ সিনেমায়  পকেটমারের চরিত্র করেছিলাম।

প্রশ্ন: ‘গুপ্তধনের সন্ধানে’তে রনিদার ,আবিরদার সাথে কাজ করেছেন। কেমন অভিঞ্জতা হয়েছিলো?
 
নিপুণ দা: ওনারা দুজনেই যেমন বড় মানের অভিনেতা,তেমনি ভালো মানুষ।ওনাদের মত অভিনেতাদের সাথে কাজ করলে অনেককিছু শেখা যায়।

প্রশ্ন: এছাড়াও  তো আপনি অনেকগুলো সিনেমা করেছেন?
 
নিপুণ দা: হ্যাঁ ঐ দুটো ছাড়া ‘ফিদা’,‘ভিলেন',‘অমর প্রেম’, ‘রাজা রানী রাজি’,‘শেষ সংবাদ’,‘ না জেনে মন’ করেছিলাম।

প্রশ্ন: প্রথম শুটিংয়ের সাথে জড়িয়ে থাকা কোন অভিজ্ঞতা যদি শেয়ার করতেন?

নিপুণ দা: এখন যেমনটা হয় কেউ ফোন করলে আমরা জিজ্ঞেস করি কী চরিত্র,কী বিষয় এইসবকিছু তারপর হ্যাঁ বলি, কিন্তু তখন তো আমি নতুন, প্রথম আশার আলো প্রডাকশন হাউজ থেকে আমাকে ফোন করেছিলো,এই ফোন আসাটাই আমার কাছে বিশাল ব্যাপার ছিল। তাই কোন কিছু না জেনেই আমি হ্যাঁ বলে দিয়েছিলাম। তো উনি বুঝতে পেরেছিলেন যে আমি প্রথম। উনি আবার পাঁচ মিনিট পরে  আমাকে ঘুরিয়ে ফোন করলেন তারপর কী ক্যারেক্টর,কী কী নিয়ে যেতে হবে বুঝিয়ে বলেন। সেখানেও আর এক মজার ঘটনা হয়।(হাসি)

প্রশ্ন: কী মজার ঘটনা?

নিপুণদা (হাসতে হাসতে): আমাকে পাঁচ মিনিট পরে ফোন করে বলেন এটা একটা নেগেটিভ ক্যারেক্টার তো আপনি কয়েকটা টি শার্ট আর কয়েকটা জিন্সের প্যান্ট নিয়ে আসবেন। তো আমি একব্যাগ ভর্তি করে নিয়ে গিয়েছিলাম। যদি জামা পছন্দ না হয় তাহলে  আমাকে বাদ দিতে পারেন।

আরো পড়ুন : গল্পঃ ‍‍`অভাগা‍‍`

প্রশ্ন: বাড়ির বড় ছেলে হয়ে অভিনয় জগতে এসেছেন,এই লড়াইয়ে পরিবারকে পাশে পেয়েছিলেন?

নিপুণদা: আমার পরিবার ছাড়া আমি এই জায়গায় আসতে পারতাম না। যখন একটা সিরিয়ালে আমাকে দু তিন মিনিট দেখাতো তখন  থেকেই আমার বাবা-মা,বোন ভাইরা আমাকে সাপোর্ট করেছেন। এটা তো একটা লড়াই,এই লড়াইয়ে পরিবারের সাপোর্ট ছাড়া আমার পক্ষে টিকে থাকাই  সম্ভব হতো না। আমার ছেলে তো আমার সব থেকে বড় ভক্ত। শুধু একবার ছাড়া আমাদের বিবাহবার্ষিকীও ছেলের জন্মদিনে প্রতিবছর‌ই আমার শুটিং পরেছে কিন্তু আমার স্ত্রী ছেলে কখনো এই নিয়ে অভিযোগ করেনি।

প্রশ্ন: দর্শকদের কী বলতে চান?

নিপুণ দা: দর্শককে শুধু একটা কথাই বলবো দর্শক যেন সব সময় আমাদের সাথে থাকে, তবেই আমাদের কাজটা সার্থক হবে।

আরো পড়ুন : গল্প  : আনন্দ যাত্রা 

Leave a Comment