মুড সুইং কেন হয় এবং নিয়ন্ত্রণের উপায় জানুন

  • কবিতা আক্তার
  • অক্টোবর ১৮, ২০২৩

কর্মব্যস্ত এই সময়ে সবাই মুড সুইং এর সমস্যায় পড়েন। কেউ হয়তো কম, আবার কেউ বেশি। সকালে ঘুম থেকে উঠে মনটা খুব ভালো ছিল, হঠাৎ করেই মন খারাপ! জানা নেই কেন খারাপ হল মন। আবার হুট করে রেগেও গেলেন।এর মানে হলো আপনার ঘন ঘন মেজাজ পরিবর্তন হয়।। যাকে বলা হয় মুড সুইং। একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে যাদের ঘনঘন মেজাজ পরিবর্তন বা মুড সুইং হয় তাদের মস্তিষ্ক খুব তাড়াতাড়ি সিদ্ধান্ত নিতে পারে।এমনকি বিভিন্ন সমস্যার সমাধান বা কোনো পরিকল্পনা করতে পারে তাৎক্ষণিক।

আরো পড়ুন: আপনি কি জানেন গর্ভাবস্থায় প্রতি সপ্তাহে কী ঘটে?

দুর্ভাগ্যজনক হলো, এটা সবার ক্ষেত্রে এক হয় না। বেশিরভাগ মানুষের ক্ষেত্রে বারবার মেজাজ পরিবর্তন হওয়ার ফলাফল খুবই বিপজ্জনক।

মনোবিদরা বলছেন, শুরুর দিকে মুড সুইং এর সমস্যার সমাধান না করতে পারলে, তা বাইপোলার ডিসঅর্ডার বা দ্বৈত স্বত্তার মতো জটিল ও গভীর মানসিক রোগে পরিণত হতে পারে।

যে কারণে মুড সুইং হয়-
মস্তিষ্কের কয়েকটি নিউরোট্রান্সমিটার থাকে। যা থেকে হরমোন ক্ষরণ ও হয়। হরমোনের মধ্যে শেরাটোনিন ও নরপাইনফ্রাইন খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

আরো পড়ুন: গর্ভধারণের প্রথম সপ্তাহেই যে লক্ষণ প্রকাশ পায়

প্রথমটি আমাদের ঘুমের ধরন, নানা রকমের মানসিক স্থিতি ও আবেগের ওঠা পড়ার সঙ্গে জড়িত। আর দ্বিতীয়টির সম্পর্ক স্মৃতি, কোন কিছু শেখার দক্ষতা ও শারীরিক চাহিদার সঙ্গে এই হরমোনের তারতম্যের কারণে মুড সুইং হতে পারে।

আরো পড়ুন: ঋতুস্রাবের সময় যেভাবে নিজেকে পরিষ্কার রাখবেন

এ ছাড়া মানসিক চাপ, অ্যাংজাইটি, অবসাদ ডিপ্রেশন, মদ্যপান, ঘুমের অভাব, বাইপোলার ডিসঅর্ডার বা দ্বৈত স্বত্তা, প্রিমেনস্ট্রুয়াল সিনড্রোম, কাজের চাপ সহ বিভিন্ন কারণে হতে পারে মুড সুইং।

যেভাবে নিয়ন্ত্রণ করবেন-
১. পর্যাপ্ত ঘুমাতে হবে। দৈনিক অন্তত ৭-৮ ঘন্টা।
২. প্রতিদিন ৩-৪ লিটার পানি পান করতে হবে।
৩. সঠিক ডায়েট মেনে চলুন।
৪. স্বাস্থ্যকর জীবন যাপন করতে হবে।
৫. নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে।
মুড সুইং এর কারণে অতিরিক্ত রাগ কিংবা নেতিবাচক অনুভূতি মানসিক স্বাস্থ্যের উপর বিরাট প্রভাব ফেলতে পারে। যদি এ সমস্যা বেশি বাড়ন্ত হয় তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরী।

এ সম্পর্কিত আরও পোস্ট

Leave a Comment