রাতে ঘুমালেই খারাপ স্বপ্ন দেখেন? দুঃস্বপ্ন এড়াতে যা যা করবেন

  • কবিতা আক্তার
  • জুলাই ৭, ২০২১

রাতে ঘুমালে কি খারাপ স্বপ্ন দেখেন? দুঃস্বপ্ন দেখে মাঝরাতে ঘুম ভেঙে যাওয়ার সময় ঘুমটাই অসহনীয় হয়ে দাঁড়িয়েছে? আধুনিক লাইভ স্টাইল এর কারণে অনেকেই এখন এই সমস্যায় ভুগছেন। বড় কোন‌ও কারন নয়, তার বীজ লুকিয়ে রয়েছে ছোট ছোট সমস্যা কারণ এর মধ্যেই। ঠিক কেন এই সমস্যা হচ্ছে তা জানতে পারলে কাটিয়ে উঠতে পারবেন। জেনে নিন কেন আমরা দুঃস্বপ্ন দেখি।

ডিজঅর্ডার: উৎকণ্ঠা, অবসাদ, স্লিপ প্যারালিসিস, পোস্ট ট্রমাটীক স্ট্রেস ডিজ‌অর্ডার, স্লিপ অ্যাপনিয়ার মতো ডিজ‌অর্ডারে ভুগলে আমরা দুঃস্বপ্ন দেখি। যদি আপনি দীর্ঘদিন এই ধরনের সমস্যায় ভুগে থাকেন এবং নিয়মিত দুঃস্বপ্ন দেখার প্রবণতা থাকে তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। অনেক আধুনিক থেরাপির সাহায্যে এ সমস্যার সারিয়ে তোলা যায়।

আরো পড়ুনঃ নারীদের পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম বা PCOS পাথর এর কারণ

ডিনার: ছোটবেলায় বাবা, মায়েরা আমাদের তাড়াতাড়ি রাতের খাবার খেয়ে নেওয়ার অভ্যাস করাতেন। বড় হয়েছে অভ্যাস আমরা অনেকেই মেনে চলি না। যখনই আমরা খাবার খায় তখনই আমাদের ডাইজেস্টিভ সিস্টেম সক্রিয় হয়ে ওঠে। মেটাবলিজম রেট বেড়ে যায়। ঘুমানোর ঠিক আগে খাবার খেলে শরীর ও মস্তিষ্ক সজাগ হয়ে ওঠে। ফলে টানা ঘুমের সমস্যা হয় যা অনেক সময় দুঃস্বপ্নের কারণ হয়ে ওঠে।

স্ট্রেস: সারাদিনের স্ট্রেস, ক্লান্তি যদি খুব বেড়ে যায় তাহলে ঘুমের সমস্যা হয়। স্ট্রেসের কারণে দুঃস্বপ্ন দেখা খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার। স্ট্রেস কাটাতে রাতে ঘুমানোর আগে হালকা যোগাভ্যাস করলে বা ইষদোষ্ণ পানিতে গোসল করলে সমস্যা দূর হবে।

আরো পড়ুনঃ মেয়েলি রোগ লিউকোরিয়ার (সাদাস্রাব ) কারণ ও প্রতিকার

ওষুধ: অনেক ঔষধ রয়েছে যার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় এমনটা হতে পারে। সাধারণত উচ্চ রক্তচাপ বা অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি রাত থেকে শরীরের মেটাবলিজম এর মাত্রা বেড়ে গিয়ে ঘুমের সমস্যা হওয়ার প্রবণতা থাকে। যদি এমনটা হয়ে থাকে আপনার ক্ষেত্রে তাহলে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করে ওষুধ বদলান বাটলস কমিয়ে দিতে বলতে পারেন। ধীরে ধীরে শরীর ধাতস্থ হয়ে গেলে সমস্যা কেটে যাবে।

ঘুমের মান: ভালো ঘুম হলে কখনোই দুঃস্বপ্ন দেখবেন না। বারবার ঘুম ভেঙে যাওয়া, পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়ার কারণে দুঃস্বপ্ন দেখতে পারেন। এক্ষেত্রে জোর দিতে হবে ঘুমের মান বাড়ানোর দিকে। প্রতিদিন অন্তত ৭-৮ ঘন্টা অবশ্যই ঘুমোন। আরামদায়ক বিছানা, অন্ধকার ঘরে ঘুমোনো অভ্যাস করুন। ক্যাফেইন, অ্যালকোহল, নিকোটিনের অভ্যাস থাকলে বাদ দিন। সপ্তাহে ৩-৪ দিন এক্সারসাইজ করতে পারলে ভালো।

আরো পড়ুনঃ মর্নিং সিকনেস থেকে মুক্তি পাবার উপায়

ইমেজারি রিহার্সাল ট্রিটমেন্ট: দুঃস্বপ্ন দূর করতে খুবই কার্যকরী আই আর টি। অনেক থেরাপিস্টের পদ্ধতির সাহায্য নিয়ে থাকেন। এক্ষেত্রে যে দুঃস্বপ্ন বারবার দেখছেন তার শেষ বদলে দিয়ে ভালো কিছু কল্পনা করতে বলা হয়। তারপর নতুন সেই স্বপ্ন কাগজে লিখে রাখতে বলা হয়। নিয়মিত কি স্বপ্ন দেখছেন, কিভাবে কমছে দুঃস্বপ্নের প্রকোপটা মনিটর করা হয়। কোন থেরাপিস্টের সাহায্যে বা নিজেও এ পদ্ধতির সাহায্য নিতে পারেন।

এ সম্পর্কিত আরও পোস্ট

Leave a Comment