সম্পর্ক খারাপ না করে কিভাবে অন্যদের দোষ সম্পর্কে জানানো যায় ? 

  • ফারজানা আক্তার 
  • ডিসেম্বর ১৩, ২০২১

পরিবার, অফিস কিংবা আমাদের বন্ধু - বান্ধব যাদের সাথে প্রতিদিন আমাদের উঠাবসা, চলাফেরা তাদের অনেকের প্রতি নানান কারণে আমাদের বিরক্তি জন্মে, বিতৃষ্ণা আসে। ছোট ছোট মান - অভিমান থেকে শুরু করে বড় ধরণের ঝগড়াও হয়ে যায়। সম্পর্ক খারাপ হয়। 

বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আমরা হয়তো চাই না সম্পর্ক খারাপ করতে কিন্তু তবুও কেন জানি হয়ে যায়। হয়তো রিএক্ট একটু বেশি করে ফেলি বা বলার সময় বেশি বলে ফেলি। 

সাধারণত কথা বলার সময় রিএকশন দেওয়ার ক্ষেত্রে চার ধরণের অভিব্যক্তি আমাদের চেহারায় ফুটে উঠে। ছোট একটা উদাহরণ দিয়ে বুঝাই। 

আরো পড়ুন : হৃদরোগ ছাড়া অন্য যেসব কারণে বুকে ব্যথা হতে পারে

মনে করেন আপনি যার সাথে সম্পর্কে আছেন তিনি একটু উদাসীন টাইপের। আপনি সম্পর্কটা যেভাবে নার্সিং করছেন তিনি সেভাবে করছেন না। আপনি নিশ্চয় তার সাথে সম্পর্ক খারাপ করতে চাচ্ছেন না কিন্তু আপনি যা পছন্দ করছেন না সেটা জানাতে বা বুঝাতে চাচ্ছেন কিংবা সেও সম্পর্কে কিছুটা সিরিয়াস হোক সেটা চাচ্ছেন। 

এখন আপনি চারভাবে তার সাথে কথা বলতে পারেন। যেমন :

১। আক্রমণাত্মক : আপনি রেগে মেগে ফায়ার হয়ে তাকে বললেন, ' সম্পর্কটা আমার একার ? আমি একা আর কতদিন টেনে সামনে আগাবো ? তোমার কোন দায়িত্ব নেই ? তুমি জীবনেও সিরিয়াস হবা না ? ইত্যাদি...' 

আরো পড়ুন : আপনার বাচ্চার খাদ্যতালিকায় রাখুন আয়রন সমৃদ্ধ এই ১০টি খাবার

২। অবনত : মানুষটা কিছুটা উদাসীন হলেও এমনিতে অনেক ভালো। আপনি বুঝতে পারেন সে আপনাকে অনেক ভালোবাসে কিন্তু অন্য প্রেমিকদের মতো ঘটা করে ভালোবাসার কথা বলে না, জন্মদিনের তারিখ ভুলে যায়, অন্যদের মতো হুটহাট সারপ্রাইজ দেয় না ইত্যাদি। এই বিষয়গুলো আপনি তাকে বলেন না তবে মনে মনে অনেক আফসোস করেন, ' ইশ! সে যদি একটু ওর মতো বা তার মতো হতো! একটু যদি আমার মনটা বুঝতো ইত্যাদি। ' 

৩। অবনত-আক্রমণাত্মক : আপনি তার সাথে রাগারাগি করছেন না কিন্তু সারাক্ষণ খিটমিট করছেন। কারণে অকারণে ভুল ধরছেন। মেসেজের রিপ্লাই করেন না বা করলেও বাঁকাত্যাড়া উত্তর দেন। কল ধরেন না বা ধরলেও ঠিকভাবে কথা বলেন না। 

৪। দৃঢ়প্রত্যয়ী: আপনি নিজের আবেগ অনুভূতিকে সামলে নিয়ে তাকে নিজের চাওয়া পাওয়াগুলো জানালেন। যেমন : তুমি যেমন আছো ঠিক আছো। এই নিয়ে আমার কোন অভিযোগ নেই। কিন্তু মাঝে মাঝে কিছু ব্যাপারে আমার চাওয়া পাওয়াগুলো একটু বুঝার চেষ্টা করো। আমার তাতে ভালো লাগবে।

আরো পড়ুন : ঘুম পাচ্ছে না অথচ একটু পরপর হাই ওঠে, কারন এবং সমাধান

কী মনে হয় কোনটা ভালো ? নিশ্চয় চার নাম্বারটা ? তাতে সম্পর্কও খারাপ হবে না, আবার এতো সুন্দর করে বললে যে কেউ নিজেকে পরিবর্তন করতে বাধ্য হবে। কিন্তু আমাদের ক্ষেত্রে এই দৃঢ়প্রত্যয়ী হওয়াটাই অনেক কঠিন কাজ। কিন্তু চাইলে সম্ভব। 

তো চেষ্টাটা আজ থেকেই শুরু হোক। সবার জন্য শুভ কামনা। 

 

এ সম্পর্কিত আরও পোস্ট

Leave a Comment