প্রাণীজ প্রোটিনের উৎস সমুহ

  • রোজী আরেফিন
  • আগস্ট ৪, ২০১৯

প্রোটিন আমাদের প্রতিদিনের জীবন চলার এক অত্যাবশকীয় অনুসঙ্গ।আমাদের খাদ্যের অত্যাবশকীয় তালিকায় যে খাবারগুলো রয়েছে প্রোটিন সেখানে অন্যতম প্রধান খাবার।এই প্রোটিন আমাদের শরীরে যেয়ে ভেঙে এমাইনো এসিড তৈরী করে যা আমাদের শরীরে প্রয়োজনীয় শক্তি প্রদান করে (যেমন, চলাফেরা অথবা যে কোন কাজ কর্ম ইত্যাদি করার জন্য)।

বলা হয়ে থাকে প্রোটিনের সব চেয়ে বড় উৎস হলো যে কোন প্রাণীজ উৎস। মাছ মাংস,দুধ ডিম ইত্যাদিতে প্রচুর পরিমানে প্রাণীজ প্রোটিন রয়েছে এবং খুব সহজেই এসব খাবার খেয়ে আপনি আপনার দৈনন্দিন প্রোটিন চাহিদা পরিপূর্ণ করতে পারেন। চলুন জেনে নিই প্রাণীজ প্রোটিনের কয়েকটা উৎস সম্পর্কে। 

১.মাছঃ মাছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, আয়রন,ভিটামিন-এ ভিটামিন-বি১২ এবং  এন্টিঅক্সিডেন্ট ইত্যাদি থাকে। ত্রিশ গ্রাম টুনা মাছে থাকে সাত গ্রামের মত প্রোটিন আবার ত্রিশ গ্রাম স্যামন মাছে থাকে প্রায় ছয় গ্রামের মত প্রোটিন। এছাড়াও আমাদের বিভিন্ন দেশীয় মাছ রয়েছে যেগুলিতেও কম বেশী প্রোটিন রয়েছে।

২.গরুর মাংসঃ গরুর মাংস সবচেয়ে উৎকৃষ্ট প্রাণীজ প্রোটিনের উৎস।পাঁচ গ্রাম গরুর মাংসে থাকে দুইশ গ্রাম ক্যালরি, এগারো গ্রাম ফ্যাট এবং পঁচিশ গ্রাম প্রোটিন। 

৩.পোল্ট্রি মুরগীর মাংসঃ প্রতি পাঁচ গ্রাম চিকেন ব্রেস্টে থাকে এক গ্রাম করে প্রোটিন। এটা আমাদের রেগুলার প্রোটিন  চাহিদার প্রায় পাঁচ ভাগ মিটায়।

৪.টার্কির মাংসঃ ইদানীং টার্কির মাংস আমাদের দেশেও কমবেশি বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে।যাই হোক,ত্রিশ গ্রাম টার্কির মাংসে প্রায় সাত গ্রাম প্রোটিন থাকে।

৫.ডিমঃ প্রতিদিন একটি করে সেদ্ধ ডিম আপনার শরীরে এনে দেয় প্রয়োজনীয় সব এনার্জি এবং  কিছু প্রোটিন। কুসুম সহ একটি মাঝারি সাইজের সেদ্ধ ডিমে রয়েছে পাঁচ গ্রাম প্রোটিন। কিন্তু কেউ যদি কুসুম বাদ দিয়ে শুধু সাদা অংশ খেতে চায় তাহলে তিনি পাবেন তিন গ্রাম প্রোটিন। 

৬.দুধ,ছানা দই ইত্যাদিঃ প্রতিদিনের খাবারের সাথে এক গ্লাস দুধ পূরন করে আপনার শরীরের সকল ভিটামিনের চাহিদা।এক কাপ দুধে রয়েছে আট গ্রাম প্রোটিন আর এক কাপ টক দইয়ে রয়েছে দশ গ্রাম।এক কাপ দুধ চা তে রয়েছে আরো বেশি প্রোটিন, তেরো গ্রাম।অন্যদিকে এক আউন্স ছানাতে রয়েছে সাত গ্রাম প্রোটিন। 

জানলেন তো প্রাণীজ প্রোটিনের উৎস গুলো। তাহলে আর দেরি কেন, শুরু করে দিন মাছ মাংস আর ডিম দুধ খাবার হিসেবনিকেশ। 

ভালো থাকুন,ভালো রাখুন।

ধন্যবাদ।
 

Leave a Comment