শিশু মৃত্যু হারের অন্যতম কারণ বার্থ এসফেক্সিয়া

  • ওমেন্সকর্নার ডেস্ক
  • আগস্ট ২৬, ২০১৮

নবজাতক জন্মের সাথে সাথেই যদি নিজে নিজে নিঃশ্বাস নিতে ব্যর্থ হয় তাকে বার্থ এসফেকশিয়া বা এসফেকশিয়া নিউনেটারাম বলে। সাধারণত এ ধরনের শিশুদের জন্মের ৫ মিনিট পর আপগার স্কোর ৬ এর নীচে থাকে, যদি তা ৩(তিন) এর নীচে নেমে যায় তাহলে ধরে নিতে হবে শিশুটির অবস্থা বেশ জটিল।

গর্ভাবস্থায় যদি মায়ের নিউমোনিয়া, হার্ট ফেইলুর, খীচুনি, রক্তস্রাব বা এক্লামপসিয়া (Ecclampsia) জাতীয় কোনো রোগ থাকে তাহলে শিশুর এস্ফেক্সি্ইয়া নিউনেটারাম হতে পারে। এছাড়া প্রসবের সময় শিশুর গলায় অনেক্ষন নাড়ীর প্যাচ লেগে থাকা, মাথায় রক্তপাত হওয়া বা আঘাত পাওয়া কিংবা কিছু অসুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারনেও এমন সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে।

একজন নবজাতক বিশেষজ্ঞ বা নিউন্যাটোলজিস্ট (Neonatologist) এই রোগ নিরাময়ে সর্বাপেক্ষা অধিক ভূমিকা রাখতে পারবেন। শিশু জন্মের ১ মিনিট এর মধ্যে ও যদি শ্বাস না নেয় তাহলে দ্রুত তার মুখ গহবর পরিষ্কার করে মুখে মুখ লাগিয়ে শ্বাস দিতে হবে এবং শিশুকে অতি দ্রুত হাসপাতালে নিতে হবে, লক্ষ্য রাখতে হবে শিশুর তাপমাত্রা যেনো কোনোভাবেই কমে না যায় এজন্য তাকে উষ্ণ কাপড়ে মূড়ে রাখতে হবে।

হাসপাতালে ভর্তি রোগীকে সাকশন (suction) দিয়ে মুখ ও পেট খালি করা হয় এবং ৮০% অক্সিজেন দিয়ে রাখা হয়। জন্মের তিন মিনিটের মধ্যেও শ্বাস না নিলে মুখে বা গলায় নল দিয়ে কৃত্রিম শ্বাস প্রশ্বাস দিতে হয় সেই সাথে হাতের তালু দিয়ে বুকে ঘন ঘন চাপ দিয়ে (Cardiac massage) হৃদপিন্ড সচল রাখতে হয়।

বার্থ এসফেক্সিয়া তীব্র হলে বা চিকিৎসা করতে সামান্য দেরী হয়ে গেলে শিশু মানসিক প্রতিবন্ধকতা, মৃগী রোগ, নির্জীব থাকা বা প্যারালাইসিস(Cerebral palsy) সহ নানা জটিলতায় ভুগতে পারে, এ রোগে শিশুর মৃত্যুর হার ও অত্যাধিক।

আর/এস 

Leave a Comment