আপনার বাচ্চার খাবারে কিছু সতর্কতা

  • তাশফিয়া আমিন 
  • অক্টোবর ২৬, ২০১৮

লবন : বাচ্চাদের বেশি লবন খাওয়া উচিৎ নয়, বেশি লবন তাদের কিডনির জন্য ভাল নয়। আপনার শিশুর খাবারে বাড়তি লবন দেবেন না। তরকারির ঝোল কম খাওয়াবেন, ঝোলে বেশি লবন থাকে। পরিবারের জন্য রান্না করার সময়ও এটি মনে রাখবেন যদি আপনি আপনার শিশুকেও ঐ একই খাবার দিতে চান।

চিনি : আপানার শিশুর বাড়তি চিনি বা মিষ্টির দরকার নেই। চিনিযুক্ত খাবার ও পানীয় এড়িয়ে চললে তা আপনাকে আপনার শিশুর দাতের ক্ষয় রোধ করতে সাহা্য্য করবে। প্রয়োজন হলে খাবার মিষ্টি করার জন্য চটকানো কলা, অথবা পাস্তুরিত দুধ ব্যবহার করুন।

মধু : মধুতে থাকা ব্যকটেরিয়া শিশুর অন্ত্রে বিষক্রিয়ার সৃষ্টি করতে পারে যা পরবর্তীতে মারাত্মক শারীরিক সমস্যার (যেমনঃ Infant Botulism) কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাই এক বছর বয়স না হওয়া পর্যন্ত আপনার শিশুকে মধু খেতে না দেওয়াই ভাল। মধু এক ধরনের চিনি, তাই মধু এড়িয়ে চলা দাতক্ষয় প্রতিরোধেও সাহায্য করবে।

বাদাম : চিনাবাদামসহ সব ধরনের বাদাম, পাচঁ বছরের কম বয়সি শিশুদের দেওয়া উচিৎ নয়। যদি আপনার পরিবারের কারো বাদাম বা বাদামের তৈরি খাবারে এলার্জি থাকে তাহলে শিশুকে বাদাম বা বাদামের তৈরি খাবার দেয়ার ব্যপারে সতর্ক থাকুন।

কম চর্বিজ়াতীয় খাবার : শিশু ও কমবয়সী ছেলেমেয়েদের জন্য ক্যালোরি ও কিছু ভিটামিনের গুরুত্বপূর্ণ উৎস চর্বি। কম চর্বিযুক্ত খাবারের চেয়ে পূর্ণ-ননীযুক্ত দুধ, দই এবং পনির শিশু ও দুই বছরের চেয়ে কম বয়সী ছেলেমেয়েদের জন্য সর্বোত্তম।

সম্পৃক্ত চর্বি : যেসব খাবারে সম্পৃক্ত বা “খারাপ” চর্বি বেশি মাত্রায় আছে যেমনঃ , চিপস, বারগার, কেক এবং অন্যান্য ফাস্ট ফুড জাতীয় খাবার আপনার শিশুকে দেবেননা।

পারদ সমৃদ্ধ সামুদ্রিক মাছ : যে সমস্ত সামুদ্রিক মাছে পারদ (murcury) থাকে, আপনার শিশুকে সে সমস্ত সামুদ্রিক মাছ (হাঙ্গড়, সোর্ড মাছ, মারলিন ইত্যাদি) দেবেন না। আপনি বিদেশে ভ্রমণরত অবস্হায় থাকলে আপনার শিশুকে খাওয়ানোর পূর্বে খাবারের মেন্যু, লেবেল ইত্যাদি ভালকরে পরীক্ষা করুন। এইসব মাছে থাকা পারদ শিশুর ক্রমবর্ধমান স্নায়ুতন্ত্রকে প্রভাবিত করতে পারে।

Leave a Comment