বরবটির বিভিন্ন রকম রোগ এবং প্রতিকার

  • ওমেন্স কর্নার ডেস্ক
  • জুলাই ২৩, ২০২১

সুস্বাদু শীতকালীন সবজি বরবটি। চাষাবাদের আগে আপনাকে ব্যাপক প্রস্তুতি নিতে হবে এবং জেনে নিতে হবে এর চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে। রক্ষণাবেক্ষণ, পরিচর্যা ও সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে ফলন ঘরে না তোলা পর্যন্ত। কয়েক জাতের বরবটি দেখা যায়, তার মধ্যে কেগর নাটকি জাতের বরবটি অন্যতম।

এই গাছগুলো ২/৩ মিটার পর্যন্ত উপরের দিকে উঠতে পারে। এর পাতাগুলো গাঢ় সবুজ, ফুলগুলো বেগুনি আভাযুক্ত সাদা আকৃতির হয়। বরবটি সবুজ এবং সামান্য বাঁকানো এবং লম্বায় ৬০-৭৫ সেন্টিমিটার হয়ে থাকে। আর এই গাছকে রক্ষা করতে আপনাকে জানতে হবে এর রোগ এবং প্রতিকার সম্পর্কে...

আরো পড়ুনঃ আপনার চুলের যত্নের জন্য কিছু উপকারী হেয়ার মাস্ক

জাবপোকা দমন: জাবপোকা দলবদ্ধ ভাবে গাছের কঁচিপাতা, ফুল ও ফল এবং ফলের রস চুষে খেয়ে ক্ষতি করে। আক্রমণের ফলে গাছ দুর্বল হয়ে যায়। আক্রান্ত গাছ ফুল দিতে পারেনা। অনেক সময় ফুলের কুঁড়ি ও কঁচি ফল ঝরে পড়ে। জাবপোকা মোজাইক ভাইরাস এর বাহক হিসেবে কাজ করলেও খুব সাবধানে এই পোকা বিতাড়িত করতে হবে।

বিছাপোকা: বিছাপোকা বরবটি গাছের পাতার সবুজ অংশ খেয়ে ফেলে। বিছার আক্রমণে পাতার শিরা গুলো শুধু থেকে যায়, গাছ বাড়তে বাধা সৃষ্টি করে এবং ফলন কম হয়।

শিমের মাছি: শিমের মাছি আক্রমণের ফলে গাছ বাড়তে পারে না, হলুদ রঙের হয়ে পড়ে। মাটির সামান্য উপরে গাছের কান্ড মোটা হয়ে যায়। গাছ লম্বালম্বি কাটলে কানের ভেতর শুককীট অথবা মূককীট দেখা যায়। আক্রান্ত হয়ে পড়ে গাছগুলো মরে যায়।

আরো পড়ুনঃ দ্রুত ঘন কালো লম্বা চুল পাওয়ার  সহজ কিছু উপায়

থ্রিপস: এ পোকা পূর্ণাঙ্গ এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক অবস্থায় জাব পোকার মত গাছের কঁচি পাতার রস চুষে খেয়ে গাছকে কঙ্কালসার করে ফেলে। আক্রমণের ফলে ফুলগুলো আস্তে আস্তে ঝরে পরে।

ফলের মাজরা পোকা: পোকার কীড়া বরবটি গাছের কান্ড মুকুল এবং ফল ছিদ্র করে নষ্ট করে দেয় কীড়া আক্রান্ত ফলের বীজ ও শাঁস খেয়ে ক্ষতি করে। আক্রান্ত ফল খাওয়ার অযোগ্য হয়ে পড়ে।

নেতিয়ে পড়া রোগ দমন: বীজ বপনের পর থেকে চারা অবস্থায় এ রোগের আক্রমণ হয়। এ রোগের আক্রমণে আক্রান্ত বীজ পচে যায় চারার গোড়া চিকন লিকলিকে হয়ে ধসে পড়ে ও গাছ মারা যায়।

আরো পড়ুনঃ আপনার কেনা ডিম টাটকা না বাসি ?

পাউডারি মিলডিউ: এ রোগ হলে পাতা ও গাছের গায়ে সাদা পাউডারের মতো আবরণ দেখা যায়। আক্রমণের মাত্রা খুব বেশি হলে গাছ সবুজ হয়ে মারা যায়। হলুদ মোজাইক: পাতায় হলদে সবুজের নকশা দেখা যায়। পরে ধীরে ধীরে পাতা হলদে হয়ে যায়। পাতার আকারের বিকৃতি ঘটে এবং আয়তনে ছোট হয়। আক্রান্ত গাছগুলোর বৃদ্ধি ব্যাহত হয়, ফলে গাছ ছোট হয়, ফল কম ধরে এবং বীজের সংখ্যা কমে যায়।

অ্যানথ্রাকনোজ: রোগের জীবাণু প্রথমে পাতায় আক্রমণ করে। পাতায় বিভিন্ন আকারের দাগ পড়ে, স্বাভাবিক অবস্থায় পাতার ক্ষতি হয় সীমিত। পাতা থেকে ফলে আক্রমণ হয়। কঁচি অবস্থায় আক্রমণ হলে গোটা ফলটির ক্ষতি হতে পারে। আক্রমণ দেরিতে হলে ফল ছোট হয় এবং পচে যায়।

আরো পড়ুনঃ ৩০-এর পরে বাচ্চা নিলে আপনি যে সমস্যাগুলোর মুখোমুখী হবেন!

শিকড় পঁচা বা গোড়া পঁচা: এ রোগ চারা অবস্থা থেকে গাছের পরিণত অবস্থা পর্যন্ত দেখা যেতে পারে। এ রোগের আক্রমণে চারা গাছের মাটির সংলগ্ন অংশ পঁচে যায়। পরিণত গাছের মাটির সংলগ্ন অংশ কালো বা গাঢ় বাদামি রঙ ধারণ করে।

এ সম্পর্কিত আরও পোস্ট

Leave a Comment