পেয়ারা চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত

  • ওমেন্স কর্নার ডেস্ক
  • অক্টোবর ১৯, ২০২১

পেয়ারার শিকড়, গাছের বাকল, পাতা এবং অপরিপক্ক ফল কলেরা এবং আমাশয় ও অন্যান্য পেটের পীড়া নিরাময়ে কাজ করে।

উপযুক্ত জমি ও মাটি: সুনিষ্কাশিত উঁচু জমি ও মাঝারি উঁচু জমি পেয়ারা চাষের জন্য উপযোগী।

জাত পরিচিতি: স্থানীয় জাতের মধ্যে স্বরূপকাঠি, কাঞ্চন নগর, মুকুন্দপুর এবং উন্নত জাতের মধ্যে কাজী পেয়ারা, বারি পেয়ারা-২ অন্যতম।

আরো পড়ুনঃ রূপচর্চায় গ্রীন টি ব্যবহারের সঠিক পদ্ধতিগুলো জেনে নিন

পেয়ারা: ফল আকারে বেশ বড়। ওজন ৪০০-৫০০ গ্রাম। পরিপক্ক ফল হলুদাভ সবুজ এবং ভিতরে শাঁস সাদা। এ ফল ৭-১০ দিন ঘরে সাধারণ তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করা যায়।

বারি পেয়ারা-২: গাছ ছাতা আকৃতিও পেয়ারার চেয়ে খাটো হয়। পাতার অগ্রভাগ সূচালো। এ জাতটি বর্ষাকাল ও শীতকাল দুবার এই ফল দেয়।

বারি পেয়ারা ৩: এটির শাস লাল রঙ্গের। ফলের ওজন ১৮০ গ্রাম। ফল পাকলে গায়ের রং হলদে সবুজ। প্রতি হেক্টরে ফলন ২০-২২ টন।

চারা তৈরি: গুটি কলমের মাধ্যমে চারা তৈরি করা হয়।

চারা রোপণ: সমতল ভূমিতে বর্গাকার ও সবুজ এবং পাহাড়ি ভূমিতে কন্টোর পদ্ধতিতে চাষ করা হয়। পেয়ারার চারা মধ্য জ্যৈষ্ঠ থেকে মধ্য আশ্বিন মাসে রোপণ করা হয়। রোপণের আগে গর্ত তৈরি করে নিতে হয়।

আরো পড়ুনঃ চুলের যত্নে আমলকির ব্যবহার

সার ব্যবস্থাপনা: প্রতি গর্তে গোবর ২০ কেজি, পচা খৈল ২ কেজি, টিএসপি সার ২০০ গ্রাম, এমওপি সার ২০০ গ্রাম প্রয়োগ করতে হবে তবে বয়স বৃদ্ধির সাথে সারের পরিমাণ বৃদ্ধি করতে হবে।

সেচ ও আগাছা ব্যবস্থাপনা: খরার সময় ২-৩ বার পানি সেচ দিতে হয় তাছাড়া গাছের গোড়া থেকে আগাছা পরিষ্কার করতে হয়।

ফসল তোলা: সবুজ থেকে হলদে সবুজ রঙ ধারন করলে ফল সংগ্রহ করতে হয়।

এ সম্পর্কিত আরও পোস্ট

Leave a Comment