কঠোর ডায়েট না করেও যেভাবে ওজন কমাবেন

  • কবিতা আক্তার
  • নভেম্বর ১, ২০২৩

শরীরের বাড়তি মেদ ওজন সৌন্দর্য অনেকটাই ম্লান করে দেয়। বর্তমানে স্থূলতার সমস্যায় ভুগছেন নারী-পুরুষ সহ শিশুরাও। যদিও ওজন কমাতে শারীরিক কসরত ও পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার বিকল্প নেই।তবে এর পাশাপাশি কিছু নিয়ম-কানুন ও মেনে চলা জরুরী।

চলুন জেনে নেওয়া যাক কঠোর ডায়েট ছাড়াও আপনি যে উপায়ে ওজন বসে আনতে পারবেন-

ধীরে ধীরে খান: এটি ওজন কমানোর ক্ষেত্রে দারুন কার্যকরী এক উপায়। খাবার ধীরে ধীরে চিবিয়ে খেলে তা হজম হয় ভালো এছাড়া কম খাবারে আপনি পূর্ণ বোধ করবেন।

শুধু খাবারেই মনোযোগ দিন: বেশিরভাগ মানুষই এখন খাওয়ার সময় ইলেকট্রনিক্স স্ক্রিনে চোখ রাখেন। এটা খাবারে কম অন্যদিকে বেশি নজর থাকে। এক্ষেত্রে খাওয়া বেশি হয়ে যায় ফলে ওজনও বাড়তে শুরু করে।

আরো পড়ুন:ডায়েট করলে মাথা কেন ঘোরায়?

প্রোটিন জাতীয় খাবার বেশি খান: ডিম, মুরগির মাংস, টক দই ইত্যাদি প্রোটিন জাতীয় খাবার বেশি রাখুন পাতে। প্রোটিন দীর্ঘসময়ের জন্য পেট ভরা রাখে। এতে বারবার খাবার খাওয়ার প্রবণতা কমে।

ফাইবার জাতীয় খাবার খেতে হবে: প্রোটিনের পাশাপাশি খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে ফাইবার জাতীয় খাবার। বারবার খাওয়ার লোভ কমাতে এ ধরনের খাবার বিশেষ উপকারী।

আরো পড়ুন:পেটের মেদ কমবে ডায়েট ছাড়াই

অস্বাস্থ্যকর খাবার এড়িয়ে চলুন: বাইরের ভাজাপোড়া খাবার কিংবা ফাস্টফুড এড়িয়ে চলুন ওজন কমাতে চাইলে। জাঙ্ক ফুড খাওয়ার অভ্যাস থাকলে আপনি কখনো ওজন কমাতে পারবেন না।এর বদলে গাজর, শসা ও বিটরুট রাখুন খাদ্য তালিকায়। এর পাশাপাশি পাতে প্রচুর সবুজ শাকসবজি ও সালাদ খান।

চিনি যুক্ত পানীয় এড়িয়ে চলুন: চিনি যুক্ত জুস থেকে শুরু করে বিভিন্ন পানীয় বা সোডা এড়িয়ে চলুন। এগুলো স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর। এর বদলে লেবুর শরবত ডাবের পানি ইত্যাদি পান করুন।

আরো পড়ুন: ডায়েট ছাড়াই কমবে পেটের মেদ

খাবার খাওয়ার ২০ মিনিট আগে দুই গ্লাস পানি পান করুন: খাবার খাওয়ার আগে অন্তত একবার দুই গ্লাস পানি পান করাও হতে পারে স্বাস্থ্যকর। এটা অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা কমে। 

নিয়মিত ঘুম জরুরী: কর্ম ব্যস্ত জীবনে এখন সবাই ব্যস্ত না না কাজে। অনেকেরই রাত জাগার অভ্যাস আছে। কাজের ক্ষেত্রে তো বটেই অনেকে আবার ইচ্ছে করেই রাত জাগেন।এ অভ্যাস কিন্তু স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর। নিয়মিত গভীর ঘুম না হলে ওজন ও সহজে কমবে না। এজন্য ঘুমানোর আগেই স্ক্রিন টাইম কমান ও রাতে দ্রুত ঘুমানো অভ্যাস করুন।

এ সম্পর্কিত আরও পোস্ট

Leave a Comment