গরমে পানিশূন্যতা এক ভয়াবহ রূপ ধারণ করে!

  • রেজবুল ইসলাম 
  • মার্চ ২৪, ২০১৮

ডিহাইড্রেশন অথবা পানিশূন্যতা গ্রীষ্মকালের একটি সাধারণ সমস্যা । ভয়াবহ ট্রাফিক জ্যামের সাথে সাথে গরম দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে আর ঢাকা শহর ক্রমশ বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়ছে। দূর্ভাগ্যবশত, অফিস এবং স্কুল আবহাওয়া পূর্বাভাস অনুসরন করেনা। তাই আপনাকেও ১৮ ডিগ্রি সে. এ নিয়ন্ত্রিত নিজের স্বস্তিকর পরিবেশ ছেড়ে বেরিয়ে আসতে হয় বিভিন্ন কাজের জন্য। স্কুলগামী বাচ্চারা প্রাপ্তবয়স্কদের চেয়ে বেশী আক্রান্ত হয় কারণ তারা বড়দের তুলনায় যথেষ্ট কম পানি খায় না। পানিশূন্যতার উপসর্গ এবং জটিলতা নিয়ে প্রতিনিয়ত হাসপাতালে অনেক রোগী ভর্তি হচ্ছে । আমরা যে পরিমানে তরল/পানি গ্রহণ করি তার চেয়ে বেশি পরিমানে যখন তরল আমাদের শরীর থেকে বেরিয়ে যায় তখন পানিশূন্যতার সৃষ্টি হয়। পানি আমাদের প্রস্রাব, ঘাম এবং মলের সাথে বের হয়ে যায়। যখন অতিরিক্ত পানি বের হয়ে যায় তখন এটা দেহস্থ খনিজের ভারসাম্য নষ্ট করে ফেলে এবং শরীরের বিভিন্ন কাজে ব্যাঘাত ঘটায়।

পানিশূন্যতার উপসর্গ  কি  কি?

•    পানির পিপাসা পাওয়া

•    মাথা খালি খালি বোধ করা

•    ঘন রঙের প্রস্রাব হওয়া

•    স্বাভাবিকের চেয়ে কম প্রস্রাব হওয়া

•    মুখ এবং ঠোঁট শুকিয়ে যাওয়া

নিচে গুরুতর পানিশূন্যতার উপসর্গ তুলে ধরা হল :

•    শুকনো, ভাঁজ পরা ত্বক যা চিমটি দিয়ে টেনে ধরলে অনেক ধীরে স্বাভাবিক অবস্থায় নেমে আসে

•    প্রস্রাবে অক্ষমতা অথবা ৮ ঘন্টা পর্যন্ত প্রস্রাব না হওয়া

•    বিরক্তিবোধ

•    নিমজ্জিত চোখ

•    নিম্ন রক্ত চাপ (হাইপোটেনশন)

•    দূর্বল পালস

•    দ্রুত হার্টবিট

•    ঠান্ডা হাত ও পা

•    খিঁচুনি 

•    চেতনা কমে যাওয়া

•    দুর্বল অথবা দ্বিধাগ্রস্থ অনুভব করা

•    আপনার পায়খানার বা বমি’র সাথে রক্ত যাওয়া

তীব্র পানিশূন্যতায় গুরুতর জটিলতা দেখাতে পারে এবং আপনার শরীরে রক্ত প্রবাহ একদম বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এই অবস্থাকে বলা হয় শক। এই ক্ষেত্রে আপনাকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে এবং সরাসরি দেহের শিরায় তরল প্রদানের মাধ্যমে দেহের পানির ঘটতি যথেষ্ট মাত্রায় পূরণ করতে হবে। শিশুরা খুব সহজেই পানিশূন্য হয়ে পড়তে পারে, কারন তাদের শরীরে পানির পরিমাণ কম থাকে। কিন্তু পানির ঘাটতি পূরনের বেলায় প্রাপ্তবয়স্কদের চেয়ে তারা দ্রুত সেরে উঠে।

তথ্য এবং ছবি : গুগল  

Leave a Comment